বৈজ্ঞানিক গবেষনায় রোজার স্বরূপ…
মানবজীবনের আত্মিক, সামাজিক ও দৈহিক উপকারে সিয়াম সাধনা বা রোজার অবদান অপরিসীম। রমজান মাস বিশ্ব মুসলিমের জন্য কাঙ্খিত একটি নাম। কি এক আবহ আর প্রশান্তি! রমজানের গুরুত্ব ও ফজিলত বলে শেষ করা সম্ভব নয়। ইহকাল ও পরকালে এর হাজারো কল্যাণময় দিক রয়েছে। বিশ্বাসী আত্মারা চায় তাদের পাপগুলো ধুয়ে মুছে যাক এই রমজানে। রমজান নামটির যেন এতেই স্বার্থকতা। পাপ জ্বালিয়ে দিতে সক্ষম বলেই রোযার মাসের নাম রমজান। রামজুন মানেই জালিয়ে দেয়া। যেমন পাপ জ্বালিয়ে দিতে পারে তেমনি পারে রোগ জালিয়ে দিতে। কারন রোযার আছে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ।
পবিত্র কুরআনুল কারীমের সূরা বাক্বারার ১৮৪নং আয়াতে আল্লাহ তায়ালা বলেছেন,
অর্থঃ গণনার কয়েকটি দিনের জন্য অতঃপর তোমাদের মধ্যে যে, অসুখ থাকবে অথবা সফরে থাকবে, তার পক্ষে অন্য সময়ে সে রোজা পূরণ করে নিতে হবে। আর এটি যাদের জন্য অত্যন্ত কষ্টদায়ক হয়, তারা এর পরিবর্তে একজন মিসকীনকে খাদ্যদান করবে। যে ব্যক্তি খুশীর সাথে সৎকর্ম করে, তা তার জন্য কল্যাণ কর হয়। আর যদি রোজা রাখ, তবে তোমাদের জন্যে বিশেষ কল্যাণকর, যদি তোমরা তা বুঝতে পার।
সূরা বাক্বারার ১৮৪নং আয়াতের শেষাংশের দিকে দৃষ্টিপাত করলে আমরা দেখতে পাই
‘‘ওয়া ইন তাছুমু খায়রুল্লাকুম ইনকুনতুম তা’লামুন- আর যদি রোযা রাখো তবে তা তোমাদের জন্য বিশেষ কল্যাণময়, যদি তোমরা বুঝতে পার।’’
এ আয়াতের মূল বক্তব্য পর্যালোচনা করলেই বুঝা যায় অবশ্যই রোযার মধ্যে শুধু পারলৌকিক নয় বরং অনেক পার্থিব কল্যাণও নিহিত রয়েছে।
হযরত আবু হোরায়রা (রাঃ) বলেছেন, ‘‘তোমরা রোযা রাখ, তাহলে সুস্থ থাকতে পারবে।’’
রোজা শুধু ধর্মীয় ফরজ ইবাদতই নয়, দৈহিক সুস্থতা লাভে রোজার ভূমিকা চিকিৎসা বিজ্ঞানীদের দৃষ্টিতেও বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। তাই চিকিৎসা বিজ্ঞানের আলোকে রোজার স্বাস্থ্যগত উপকারিতা সবার জানা থাকা জরুরি। আজকের যুগ বিজ্ঞানের। বিশ্বজুড়ে আজ বিজ্ঞানের জয়জয়কার। বিজ্ঞানের যুক্তি প্রমাণ ছাড়া কেউ কিছু মানতে চায় না। আমাদের ব্যক্তিগত ও সমষ্টিগত জীবনপ্রণালি ও জীবনাচারে বিজ্ঞানের আধিপত্য মেনে নিতে হয়। আজ আমরা জানবো বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিকোন থেকে রোজার উপকারিতা সম্পর্কে।
১. স্বাস্থ্যবিজ্ঞানী ডা. শেলটন তার “সুপিরিয়র নিউট্রিশন” গ্রন্থে বলেছেন, উপবাসকালে শরীরের মধ্যকার প্রোাটিন, চর্বি, শর্করা জাতীয় পদার্থগুলো স্বয়ং পাচিত হয়। ফলে গুরুত্বপূর্ণ কোষগুলোর পুষ্টি বিধান হয়।
