মণিরামপুরে সড়কের মূল্যবান গাছগুলো সাবাড় হচ্ছে
কখনো সড়কের ধারে নতুন বাড়ি, কখনো বিদ্যুৎ লাইন নির্মাণের দোহাই দিয়ে যশোরের মণিরামপুর-রাজগঞ্জ সড়কের মূল্যবান বড় বড় মেহগিনি গাছের ডালকেটে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে একটি চক্র। জেলা পরিষদের কতিপয় দুর্নীতিবাজ কর্মচারী ও স্থানীয় প্রভাবশালীচক্রের যোগসাজসে এই গাছ কেটে বিক্রি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ।
জানা যায়, মণিরামপুর-রাজগঞ্জ সড়কের দুই পাশে কয়েকশ’ মেগগনি, রোড শিশুসহ বিভিন্ন প্রজাতির বড় বড় গাছ রয়েছে। এই সড়কে চলছে বিদ্যুৎ লাইন নির্মাণের কাজ। এর ফলে কাটা পড়ছে বড় মেহগনি গাছের একাংশ। সরেজমিন গত শনিবার ওই সড়কে গেলে দেখা যায় রাজগঞ্জ ডিগ্রি কলেজের সামনে বিদ্যুৎ লাইন নির্মানের কাজ চলছে। একই সাথে কতিপয় লোক গাছের ডাল কাটছে।
এ সময় গাছের ডাল কেন কাটা হচ্ছে? এমন প্রশ্ন করতেই খোকন নামের একজন বললেন, তিনি জেলা পরিষদের লোক মোসলেম ও এম এ মঞ্জুর কথা মতো এখানে এসেছেন। পরে খোঁজ নিয়ে জানা গেল এই খোকন একজন কাঠ ব্যবসায়ী। তার বাড়ি পৌরশহরের জুড়ানপুর গ্রামে।
এ সময় উপস্থিত জেলা পরিষদের মোসলেম জানান, গাছের ডাল কেটে অফিসে নিয়ে যাওয়ার জন্য লেবার দিয়ে কাজ করানো হচ্ছে। এর আগে একই সড়কের কাশিপুর, তাহেরপুরসহ কয়েকটি স্থানে বড় মেহগনি গাছের একাংশ কেটে নেয়া হয়েছে।
এ বিষয় জানতে চাইলে মোসলেম বলেন, গাছের লগ অফিসে (মণিরামপুর উপজেলা পরিষদের ডাকবাংলো) আছে। পরে সেখানে গিয়ে গাছের লগের কোন হদিস মেলেনি। সেখানে আছে পুরাতন গাছের লগ-যার অধিকাংশ পচন ধরেছে। এরপর জানা গেছে সড়কের যত গাছের অংশ কাটা হয়েছে-তার প্রায় সবই বিক্রি করে দিয়েছেন এই মোসলেম।
শুধু এই সড়কে নয়। সম্প্রতি যশোর-সাতক্ষীরা মহাসড়ক ও মণিরামপুর-ঢাকুরিয়া সড়ক হতে এই মোসলেমের উপস্থিতিতে প্রায় তিন লক্ষাধিক টাকার গাছ কাটা হয়। পৌর এলাকার তাহেরপুর গ্রামের ফাুরক হোসেন বলেন, কিছুদিন আগে রফিক নামে এক ব্যক্তি সংশ্লিষ্ট অফিসের মোসলেমের সহযোগিতায় সড়ক থেকে বড় বাবলা গাছ কেটে নেয়।
এসব বিষয় পুনরায় মোসলেমের কাছে জানতে চাইলে তিনি জেলা পরিষদের সার্ভেয়ার এমএ মঞ্জুর নির্দেশে গাছের লগ বিক্রি করে লেবার পেমেন্ট (বিল) কথা উল্লেখ করে বলেন, তিনি মঞ্জুর নির্দেশ ছাড়া এক পাও চলেন না। এ বিষয় মুঠোফোনে জানতে চাইলে এম এ মঞ্জু বলেন, কাউকে গাছের কোন অংশ বিক্রির অনুমতি দেয়া হয়নি।
এছাড়া সড়ক থেকে গাছ কাটার জন্য তদন্ত চলছে। জানতে চাইলে জেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা (চলতি) মাজেদুর রহমান খান বলেন, বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)
একই রকম সংবাদ সমূহ
১৪ জুলাই: যবিপ্রবির ল্যাবে সাতক্ষীরা জেলার ৩০ জন করোনা পজিটিভ!
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) জিনোম সেন্টারে ১৪ জুলাই,২০২০বিস্তারিত পড়ুন
বেনাপোলে নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রীর বৈঠক বর্জন করলো সাংবাদিকরা
বেনাপোল স্থলবন্দর আন্তর্জাতিক প্যাসেঞ্জার টার্মিনালের দ্বিতীয়তলায় নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী ও স্থলবিস্তারিত পড়ুন
ঝিকরগাছায় বাস চাপায় মোটরসাইকেল আরোহী শিশুসহ দু’জন নিহত
যশোরে বাস চাপায় এক শিশু ও এক মোটসাইকেল আরোহীর মৃত্যুবিস্তারিত পড়ুন