শনিবার, নভেম্বর ২৩, ২০২৪

কলারোয়া নিউজ

প্রধান ম্যেনু

সাতক্ষীরার সর্বাধুনিক অনলাইন পত্রিকা

আরো খবর....

নড়াইলে পুলিশ লাইনে প্যারেডে সালাম গ্রহণ ও পরিদর্শন

নড়াইল পুলিশ লাইনে মাঠে ফোর্সদের মাসিক কিড প্যারেড সকাল ১০ ঘটিকায় পুলিশ লাইন প্যারেড ময়দানে মাসিক প্যারেডের আযয়োজন করে নড়াইল জেলা পুলিশ ! নড়াইলের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন পিপিএম (বার), সরকারি কাজে বাইরে থাকায় সালাম গ্রহণ ও কিড প্যারেড পরিদর্শন করেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল নড়াইল) শেখ ইমরান ,আমাদের নড়াইল জেলা প্রতিনিধি উজ্জ্বল রায় জানান, অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নড়াইলে কমরত পুলিশের সকল ইউনিটের কর্মকর্তা ও কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন। সদর সার্কেল শেখ ইমরান মাসিক কিড প্যারেডে সালাম ও গ্রহণ পরিদর্শন শেষে ফোর্সদের উদ্দেশ্যে বলেন, পুলিশ জনগণের বন্ধু এ কথা পুথিতে নয় কাজেই প্রমাণ করতে হবে। ভালো কাজে পুরস্কার, খারাপ কাজে তিরস্কার-এ মর্মবাণী পুলিশের প্রতিটি কার্যক্রমে বহাল থাকবে। সেই সাথে যারা উক্ত অনুষ্ঠানে ভালো পোশাক-পরিচ্ছদ পরিধান করে অংশগ্রহণ করেন তাদেরকে পুরস্কৃত করেন। এছাড়াও যারা ইয়বার সাথে জড়িত তাদেরকে শাস্তির আওতায় আনা হবে। সকলকে, ইয়বা, জঙ্গি, সন্ত্রাস, ইভটিজিং ও বাল্যবিবাহ রোধে একযোগে কাজ করার উদাত্ত আহ্বান জানান। সকল প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা রোধে সকলকে কঠোর নজরদারি রাখার জন্যও নির্দেশনা প্রদান করেন। তিনি আরও বলেন, পুলিশ ক্ষমতার বলে কাউকে কোনো প্রকার হয়রানি না করে সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে। কারো বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ পাওয়া গেলে তাকে কঠোর শাস্তি পেতে হবে বলেও হুশিয়ারি প্রদান করেন।