২.নোবেল পুরস্কার বিজয়ী ঔষুধ ও শল্য চিকিৎসার প্রখ্যাত ডাঃ অ্যালেকসিস বলেছেন, উপবাসের মাধ্যমে লিভার রক্ত সঞ্চালন দ্রƒত হয় ফলে ত্বকের নিচে সঞ্চিত চর্বি, পেশীর প্রোাটিন, গ্রন্থিসমূহ এবং লিভারে কোষসমূহ আন্দোলিত হয়। আভ্যন্তরীণ দেহ যন্ত্রগুলোর সংরক্ষণ এবং হ্নদপিন্ডের নিরাপত্তার জন্য অন্য দেহাংশগুলোর বিক্রিয়া বন্ধ রাখে। খাদ্যাভাব কিংবা আরাম-আয়েশের জন্য মানুষের শরীরের যে ক্ষতি হয়, রোজা তা পূরণ করে দেয়।”
৩.ডা. আইজাক জেনিংস বলেছেন, ” যারা আলস্য ও গোড়ামীর কারণে এবং অতিভোজনের কারণে নিজেদের সংরক্ষিত জীবনী শক্তিকে ভারাক্রান্ত করে ধীরে ধীরে আতœহত্যার দিকে এগিয়ে যায়, রোযা তাদেরকে এ বিপদ থেকে রক্ষা করে।”
৪.বিশ্বখ্যাত চিকিৎসা বিজ্ঞানী নাষ্টবারনার বলেন, “ফুসফুসের কাশি, কঠিন কাশি, সর্দি এবং ইনফ্লুয়েঞ্জা কয়েকদিনের রোযার কারণেই নিরাময় হয়।”
৫.ডাক্তার দেওয়ান একেএম আব্দুর রহীম বলেছেন, “রোযাব্রত পালনের কারণে মসিÍস্ক এবং স্নায়ুতন্ত্র সর্বাধিক উজ্জীবিত হয়।
৬.স্বাস্থ্যবিজ্ঞানী ডা. আব্রাহাম জে হেনরি রোযা সম্পর্কে বলেছেন, “রোযা হলো পরমহিতৈষী ওষুধ বিশেষ। কারণ রোযা পালনের ফলে বাতরোগ, বহুমূত্র, অজীর্ণ, হৃদরোগ ও রক্তচাপজনিত ব্যাধিতে মানুষ কম আক্রান্ত হয়।”
৭.পাকিস্তানের প্রখ্যাত প্রবীণ চিকিৎসক ডা. মুহাম্মদ হোসেনও একই ধরনের কথা বলেছেন। তারমতে, “যারা নিয়মিত রোজা পালনে অভ্যস্ত সাধারণত তারা বাতরোগ, বহুমূত্র, অজীর্ণ, হৃদরোগ ও রক্তচাপজনিত ব্যাধিতে আক্রান্ত কম হন।”
৮.চিকিৎসা বিজ্ঞানী ডা. ক্লাইভ বলেন, “রোযার বিধান স্বাস্থ্যসম্মত ও বিজ্ঞানসম্মত । সেহেতু ভারত, জাপান, ইংল্যান্ড, দক্ষিণ নাইজেরিয়াতে অন্যসব এলাকার তূলনায় মুসলিম অধ্যুষিত এলাকায় রোগ ব্যাধি অনেক কম দেখা যায়।”
এভাবে বিশ্বের অনেক চিকিৎসা বিজ্ঞানী রোযার উপকারিতা বর্ণনা করেছেন। গবেষণায় দেখা গেছে, রোযাদার ব্যক্তি ধুমপান না করার কারণে ফুসফুস রোগমুক্ত থাকে। পেপটিক আলসারের রোগীরা রোযা রাখলে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন। হৃদরোগ, উচ্চ রক্তচাপ ও হাঁপানি রোগীদের জন্যও রোযা উপকারী।
ঢাকা ও রাজশাহী মেডিকেল কলেজ থেকে ১৯৫৮-১৯৬৫ সালে রমজানে রোযা রাখার প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে একটি বৈজ্ঞানিক গবেষনা পরিচালিত হয়। তাতে সুনির্দিষ্ট ভাবে নিম্নোক্ত স্বাস্থ্যগত তথ্য খুজে পাওয়া যায়।
