ভারতে এক বাড়িতেই ৩৯ জন স্ত্রী নিয়ে বসবাস!
বর্তমান যুগে এক পরিবারে চার-পাঁচ জনের বেশি সদস্য তেমন দেখা যায়না। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ছেলেরা নিজের বাবা-মাকে ছেড়ে স্ত্রীকে নিয়ে আলাদা থাকে। কিন্তু আজ এমন এক ব্যক্তির খোঁজ জানাবো, যিনি পৃথিবীর সবচেয়ে বড় পরিবারের মালিক।
ভারতের মিজোরাম প্রদেশের বাকতওয়াং গ্রামে অবস্থিত এই চারতলা বাড়িটিতে ঘরের সংখ্যা ১০০। সেখানে ১৮১ জন সদস্যের বসবাস। পরিবারের মধ্যে এই ব্যক্তির ৩৯ জন স্ত্রী, ৯৪ জন সন্তান, ১৪ জন বউমা এবং ৩৩ জন নাতি-নাতনি রয়েছে। বিশ্বের বৃহত্তম এই পরিবারের প্রধান হলেন ৭৩ বছর বয়সী জিয়োনা চ্যান। পরিবার নিয়ে চ্যান বলেন, ‘আমি নিজেকে ঈশ্বর প্রদত্ত সন্তান বলে মনে করি। কারণ তিনি আমাকে এতজনের দেখাশোনা করার দায়িত্ব দিয়েছেন। আমি নিজেকে অত্যন্ত ভাগ্যবান স্বামী মনে করি, আমার ৩৯ জন স্ত্রী রয়েছে এবং পৃথিবীর সবচেয়ে বড় পরিবারের আমি প্রধান কর্তা।’
চ্যান প্রথম বিয়ে করে ১৭ বছর বয়সে। তারপর থেকে বিয়ে করা যেন তার নেশা হয়ে ওঠে! একে একে বিয়ে করে ৩৯টি বিয়ে। চ্যান বলেন, ‘আমি আরো বেশ কয়েকজন নারীর দ্বায়িত্ব নিয়ে চাই। আমার প্রথম স্ত্রীসহ বাকিদের কোনো আপত্তি নেই। বুঝতেই পারছেন আমি এবং আমার পরিবার কতটা সুখী।’
নিজের পুত্র, তাদের স্ত্রী এবং সন্তানেরা একই বাড়ির অন্য ঘরে থাকেন। কিন্তু তারা একই রান্নাঘর ব্যবহার করেন। স্ত্রীরা রয়েছেন রান্নার দায়িত্বে। আর কন্যারা রয়েছেন ঘর পরিষ্কারের দায়িত্বে। পুরুষেরা চাষবাস করেন কিংবা পশুপালনে ব্যস্ত থাকেন। নিজেদের আয় ছাড়াও অনুগতরাও অনেক সময় দান করে থাকেন। পরিবারের সব সদস্যের জন্য প্রতিদিন ১০০ কেজি চাল এবং ৭০ কেজিরও বেশি আলুর প্রয়োজন হয়।
চ্যান বড় ডাবল বেডে একা শুতেই পছন্দ করতেন। কিন্তু যখন তিনি বিছানায় থাকেন তখন তার সব স্ত্রী একসঙ্গে বহু শয্যাবিশিষ্ট একটি শয়ন কক্ষে রাত্রি যাপন করেন। তবে সবচেয়ে ছোট স্ত্রীকে তিনি সব সময় তার ব্যক্তিগত কক্ষের একটি কাছের কক্ষেই রাখেন। আর একটু বেশি বয়স্ক অন্য স্ত্রীরা অনেকটা দূরে অবস্থান করেন। তবে পালাক্রমে তাদের সবাই একবার করে তাদের মহান এ স্বামীর সাক্ষাতের সুযোগ পান।
চানার ৩৫ বছর বয়সী স্ত্রী রিঙ্কমিনি বলেন, বাড়ির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি হওয়ার কারণে আমরা সব সময় তার আশপাশেই থাকার চেষ্টা করি। চানা এ গ্রামের সবচেয়ে সুদর্শন পুরুষ। পরিবারের সবাইকে নিয়ে আমরা ভালই আছি। পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও ভালবাসার দৃঢ় বন্ধনে আবদ্ধ আমাদের পরিবার।
পরিবারের বাইরে আরো একটি দ্বায়িত্ব পালন করেন জিয়োনা চ্যান। বাকতওয়াং গ্রামে একটি সম্প্রদায় রয়েছে, যারা যত খুশি বিয়ে করতে পারে। তিনি এই সম্প্রদায়ের প্রধান। তিনি জানান, এখনো তিনি নতুন স্ত্রীর সন্ধান করছেন। গোত্রের সম্প্রসাসরনের জন্য এমনকি নতুন বিয়ের জন্য যুক্তরাষ্ট্রেও যাওয়ার ইচ্ছা আছে তার।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)
একই রকম সংবাদ সমূহ
পাকিস্তানে শক্তিশালী ভূমিকম্পে ১৯ জনের মৃত্যু
পাকিস্তানের উত্তরাঞ্চলে শক্তিশালী ৫ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্পের আঘাতে ১৯বিস্তারিত পড়ুন
২৪ ঘণ্টার মধ্যে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় হিক্কা
ধেয়ে আসছে প্রবল ঘূর্ণিঝড় হিক্কা। এর ফলে ঝড়ের পাশাপাশি ভারীবিস্তারিত পড়ুন
টিকাদানের সাফল্যে ‘ভ্যাকসিন হিরো’ পেলেন প্রধানমন্ত্রী
টিকাদানের সাফল্যে ‘ভ্যাকসিন হিরো’ পেলেন প্রধানমন্ত্রী। বাংলাদেশে টিকাদান কর্মসূচি একটিবিস্তারিত পড়ুন