সংযেগের অতিরিক্ত অর্থ নিয়েও নড়াইলে পল্লী বিদ্যুতের আলোর মুখ দেখতে পারেনি তারা
নড়াইলের পুরুলিয়া গ্রামে ১২০টি পরিবারের পল্লী বিদ্যুতের সংযোগ নিতে প্রত্যেক পরিবারের কাছ থেকে অতিরিক্ত অর্থ নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের স্থানীয় কয়েকজন দালাল হুমকি দিচ্ছে, এ অর্থ দিতে না দিলে কারো ঘরে আলো জ্বলবে না। এমনকি যাদের বৈদ্যুতিক খুঁটি ও তার সংযোগ দেয়া হয়েছে তাদের বাড়ির সামনের বৈদ্যুতিক খুঁটি ও তার খুলে নেয়া হবে। নড়াইলের কালিয়া উপজেলার চন্দ্রপুর গ্রামের কয়েকজনকে বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়ার কথা বলে নড়াইলের কালিয়া উপজেলার পুরুলিয়া মধ্যপাড়ার অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক রুহুল কুদ্দুস, ফিরোজা বেগম, পলি বেগম, ইবাদুল শেখ, লিটন শেখ, চান মোল্যা, খাজা মিয়া, আকছির বাকা মিনা, গফুর শেখ, জান্নু মোল্যা, সালামত শেখ, দাড়িপরপাড়ার রবিউল ইসলাম, বাদল মোল্যা, সুরত গাজী,সোহেল মোল্যা, সাবু শেখসহ ১২০টি পরিবারের প্রত্যেকের কাছ থেকে সাড়ে ৫ হাজার টাকা করে নিয়েছে । আমাদের নড়াইল জেলা প্রতিনিধি উজ্জ্বল রায় জানান, নড়াইলের কালিয়া উপজেলার মধ্য পুরুলিয়া ও দাড়িপরপাড়ায় যশোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২, নড়াইল থেকে ১২০জন গ্রাহকের মধ্যে নতুন বিদ্যুৎ সংযোগের জন্য তাদের বাড়ির সামনে দিয়ে সম্প্রতি বৈদ্যুতিক খুঁটি বসানো হয়েছে এবং টানানো হয়েছে তার। আবাসিক সংযোগের জন্য একজন গ্রাহক অফিসে জামানত বাবদ ৪০০ টাকা এবং সমিতির সদস্য বাবদ ৫০ টাকা দিলে সংশ্লিষ্ট অফিস থেকে বৈদ্যুতিক খুঁটি, সার্ভিস তার (১৩০ ফুটের মধ্যে) এবং মিটার গ্রাহকের বাড়ির আঙ্গিনায় বসিয়ে দেয়া হবে। এছাড়া বাকি সমস্ত খরচ গ্রাহকের। নড়াইলের কালিয়া উপজেলার পুরুলিয়া গ্রামের ভ্যান চালক ফেরদৌস গাজী বলেন, ‘আমার বাড়ি নির্দিষ্ট আয়ত্বের বাইরে দেখিয়ে বৈদ্যুতিক খুঁটিসহ সংযোগের জন্য ১২ হাজার টাকা অথবা খুঁটি বাদে ৬ হাজার টাকা দাবি করেছে। এ জন্য ১ হাজার টাকা দিলেও আমার বাড়িতে এখনও খুঁটি ও তার পৌঁছায়নি। ২৬ আগস্ট সকালে সংযোগের জন্য গেলে ৬ হাজার টাকা ছাড়া বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়া হবে না বলে জানিয়েছে।’ নড়াইলের কালিয়া উপজেলার পুরুলিয়া মধ্যপাড়া গ্রামের শফিক মোল্যার স্ত্রী পলি বেগম অভিযোগে জানান, বিদ্যুৎ সংযোগের জন্য তার কাছে ৫ হাজার টাকা দাবি করেছে। দাবিকৃত এ অর্থ দেয়নি বলে হুমকি দিয়েছে, তোমার বাড়ির পাশের বৈদ্যুতিক খুঁটি ও তার খুলে নেয়া হবে। টাকা না দিলে ঘরে আলো জ্বলবে না। যশোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ নড়াইলের ডিজিএম দিলীপ কুমার বাইন বলেন, এ ব্যাপারে আমার কাছে কোনো তথ্য নেই। যশোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ নড়াইলের নড়াইলের কালিয়া উপজেলার সাব জোনাল অফিস ভালো বলতে পারবে। তিনি অনিয়মের বিষয়টি জোনাল অফিসের এজিএম-এর সাথে কথা বলবেন বলে জানান। নড়াইলের কালিয়া উপজেলার সাব জোনাল অফিসের এজিএম রুবেল হোসেন বলেন, আবাসিক গ্রাহকের বাড়িতে বৈদ্যুতিক খুঁটি ও তার পৌছে দিতে সরকারিভাবে রশিদের মাধ্যমে জমা দিতে হবে ৪৫০ টাকা। এর বাইরে অফিসের আর কোনো খরচ নেই। বাকিটা ব্যক্তিগত। এসব বিষয়ে ধারণা দিতে বিভিন্ন সময় মিটিং ও উঠান বৈঠক করা হয়েছে। তারপরও কিভাবে মানুষ কিভাবে দালালদের ক্ষপরে পড়ে বুঝিনে।এলাকার কেউ এ বিষয় নিয়ে কোনো অভিযোগও করেনি। আপনারা এসব দালালদের পুলিশে ধরিয়ে দিন। তিনি আরও বলেন, এ বছরের মধ্যেই নড়াইলের কালিয়া উপজেলার সমস্ত গ্রামে শতভাগ বিদ্যুতায়নের লক্ষমাত্রা রয়েছে। সেখানে এ ধরনের কাজ খুবই দুঃখজনক। তিনি বিষয়টি দেখছেন বলে জানান।

নড়াইলে জাক যোমক ভাবে জেলা বিএনপির আয়োজনে শহরে প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত

নড়াইলে জাক যোমক ভাবে বিএনপির প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত হয়েছে। জেলা বিএনপির আয়োজনে শহরের তাহেরা কনভেনশনে এ উপলক্ষে অনুষ্ঠিত আলোচনাসভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা বিএনপির সভাপতি বিশ্বাস জাহাঙ্গীর আলম। আমাদের নড়াইল জেলা প্রতিনিধি উজ্জ্বল রায় জানান, এ সময় বক্তব্য রাখেন, জেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক মনিরুল ইসলাম, যুগ্ম-সম্পাদক আলী হাসান, সাংগঠনিক সম্পাদক শাহারিয়ার রিজভি জর্জ, জেলা যুবদলের সভাপতি মশিয়ার রহমানস ছাত্রদলের সদ্য বিদায়ী সাধারন সম্পাদক খন্দকার ফসিয়ার রহমান প্রমূখ। বিএনপির ৪১তম এ প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে আলোচনা সভায় বক্তারা বিএনপির চেয়ারপার্সন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবী করেন। অনুষ্ঠানে দলীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