১.শতকরা ৮০ ভাগ রোযাদারের শরীরের ওজন কোন ক্ষতিকর প্রভাব ছাড়া ধীরে ধীরে হ্রাস পায়। এই ধরনের ওজন হ্রাস স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী ।কারন দেখা গেছে মেদবহুল রোগীর চিকিৎসা পদ্ধতিতে এই ধরনের প্রক্রিয়া ব্যবহৃত হয়ে থাকে।তবে এই ধরনের রোগীদের রমজান মাসের রাতের বেলায় এবং বছরের অন্যান্য সময় অতিভোজন ও চর্বিযুক্ত আহার থেকে বিরত থাকতে হবে।
২. পাকস্থলীর মাত্রাতিরিক্ত অম্লরস রমজান মাসে মাসব্যাপী রোযা পালনের কারনে হাইপো এবং হাইপার ক্লোরিড্রিয়া পরিবর্তিত হয়ে স্বাভাবিক এসিডিটি আইসোক্লোরিড্রিয়াতে পরিনত হয়।
রোযা রাখার কারনে পাকস্থলীতে অম্লরসের পরিমান কমে যায় ( রাতে আহারের পর রোযা রাখা অবস্থায় খুব সকালে খালি পেটে স্বাভাবিক ভাবেই গ্যাস্ট্রিক এ্যাসিডের মাত্রা সর্বনিম্ন হয়ে থাকে)
রমজান মাসের রোযা অতিমাত্রায় এ্যাসিডিটি নিঃসরনে সহায়তা করে যা পেপটিক আলসার সৃষ্টিকারী উপাদান সমূহের অন্যতম ।
৩. মুসলিম সংখ্যা গরিষ্ট দেশ ও অন্যান্য ধর্মাবলম্বী জনগোষ্টী অধ্যুষিত দেশের মুসলিম জনসাধারনের মধ্যে পেপটিক আলসার তুলনামূলক অনেক কম।
এর কারন হতে পারে দুটি।
ক. রমজান মাসে মুসলমানদের নিয়মিত রোযা পালন এবং খ. তাদের খাদ্য তালিকায় এলকোহল না থাকা ।
উত্তর নাইজেরিয়ার জারিয়ায় অবস্থিত উসাসা হাসপাতালের ডা: ইটি হেস ১৯৬০ সালে লিখেছেন , পেপটিক আলসার
প্রসংগে অনুসন্ধানের প্রেক্ষিতেজানানো যাচ্ছে যে , এক জাতির আচার আচরনের বসবাসকারী আফ্রিকানদের মধ্যে এই রোগের ঘটনা সম্পূর্ন শূন্যের কোটায়।
ক্লীভ জানিয়েছেন স্থানীয় জাভা ও মালয় মুসলমানদের তুলনায় ইন্দোনেশিয়া ও মালয়েশিয়ায়বসবাসকারী চীনা অধিবাসীদের মধ্যে পেপটিক আলসারের রোগীর সংখ্যা বেশী।
দেখুন
The Scientific Indication Of Holy Quran by Islamic Foundation Bangladesh
আরো বিস্তারিত জানতে দেখুন
Ramadan fasting and medical science
ডাক্তারদের মতে, রোযার ফলে মস্তিষ্কের সেরিবেলাম ও লিমরিক সিস্টেমের ওপর নিয়ন্ত্রণ বাড়ার কারণে মনের অশান্তি ও দুশ্চিন্তা দূর হয়-যা উচ্চ রক্তচাপের জন্য মঙ্গলজনক। বহুমূত্র রোগের প্রাথমিক পর্যায়ে রোযা খুব উপকারী। ডাক্তারী পরীক্ষায় দেখা গেছে, একাধারে ১৫ দিন রোযা রাখলে বহুমূত্র রোগের অত্যন্ত উপকার হয়। রোযা চর্মরোগের জন্যও খুবই উপকারি। পুষ্টির সঙ্গে চর্মরোগের সম্পর্ক অত্যন্ত গভীর। তাই চর্ম রোগের কিংবা ত্বকের উপর স্বাভাবিক প্রতিক্রিয়ায় রোযা খুবই কার্যকর পদ্ধতি। কিডনী সমস্যায় আক্রান্ত রোগীরা রোযা রাখলে এ সমস্যা আরো বেড়ে যাবে ভেবে রোযা রাখতে চান না। অথচ আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা বলছেন, রোযা রাখলে কিডনীতে সঞ্চিত পাথর কণা ও চুন দূরীভূত হয়। স্বাস্থ্য বিজ্ঞানীদের মতে, সারা বছর অতিভোজ, অখাদ্য, কুখাদ্য, ভেজাল খাদ্য খাওয়ার ফলে আমাদের শরীরে যে জৈব বিষ জমা হয় তা দেহের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। এক মাস রোজা পালনের ফলে তা সহজেই দূরীভূত হয়ে যায়।
