আরো খবর...
মণিরামপুরে ৯ম শ্রেণির ছাত্রী তার গর্ভের সন্তানের স্বীকৃতি চায়
যশোরের মণিরামপুরে নবম শ্রেণিপড়ুয়া ১৫ বছরের এক কিশোরী দ্বিতীয় দফা অন্ত:সত্ত্বা হয়েছে। এখন সে পাঁচ মাসের গর্ভবতী।
যশোরের আদ্-দ্বীন সকিনা মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালে পরীক্ষা নিরীক্ষা করে মেয়েটির স্বজনরা বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছেন। এর আগেও একবার সন্তান ধারণ করেছিল এই কিশোরী। সেই সময় গর্ভপাত ঘটানো হয় কেশবপুরে একটি ক্লিনিকে।
অভিযোগ করা হচ্ছে, আপন চাচাতো ভাই ইসরাফিল নামের এক কলেজছাত্র বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে মেয়েটির এই সর্বনাশ করেছে। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় হইচই পড়ে গেছে। জানাজানি হওয়ায় ইসরাফিল ওই মেয়েকে গ্রহণ করতে চাচ্ছে না। সে এখন গা-ঢাকা দিয়েছে। স্থানীয় একটি চক্র ইসরাফিলকে রক্ষা করার চেষ্টা চালাচ্ছে। তারা মেয়েটিকে বিভিন্নভাবে হুমকি ধামকি দিচ্ছে বলেও অভিযোগ।
ঘটনাটি মণিরামপুর উপজেলার একটি গ্রামের। ইসরাফিল ওই গ্রামের খাঁপাড়ার হায়দার আলী খাঁর ছেলে। সে পাশের মাতৃভাষা কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র। আর মেয়েটি স্থানীয় একটি হাইস্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্রী।
ওই কিশোরী জানায়- তার বাবা-মা গত পাঁচ বছর ধরে মালয়েশিয়ায় অবস্থান করছেন। মেয়েটি এখানে তার দাদির কাছে থেকে লেখাপড়া করছে। প্রায় দেড় বছর আগে ইসরাফিল তাকে ফুঁসলিয়ে প্রেমের ফাঁদে ফেলে। এরপর বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে মেয়েটির সর্বনাশ করে। এক পর্যায়ে ওই কিশোরীর গর্ভে সন্তান আসে। টের পেয়ে ইসরাফিল কেশবপুরে একটি ক্লিনিকে নিয়ে সেই সন্তান নষ্ট করায়। এরপরও ওই মেয়ের পিছু ছাড়েনি ইসরাফিল। ফলে আবার মেয়েটি গর্ভবতী হয়। গত পাঁচ মাস ধরে মেয়েটি অন্ত:সত্ত্বা।
মেয়েটি ও তার স্বজনদের অভিযোগ- বিষয়টি জানাজানি হলে ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আনছার আলী দলবল নিয়ে এলাকায় যান। তিনি সেখানে গিয়ে তাদের বিভিন্ন রকম হুমকি ধামকি দিচ্ছেন। চেয়ারম্যানের লোকজন মেয়েটিকে ঘরের বাইরে আসতে দিচ্ছেন না, কারো সঙ্গে কথা বলতেও দিচ্ছেন না। ভয়ে তারা বিচার চাইতেও পারছেন না।
এদিকে খবর পেয়ে গণমাধ্যমকর্মীরা সম্প্রতি ঘটনাস্থলে যান। তারা মেয়েটির সঙ্গে কথা বলতে চাইলে সে রাজি হয়। কথা বলার এক পর্যায়ে খবর শুনে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন চেয়ারম্যান আনছার আলী। তিনি আসার পর মেয়েটি আর কথা বলতে পারেনি। ওই কিশোরীর দাবি, সে স্ত্রীর মর্যাদা চায়, গর্ভের সন্তানের স্বীকৃতি চায়।
এদিকে এই ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত ইসরাফিল গা-ঢাকা দিয়েছে। একাধিকবার যোগাযোগ করে তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে।
পরে যোগাযোগ করা হলে ইসরাফিলের বাবা হায়দার আলী বলেন- আমি ছেলের সাথে কথা বলেছি। ছেলে বলেছে- এই ঘটনায় সে দায়ী না।
তিনি বলেন- একটা কথা যখন উঠেই গেছে, আমি ছেলের মেডিকেল করাতে চাচ্ছি। তাহলে সত্যটা জানা যাবে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মানোয়ার হোসেন বলেন- আমি ঘটনাটি শুনেছি। শুনেছি, চেয়ারম্যান সেখানে যাচ্ছেন, টাকা-পয়সা খেয়ে ছেলের পক্ষে কাজ করছেন।
জানতে চাইলে চেয়ারম্যান আনসার আলী বলেন- আমি মেয়েটিকে আটকে রাখব কেনো? আমি সত্যটা জানার জন্য পাঁচ সদস্যের একটা টিম গঠন করে দিয়েছি। টিমের পক্ষ থেকে আমাকে জানানো হয়েছে, ঘটনা সত্য। কিন্তু পরীক্ষার কাগজপত্র দেখতে চাইছি। ওরা দেখাতে পারেনি।
