মমতার সমাবেশে রাহুলের সমর্থন
ঐক্যবদ্ধ ভারতের জন্য আজ শনিবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তৃণমূলের ব্রিগেড সমাবেশের ডাক দিয়েছেন। এ সমাবেশকে সমর্থন জানিয়েছেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী।
রাহুলের সমর্থনের বার্তায় লোকসভা নির্বাচনের আগে বিজেপি-বিরোধী ঐক্য আরও মজবুত হবে বলেই মনে করছেন বিরোধী শিবিরের নেতারা।
ঐক্যবদ্ধ ভারতের শক্তিশালী বার্তা ব্রিগেড সমাবেশ থেকেই ছড়িয়ে পড়বে বলে আশা প্রকাশ করেছেন কংগ্রেস সভাপতি। রাহুলের বার্তায় বিড়ম্বনায় প্রদেশ কংগ্রেস! রাহুলের বার্তার ‘ব্যাখ্যা’ দিতে হিমসিম রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল!
দেশের তাবড় বিরোধী নেতা-নেত্রীদের নিয়ে ব্রিগেডে সমাবেশ করছেন তৃণমূল নেত্রী। সনিয়া ও রাহুল গান্ধীকেও তিনি আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন।
এআইসিসি মমতার সমাবেশে পাঠাচ্ছে লোকসভার বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খড়গেকে। নিজে না এলেও রাহুল শুক্রবার বার্তা পাঠিয়ে বিজেপি তথা বিভেদের রাজনীতির বিরুদ্ধে সঙ্ঘবদ্ধ লড়াইয়ের প্রতিই সংহতি জানিয়েছেন। সেই সঙ্গেই তৃণমূল নেত্রীকে ‘মমতাদি’ বলে সম্বোধন করেছেন কংগ্রেস সভাপতি।
তিনি বলেছেন, ‘এই ঐক্যের ছবি তুলে ধরার জন্য মমতাদি’র প্রতি সমর্থন জানাচ্ছি। আমার আশা, একসঙ্গেই আমরা ঐক্যবদ্ধ ভারতের শক্তিশালী বার্তা দিতে পারব।’
তৃণমূল নেত্রীর উদ্দেশে বার্তায় রাহুল লিখেছেন, ‘সত্যিকারের জাতীয়তাবাদ ও উন্নয়নকে রক্ষা করা যায় গণতন্ত্র, সামাজিক ন্যায়বিচার এবং ধর্মনিরপেক্ষতার ভিত্তির উপরে দাঁড়িয়ে। এই বিশ্বাস থেকেই সমগ্র বিরোধী শিবির এখন একজোট। আর এই ধারণাগুলোকেই বিজেপি এবং নরেন্দ্র মোদী ধ্বংস করতে চাইছেন’। তার আরও বক্তব্য, ‘আমাদের আদর্শ রক্ষা করতে যে বাংলার মানুষ সর্বদা সামনে থেকেছেন, তাদের অভিবাদন জানাচ্ছি’।
এর আগে দিল্লিতে সনিয়ার ডাকে বিরোধী নেতৃত্বের বৈঠকে যোগ দিতে গিয়েছেন মমতা। চন্দ্রবাবু নায়ডুর উদ্যোগে বিরোধী বৈঠকেও রাহুল-মমতা একসঙ্গে হাজির থেকেছেন। এ বার বাংলায় তৃণমূলের সমাবেশে আগে রাহুলের সমর্থনের বার্তায় লোকসভা নির্বাচনের আগে বিজেপি-বিরোধী ঐক্যের বার্তাবরণ আরও মজবুত হবে বলেই মনে করছেন বিরোধী শিবিরের নেতারা।
স্বয়ং রাহুলের বার্তা আসায় তৃণমূল শিবিরে যতটা স্বস্তি, ততটাই অস্বস্তিতে প্রদেশ কংগ্রেস। খাতায়-কলমে এ রাজ্যে তৃণমূলের সরকারের বিরুদ্ধে প্রধান বিরোধী দল তারাই। রাজনীতিতে তৃণমূলের বিরুদ্ধে তাদের লড়াই চলবে, এ কথা বোঝাতে এ দিন হিমসিম খেয়েছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র।
তৃণমূল ও বাম শিবির থেকে আসা কলকাতার ৬৪ নম্বর ওয়ার্ডের প্রায় ১৫০০ কর্মীর হাতে বিধান ভবনে এ দিন কংগ্রেসের পতাকা ধরানোর পরে সোমেনবাবুর দাবি, ‘বিজেপির সঙ্গে কংগ্রেসের লড়াই আদর্শগত। বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের কথা যারা বলছেন, সর্বভারতীয় কংগ্রেস নেতৃত্ব তাদের শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন।
উত্তরপ্রদেশে কংগ্রেসকে বাদ দিয়ে অখিলেশ-মায়াবতী জোট করার পরেও বিজেপি-বিরোধিতার জন্যই রাহুল তাদের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন। বাংলাতেও বিজেপি-বিরোধী সমাবেশে কংগ্রেস সভাপতি বার্তা দিয়েছেন মানে এটা তো বলেননি, আপনি কংগ্রেস কর্মীদের খুন করুন, দল ভাঙান তবু আমরা সমর্থন করব!’
বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নানকে ফোন করেছিলেন তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব। দলের তরফ থেকে কোনও নির্দেশ নেই বলেই মান্নান এড়িয়ে গিয়েছেন। দলের ভেতরে প্রদেশ কংগ্রেস নেতাদের আশঙ্কা, কংগ্রেস এবং তৃণমূল কাছাকাছি এলে রাজ্যে বিরোধী পরিসর আরও বেশি করে বিজেপির দখলে যাবে।
ঠিক যেমন, ইউপিএ-১ আমলে দিল্লিতে বাম সমর্থনে কংগ্রেস সরকার চলায় বাংলায় শাসক সিপিএমের বিরোধী পরিসর তৃণমূলের নিয়ন্ত্রণে চলে গিয়েছিল।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)
একই রকম সংবাদ সমূহ
ট্রাম্পের হয়ে প্রচারণা চালানো মোদি’র তা ভারতের পররাষ্ট্রনীতির পরিপন্থী
২০২০ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে সামনে রেখে বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ডবিস্তারিত পড়ুন
ছাত্রদলের কাউন্সিল: ৮ভোটে হেরে গেলেন কেশবপুরের সেই শ্রাবণ
জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কাউন্সিলে সভাপতি পদে মাত্র ৮ ভোটে হেরে গেছেনবিস্তারিত পড়ুন
ছাত্রদলের নতুন সভাপতি খোকন, সম্পাদক শ্যামল
কাউন্সিলরদের প্রত্যক্ষ ভোটে নতুন নেতৃত্ব পেল বিএনপির সহযোগী সংগঠন ছাত্রদল।বিস্তারিত পড়ুন