আহার ও নিদ্রা:
ইসলাম প্রচারের চৌদ্দশত বছর পরে, বর্তমান জগতের ডাক্তার ও বিজ্ঞানীরা গবেষণা করে দেখিয়েছেন যে, অতিভোজনকারীর জীবন স্বল্প ভোজনকারীর জীবনের চেয়ে বেশী ক্ষণস্থায়ী অর্থাৎ মোটা লোক কাজে-কর্মেও দুর্বল এবং তারা তাড়াতাড়ি মৃত্যুবরণ করে। এর কারণ নির্ণয়ে দেখা গেছে যে, মোটা লোকের শরীরে কোলেস্টেরল জমা হয়, যা হৃৎপিন্ডের কাজের ব্যাঘাত ঘটায় এবং তাতে তাড়াতাড়ি মানুষের মৃত্যু হয়। রাসুলুল্লাহ সা: সর্বদা স্বল্পাহারী ছিলেন এবং অন্যকেও স্বল্পাহারের উপদেশ দিতেন, সেই সঙ্গে আবার কেউ যাতে অনাহারে না থাকে, সেদিকেও সর্বদা সু-নজর রাখতেন।রোযা স্বল্পাহারের অভ্যাস করায় ও খাদ্যাভ্যাস নিয়ন্ত্রন করে।
ধুমপায়ীদের জন্যও রোযা একটা বিরাট উপকার করে, তাদের ফুসফুস অন্তত এক মাসের জন্য নিকোটিনের বিষক্রিয়া থেকে মুক্ত থাকে। কোষ্ঠ-কাঠিন্যের জন্যও রোযা কিছুটা সুফল আনে। একই রাতে তিনবার আহার করায় এবং ইফতারীর সময় প্রচুর পানি ও শরবত পান করায়, কোষ্ঠ-কাঠিন্য দূর হয়ে যায়। সাধারণ মানুষের জন্যও রোযা অপরিসীম হৃত সাধন করে থাকে।
ভারতের খ্যাতনামা ব্যক্তিত্ব মহাত্মা গান্ধীও রোযা রাখার পক্ষপাতী ছিলেন। তিনি বলতেন, ‘‘মানুষ খেয়ে খেয়ে স্বীয় শরীরকে অলস বানিয়ে ফেলে আর অলস শরীর না জগতবাসীর আর না মহারাজের। যদি তোমরা শরীরকে সতেজ ও সচল রাখতে চাও তাহলে শরীরকে দাও তার ন্যূনতম আহার এবং পূর্ণ দিবস রোযা রাখ।’’ -(দাস্তান গান্ধী, বিশেষ সংখ্যা)।
বিখ্যাত মনোবিজ্ঞানী সিগমল্ড নারায়াড বলেন, ‘‘রোযা মনস্তাত্ত্বিক ও মস্তিষ্ক রোগ নির্মূল করে দেয়। মানবদেহের আবর্তন-বিবর্তন আছে। কিন্তু রোযাদার ব্যক্তির শরীর বারংবার বাহ্যিক চাপ গ্রহণ করার ক্ষমতা অর্জন করে। রোযাদার ব্যক্তি দৈহিক খিচুনী এবং মানসিক অস্থিরতার এর মুখোমুখি হয় না।’’
আসুন রমজানকে এমন ভাবে কাজে লাগাই যাতে আমরা প্রত্যেকে বিশুদ্ধ হয়ে যায়।
১. স্বাস্থ্যবিজ্ঞানী ডা. শেলটন তার “সুপিরিয়র নিউট্রিশন” গ্রন্থে বলেছেন, উপবাসকালে শরীরের মধ্যকার প্রোাটিন, চর্বি, শর্করা জাতীয় পদার্থগুলো স্বয়ং পাচিত হয়। ফলে গুরুত্বপূর্ণ কোষগুলোর পুষ্টি বিধান হয়।