আসুন পান সুপারী জব্দ করি: আসামির শরীরে স্টিকার লাগিয়ে হাজির করা বেআইনি বললেন আদালত

ভোলার সহকারী জজ জাবেদ ইমাম ২০১২ খ্রিস্টাব্দে ৩৪২ বোতল ফেনসিডিলসহ গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। ওই ঘটনায় তার চার বছর জেল হয়। কিন্তু জাবেদ ইমামকে গ্রেপ্তারের পর মিডিয়ার সামনে আসামির শরীরে স্টিকার লাগিয়ে হাজির করাকে বেআইনি বলে মত দেন আদালত। ১২ ডিসেম্বর ২০১২ প্রকাশিত সকল দৈনিক পত্রিকায় এদত সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ হয়। সাধারণত ফৌজদারি আইনে কেউ চূড়ান্ত দোষী সাব্যস্থ না পর্যন্ত অপরাধী বিবেচনা করার সুযোগ নাই। বরং বিচার চূড়ান্তভাবে নিস্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত নির্দোষ ধরে নিতে হবে। মামলা বিচারাধীন সময়ে অভিযুক্ত হিসাবে বিবেচিত হবে। কিন্তু সম্প্রতি অভিযুক্তদের মিডিয়ার সামনে এমনভাবে হাজির করা হয়, যেন তাদের নামে রায় দেওয়া হয়েছে। সরাসরি চোর, ডাকাত, খুনি স্টিকার লাগিয়ে আসামি হাজির করার প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে। যা অস্বাভাবিক ও বেআইনি। বরং আইনে রায় দেওয়ার পর দোষী সাব্যস্থ হলে কারাগারে পাঠানো ছাড়া, কোন মিডিয়ায় উপস্থাপনের সুযোগ নেই। নিশ্চয়ই আমাদের ভেবে দেখা উচিত, পান সুপারি চুন জব্দ করব কিনা পরীক্ষার এ দুনিয়ায় ভুল করাটা অপরাধ নয়। অপরাধ হল, ভুল করার পর তা স্বীকার না করা (সালমান রুশদী ও মিছিলের রাজনীতি, মওলানা ওয়াহিদুদ্দীন খান, পৃষ্ঠা ১৭৪)। এই প্রবণতা বর্তমানে প্রবল আকার ধারণ করেছে। কেউ ভুল স্বীকার করতে চায় না। ভুল স্বীকার করলে নিজেকে ছোট বা দুর্বল মনে হয়। যে পান্ডিত্য প্রচারে ভুল হয়েছে, ওই পান্ডিত্য খন্ডন হয়ে যায়। ভুল হওয়াটাই স্বাভাবিক। ভুল শোধরানোও স্বাভাবিক। ভুল না শোধরিয়ে টিকেয়ে রাখা মূর্খতা বইকি। নানা মহলের সূত্র থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। যারা এড়িয়ে চলে, তারা প্রকৃত পক্ষে ঠিক লাইনে আছে কিনা এটি সন্দেহ। কিন্তু যাদের গাঁ ঘেষে চলে, তারা তাদের কতটা গুরুত্ব দেয় এটিও ভেবে দেখা উচিত এড়িয়ে চলাদের। সম্প্রতি গণমাধ্যমে ভুল শব্দের ব্যবহার লক্ষণীয় মাত্রায় বেড়েছে। সোহেল রানা নামে একজন অগ্নিনির্বাপককর্মী নিহত হয়েছেন। বনানীর এফ আর টাওয়ারে আগুন নেভানোর ঘটনায় তিনি আহত হয়েছিলেন। ইংরেজি শব্দকে বাংলায় ব্যবহারের ক্ষেত্রে মোটাদাগে সব গণমাধ্যম ফায়ারম্যান ব্যবহার করেছে। যেন ফায়ারম্যান শব্দের বিপরীতে ফায়ার লেডি নামে আরেকটি শব্দ রয়েছে। কিংবা ফায়ার সার্ভিসে কেবল পুরুষ চাকরি করে। কোনো নারী চাকরি করলে তার পদও ফায়ারম্যানই থাকবে। টেলিভিশন ও রেডিওতে আগে সংবাদ পাঠক পাঠিকা শব্দ ব্যবহার করা হতো। এখন মোটাদাগে নারী পুরুষ বিবেচনা না