রাজ্য বিরোধীশূন্য করতে চাইছেন মমতা
পশ্চিমবঙ্গে একসময় সবচেয়ে শক্তিশালী দল ছিল সিপিএম। তাদের নেতৃত্বেই ছিল বাম দলের জোট বামফ্রন্ট। এরপরে ছিল তৃণমূল। তৃতীয় কংগ্রেস। আর চতুর্থ বিজেপি।
২০১১ সালে বামফ্রন্টের ৩৪ বছরের একটানা শাসনের অবসান ঘটিয়ে ক্ষমতায় আসে তৃণমূল কংগ্রেস। মুখ্যমন্ত্রী হন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ক্ষমতায় তৃণমূল চলে আসায় রাজনৈতিক শক্তিতে দ্বিতীয় স্থানে চলে যায় বাম দল। তৃতীয় ও চতুর্থ স্থানে যথাক্রমে কংগ্রেস ও বিজেপি।
২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল এক নম্বরে থাকলেও বাম দল দুই নম্বরের অবস্থান হারিয়ে চলে আসে তিনে। দুই নম্বরে উঠে আসে কংগ্রেস। তৃতীয় ও চতুর্থ স্থানে থাকে বাম দল ও বিজেপি।
কিন্তু এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনে উল্টে যায় সব হিসাব–নিকাশ। বিজেপি চলে আসে দ্বিতীয় স্থানে। আর এটাই মেনে নিতে পারছেন না মমতা। তাঁর এক কথা—বিজেপিকে এই রাজ্যে মাথা তুলে দাঁড়াতে দেওয়া হবে না। বিজেপিকে পরাস্ত করে সর্বত্র তুলতে হবে তৃণমূলের জোড়াফুলের ঝান্ডা।
শুধু কি তা–ই! মমতা চাইছেন, পশ্চিমবঙ্গে দল বলতে থাকবে শুধু তৃণমূল। অন্য দল থাকবে, তবে তা সাইনবোর্ডে। তাই মমতা গত ২১ জুলাইয়ের শহীদ দিবস উপলক্ষে কলকাতায় আয়োজিত বিশাল সমাবেশ থেকে ঘোষণা দেন, রাজ্যের ৪২টি লোকসভা আসনের সব কটিতেই তৃণমূলকে জিততে হবে। সব আসনে জয়ের জন্য ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে।
পরিকল্পনামতোই এগোচ্ছেন মমতা। এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনে ৩৪ শতাংশ আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতে তিনি দেখিয়ে দিয়েছেন। শুধু তা–ই নয়, বীরভূম জেলা পরিষদের ৪২টি আসনের সব কটিতে জিতে রেকর্ড গড়েছেন তিনি।
মমতা গত শুক্রবার দলের কোর কমিটির বৈঠকেও তাঁর এই ইচ্ছার কথা ব্যক্ত করেছেন। তিনি চান, রাজ্যের ৪২টি লোকসভা আসনে জিতুক তাঁর তৃণমূল। আগামী বছরের লোকসভা নির্বাচনে রাজ্য বিরোধীশূন্য হোক। বিজেপি, কংগ্রেস, সিপিএমসহ বাম দল সাইনবোর্ডের দলে পরিণত হোক। এই লক্ষ্যে দলীয় কর্মীদের নির্বাচনের ময়দানে ঝাঁপিয়ে পড়ার নির্দেশ দিয়েছেন মমতা।
সবশেষ ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যের ৪২টি আসনের মধ্যে তৃণমূল পায় ৩৪ আসন। কংগ্রেস পায় ৪ আসন। বিজেপি ও সিপিএম ২টি করে আসন পায়। এবার মমতা ৪২ আসনেই তাঁর দলের জয় চাইছেন।
মমতা কি তাঁর অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছতে পারবেন?
বিরোধী দল বলেছে, মমতার অভিলাষ স্বৈরশাসকের মতো। একটি গণতান্ত্রিক দেশে বিরোধী দল থাকবে না? বিরোধী দল ছাড়া কীভাবে চলবে রাজ্য?
কংগ্রেসের নবনির্বাচিত রাজ্য সভাপতি সোমেন মিত্র বলেছেন, ‘গণতন্ত্রে বিরোধী দল তো থাকবেই। বিরোধীদের যিনি শূন্য করার কথা ভাবেন, তাঁকে স্বৈরাচারী ছাড়া আর কী বলা যায়?’
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)
একই রকম সংবাদ সমূহ
পাকিস্তানে শক্তিশালী ভূমিকম্পে ১৯ জনের মৃত্যু
পাকিস্তানের উত্তরাঞ্চলে শক্তিশালী ৫ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্পের আঘাতে ১৯বিস্তারিত পড়ুন
২৪ ঘণ্টার মধ্যে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় হিক্কা
ধেয়ে আসছে প্রবল ঘূর্ণিঝড় হিক্কা। এর ফলে ঝড়ের পাশাপাশি ভারীবিস্তারিত পড়ুন
টিকাদানের সাফল্যে ‘ভ্যাকসিন হিরো’ পেলেন প্রধানমন্ত্রী
টিকাদানের সাফল্যে ‘ভ্যাকসিন হিরো’ পেলেন প্রধানমন্ত্রী। বাংলাদেশে টিকাদান কর্মসূচি একটিবিস্তারিত পড়ুন