২.নোবেল পুরস্কার বিজয়ী ঔষুধ ও শল্য চিকিৎসার প্রখ্যাত ডাঃ অ্যালেকসিস বলেছেন, উপবাসের মাধ্যমে লিভার রক্ত সঞ্চালন দ্রƒত হয় ফলে ত্বকের নিচে সঞ্চিত চর্বি, পেশীর প্রোাটিন, গ্রন্থিসমূহ এবং লিভারে কোষসমূহ আন্দোলিত হয়। আভ্যন্তরীণ দেহ যন্ত্রগুলোর সংরক্ষণ এবং হ্নদপিন্ডের নিরাপত্তার জন্য অন্য দেহাংশগুলোর বিক্রিয়া বন্ধ রাখে। খাদ্যাভাব কিংবা আরাম-আয়েশের জন্য মানুষের শরীরের যে ক্ষতি হয়, রোজা তা পূরণ করে দেয়।”
৩.ডাঃ আইজাক জেনিংস বলেছেন, ” যারা আলস্য ও গোড়ামীর কারণে এবং অতিভোজনের কারণে নিজেদের সংরক্ষিত জীবনী শক্তিকে ভারাক্রান্ত করে ধীরে ধীরে আতœহত্যার দিকে এগিয়ে যায়, রোযা তাদেরকে এ বিপদ থেকে রক্ষা করে।”
৪.বিশ্বখ্যাত চিকিৎসা বিজ্ঞানী নাষ্টবারনার বলেন, “ফুসফুসের কাশি, কঠিন কাশি, সর্দি এবং ইনফ্লুয়েঞ্জা কয়েকদিনের রোযার কারণেই নিরাময় হয়।”
৫.ডাক্তার দেওয়ান এ,কে,এম, আব্দুর রহীম বলেছেন, “রোযাব্রত পালনের কারণে মসিÍস্ক এবং স্নায়ুতন্ত্র সর্বাধিক উজ্জীবিত হয়।
৬.স্বাস্থ্যবিজ্ঞানী ডা. আব্রাহাম জে হেনরি রোযা সম্পর্কে বলেছেন, “রোযা হলো পরমহিতৈষী ওষুধ বিশেষ। কারণ রোযা পালনের ফলে বাতরোগ, বহুমূত্র, অজীর্ণ, হৃদরোগ ও রক্তচাপজনিত ব্যাধিতে মানুষ কম আক্রান্ত হয়।”
৭.পাকিস্তানের প্রখ্যাত প্রবীণ চিকিৎসক ডা. মুহাম্মদ হোসেনও একই ধরনের কথা বলেছেন। তারমতে, “যারা নিয়মিত রোজা পালনে অভ্যস্ত সাধারণত তারা বাতরোগ, বহুমূত্র, অজীর্ণ, হৃদরোগ ও রক্তচাপজনিত ব্যাধিতে আক্রান্ত কম হন।”
৮.চিকিৎসা বিজ্ঞানী ডা. ক্লাইভ বলেন, “রোযার বিধান স্বাস্থ্যসম্মত ও বিজ্ঞানসম্মত । সেহেতু ভারত, জাপান, ইংল্যান্ড, দক্ষিণ নাইজেরিয়াতে অন্যসব এলাকার তূলনায় মুসলিম অধ্যুষিত এলাকায় রোগ ব্যাধি অনেক কম দেখা যায়।”
এভাবে বিশ্বের অনেক চিকিৎসা বিজ্ঞানী রোযার উপকারিতা বর্ণনা করেছেন। গবেষণায় দেখা গেছে, রোযাদার ব্যক্তি ধুমপান না করার কারণে ফুসফুস রোগমুক্ত থাকে। পেপটিক আলসারের রোগীরা রোযা রাখলে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন। হৃদরোগ, উচ্চ রক্তচাপ ও হাঁপানি রোগীদের জন্যও রোযা উপকারী।
লেখক:
মাওলানা মুহাম্মাদ আসাদুজ্জামান ফারুকী,
[বিএ, এমএম, এমএ (অল ফার্স্টক্লাস)]
খতিব, কলারোয়া থানা জামে মসজিদ, সাতক্ষীরা।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)
একই রকম সংবাদ সমূহ
‘ভূয়া’ সংবাদিকদের দৌরাত্মে সাধারণ মানুষ ভোগান্তিতে
সংবাদপত্রকে বলা হয় সমাজের দর্পণ বা আয়না। এই আয়নায় সমাজেরবিস্তারিত পড়ুন
এবার অভিনয়ে পরিচালক শিমুল সরকার
নজরুল ইসলাম তোফা:: পরিচালক শিমুল সরকার। সময়ের তরুণ জনপ্রিয় একজনবিস্তারিত পড়ুন
আজব এক ব্যক্তি কাঁচা মাছ, মাংস ও লতাপাতা খেয়ে স্বাভাবিক চলে
নজরুল ইসলাম তোফা:: জীবনে চলার পথে বহু রকম মানুষের সাথেবিস্তারিত পড়ুন