করে নিউজ প্রেজেন্টার শব্দ ব্যবহার করা হচ্ছে। একই রকমভাবে জেন্ডার বান্ধব শব্দ হিসাবে ফায়ার ফাইটার শব্দ ব্যবহার হচ্ছে। এখন কেউ সেলসম্যান বা সেলস উইমেন শব্দ ব্যবহার করে না। বরং জেন্ডার বান্ধব শব্দ হিসাবে সেলস এক্সিকিউটিভ শব্দ ব্যবহার করে। এগুলো আধুনিকতা ও উন্নত রুচীরও পরিচয়। বর্তমানে ছাত্র ছাত্রী শব্দের ব্যবহার কমেছে। জেন্ডার বান্ধব বিবেচনায় শিক্ষার্থী শব্দের ব্যবহার বেড়েছে। প্রায় প্রতিদিন কতগুলো মেইল পাঠ করি সংবাদ সম্পাদনার কারণে। যারা আমাদের সঙ্গে যুক্ত তারা এখনও সকলে পরিহারযোগ্য সব শব্দ পরিত্যাগ করেছে এমন নয়। আবার আমরাও তাদের ব্যবহার করা শব্দ সব বাছাই করে পরিত্যাগ করতে পারি এমনও নয়। নানা কারণে অপব্যবহার হয় এমন শব্দ থেকে যায়। হয়তো সামনের দিনগুলোতে ব্যবহারিক উন্নতি হলে এসব আপদ দূর করতে পারব। আবার আমরা কতগুলো লাইন বা প্যারা সরাসরি বাতিল করে দেই। এটি আমাদের সম্পাদনা ছুরি এমন মনে করার কোন কারণ নেই। সম্প্রতি প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যেসব প্রেস রিলিজ প্রেরণ করে এসব একটু ঘেঁটে দেখলেই মনে হবে কেন জানি অপ্রেয়োজনীয় অনেক বিষয় যুক্ত হয়ে যাচ্ছে। যেমন দুই পক্ষ জমি সংক্রান্ত বিরোধে মারামারি করার কারণে মামলা হয়েছে। ওই মামলার পলাতক থাকা আসামিদের কোন একটি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী গ্রেপ্তার করেছে। এবার তারা আসামিদের মিডিয়ার সামনে হাজির করার সময়, আসামিদের ব্যবহার করা দুই বা তিনটি মোবাইল ফোন হাজির করেছে। এসব মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়েছে বলে প্রেস রিলিজে উল্লেখ করা হয়েছে। মারামারির মামলায় মোবাইল ফোন জব্দ না হলে, আসামি গ্রেপ্তারের পর মোবাইল ফোন জব্দ করা জরুরি কি? মোবাইল নামের যন্ত্রটি যেভাবে মানুষের ব্যবহারে প্রয়োজনীয় হয়ে ওঠেছে, তাতে একজন আসামির নিকট মোবাইল ফোন থাকা স্বাভাবিক নয় কি? যে মোবাইল ফোন জব্দ হয়েছে এই ফোন কি মারামারিতে ব্যবহার হয়েছে? এই মোবাইল ফোন কি আদালতে সাক্ষ্য হিসাবে ব্যবহার করার মতো কোন আলামত? যদি আলামত না হয়ে থাকে, তাহলে এটি কোন কারণে প্রাসঙ্গিক? যার নিকট থেকে মোবাইল ফোন পাওয়া যায়, তার নিকট ২০-৫০ টাকাও পাওয়া যাওয়ার কথা। সব আসামির ক্ষেত্রে কি সামান্য কয়েক টাকাও জব্দ করা হয়? এখনও এই দেশে মানুষ যে পরিমাণ ধূমপান করে বা পান সুপারি খায়, তাতে কি এসবও জব্দ করার মতো? চোরাই পণ্য জব্দ ও নিত্য ব্যবহার্য যন্ত্র জব্দ কি একই ব্যাপার? ছিনতাইকারী, ডাকাত, চোর যদি মোবাইল ফোন চুরি, ডাকাতি বা ছিনতাইয়ে ব্যবহার করে তবে তা জব্দ হতে পারে। ধর্ষণকারীরও মোবাইল ফোন থাকতে পারে। যদি ওই মোবাইল ফোনে আপত্তিকর দৃশ্য ধারণ করা হয়, তাহলে নিশ্চয়ই মোবাইল ফোন জব্দ করা জরুরি। বিনা কারণে