তবে চেয়ারম্যান বিষয়টি নিয়ে লেখালেখি না করে এই প্রতিবেদককে তার সঙ্গে একাকী দেখা করার অনুরোধ করেন।
জানতে চাইলে মণিরামপুর থানার ওসি মোকাররম হোসেন বলেন- বিষয়টি আমার জানা নেই।
রাজগঞ্জ প্রেসক্লাবে ভাইয়ের বিরুদ্ধে বোনের সংবাদ সম্মেলন
মণিরামপুর উপজেলার চালুয়াহাটী ইউনিয়নের গৌরিপুর গ্রামের তরিকুল ইসলাম মিলন ও তার ক্যাডারদের বিরুদ্ধে, মৎস্য ঘের সংক্রান্ত পাওয়ানা টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে স্বামী আব্দুল হালিমের উপর হামলা চালিয়ে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ এনে ৪ জুলাই মিলনের বোন রোজিনা বেগম সংবাদ সম্মেলন করেছেন।
রাজগঞ্জ প্রেসক্লাবে আযোজিত সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, থানা যুব মহিলালীগের সহ-সভাপতি মোছা. রিমা খাতুন, চালুয়াহাটী ইউনিয়নের বিভিন্ন ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সম্পাদকবৃন্দ। যথাক্রমে- আমজাদ হোসেন খান, আব্দুল লতিফ, মশিয়ার রহমান, আব্দুল গফুর, আব্দুল খালেক, জহুরুল হক, আবু সাইদ, ইকবাল হোসেন, মুনছুর আলী, প্রবীণ মল্লিক, ছবেদ আলী, ইউনিয়ন সেচ্ছাসেবক লীগের আহবায়ক হাবিবুর রহমান, যুগ্ম আহবায়ক আবু ইসহাক, রায়হান, ছাত্রলীগের উজ্জল, মারুফ বিল্লাহ।
তরিকুল ইসলাম মিলনের বোন রোজিনা বেগম লিখিত বক্তব্যে অভিযোগ করে বলেন- সম্প্রতি আমি ও আমার স্বামী আব্দুল হালিম তরিকুলের কাছে মৎস্য ঘেরের বিনিযোগকৃত ৪৭ লক্ষ ৭৩ হাজার ৬ শত ৪০ টাকা ফেরত চাওয়া হলে সে নানা তালবাহানাসহ আমাকে ও আমার স্বামীকে দিনের পর দিন হয়রানি করতে থাকে এবং সম্পূর্ণ টাকা তরিকুল আত্মসাত করার জন্য স্থানীয় দালাল কাসেম আলী খাঁর নেতৃত্বে একটি মহল আমাকে ও আমার স্বামীকে নানা ধরণের হুমকি দিতে থাকে।
এঘটনাকে কেন্দ্র করে গত ৩০ জুন সকালে আমার স্বামী তরিকুলের কাছে পাওনা টাকার তাগাদা দিলে দালাল কাসেম আলী খাঁ, আমীর আলী খাঁ, আব্দুল কাদের খাঁসহ অজ্ঞাত ৬/৭ জন তরিকুলের নেতৃত্বে চালুয়াহাটী ইউনিয়নের গৌরিপুরস্থ মৎস্য ঘেরের পাড়ে আমার স্বামীর উপর হামলা চালিয়ে মারপিট করে লাঞ্ছিত করে। খবর পেয়ে আমিসহ পরিবারের লোকজন ঘটনাস্থলে যেয়ে তরিকুলের কাছে আমার স্বামীকে মারপিট করার ঘটনা জানতে চাই এবং পাওনা টাকার তাগাদা করি। এক পর্যায় তরিকুল আমাকেও লাঞ্ছিত করার চেষ্টা চালায়। তখন আমি তরিকুলের কাছে তার দেওয়া চেক ও স্ট্যাম্পের কথা স্বরণ করিয়ে দিলে আমার স্বামীর পাওনা টাকা দিবে না বলে প্রকাশ্যে হুমকি দেয়।
এঘটনাকে কেন্দ্র করে আমার দেবর আব্দুল হাইকে মিথ্যা মামলা দিয়ে তাকে গ্রেফতার করার চেষ্টা করছে। আমরা মুক্তিযোদ্ধাদের কোনো কটুক্তি করিনি। তারা মুক্তিযোদ্ধাদের নাম ভাঙ্গিয়ে আমাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। একটি মহল আব্দুল হাইকে রাজনৈতি হেয় করে ফয়দা লুটার চেষ্টা করছে। এঘটনার সাথে আব্দুল হাই জড়িত নয়।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)
একই রকম সংবাদ সমূহ
১৪ জুলাই: যবিপ্রবির ল্যাবে সাতক্ষীরা জেলার ৩০ জন করোনা পজিটিভ!
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) জিনোম সেন্টারে ১৪ জুলাই,২০২০বিস্তারিত পড়ুন
বেনাপোলে নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রীর বৈঠক বর্জন করলো সাংবাদিকরা
বেনাপোল স্থলবন্দর আন্তর্জাতিক প্যাসেঞ্জার টার্মিনালের দ্বিতীয়তলায় নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী ও স্থলবিস্তারিত পড়ুন
ঝিকরগাছায় বাস চাপায় মোটরসাইকেল আরোহী শিশুসহ দু’জন নিহত
যশোরে বাস চাপায় এক শিশু ও এক মোটসাইকেল আরোহীর মৃত্যুবিস্তারিত পড়ুন