ধর্ষণে অভিযুক্ত ব্যক্তির মোবাইল ফোন আসামি সঙ্গে জব্দ হিসাবে কি কাজে আসবে? আসামিকে মিডিয়ায় হাজির করার সময় যন্ত্রপাতি সাক্ষ্য বা আলামত না হলে আদালতের নিকট কি এটি প্রযোজ্য? সাক্ষ্য আইনে বা ফৌজদারি কার্যবিধির কোন ধারায় এটি জব্দ করার বিধান রয়েছে বোধগম্য হচ্ছে না। আরেকটি বিষয় খুব বেশি দেখা যায়। আসামি গ্রেপ্তার হলেই ট্যাব, ল্যাপটপ ও কমপিউটার জব্দ করা হয়। আধুনিক সভ্যতায় ট্যাব, ল্যাপটপ ও কমপিউটার ব্যবহার খুব মামুলি ব্যাপার। এসব ট্যাব, ল্যাপটপ ও কমপিউটার জব্দ করে কি বোঝানো হয়। এসব ট্যাব, ল্যাপটপ ও কমপিউটার কি খুবই ক্ষতিকর বা ক্ষতির কারণ? আলোচ্য ঘটনায় প্রাসঙ্গিক না হলে কেন এসব করা হয়? বিজ্ঞান মনস্ক জাতি গড়তে যন্ত্রপাতি বা প্রযুক্তির ব্যবহার বাধ্যতামূলক। আইন শৃঙ্খলা বাহিনী যদি বিনা কারণে এসব প্রযুক্তি নির্ভর যন্ত্রপাতি জব্দ করে, এতে প্রযুক্তি ব্যবহারের প্রতি কোন নেতিবাচক প্রভাব তৈরি হয় কিনা এটি ভেবে দেখা উচিত। বিজ্ঞান লেখক অভিজিৎ রায় হত্যা মামলার আসামি ফারাবি একজন বিতর্কিত ব্লগার। তিনি ১০ এপ্রিল ২০১৯ বুধবার ঢাকার সাইবার ক্রাইম ট্রাইবুনাল থেকে খালাশ পেয়েছেন। তাকে গ্রেপ্তারের সময় এমন কিছু যন্ত্রপাতি জব্দ করা হয়েছিল। কি কারণে ওই যন্ত্রপাতি ফারাবির বিরুদ্ধে ব্যবহার করা যায়নি? প্রকৃত পক্ষে যন্ত্রপাতির ব্যবহারের ফলে অপরাধ ঘটলে এটি কাজে লাগত। কেবল জব্দ দেখানোর কারণে জব্দ করা হলে কোন কাজে আসে না। ভোলার সহকারী জজ জাবেদ ইমাম ২০১২ খ্রিস্টাব্দে ৩৪২ বোতল ফেনসিডিলসহ গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। ওই ঘটনায় তার চার বছর জেল হয়। কিন্তু জাবেদ ইমামকে গ্রেপ্তারের পর মিডিয়ার সামনে আসামির শরীরে স্টিকার লাগিয়ে হাজির করাকে বেআইনি বলে মত দেন আদালত। ১২ ডিসেম্বর ২০১২ প্রকাশিত সকল দৈনিক পত্রিকায় এদত সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ হয়। সাধারণত ফৌজদারি আইনে কেউ চূড়ান্ত দোষী সাব্যস্থ না পর্যন্ত অপরাধী বিবেচনা করার সুযোগ নাই। বরং বিচার চূড়ান্তভাবে নিস্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত নির্দোষ ধরে নিতে হবে। মামলা বিচারাধীন সময়ে অভিযুক্ত হিসাবে বিবেচিত হবে। কিন্তু সম্প্রতি অভিযুক্তদের মিডিয়ার সামনে এমনভাবে হাজির করা হয়, যেন তাদের নামে রায় দেওয়া হয়েছে। সরাসরি চোর, ডাকাত, খুনি স্টিকার লাগিয়ে আসামি হাজির করার প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে। যা অস্বাভাবিক ও বেআইনি। বরং আইনে রায় দেওয়ার পর দোষী সাব্যস্থ হলে কারাগারে পাঠানো ছাড়া, কোন মিডিয়ায় উপস্থাপনের সুযোগ নেই। নিশ্চয়ই আমাদের ভেবে দেখা উচিত, পান সুপারি জব্দ করব কিনা।

একই রকম সংবাদ সমূহ

১৪ জুলাই: যবিপ্রবির ল্যাবে সাতক্ষীরা জেলার ৩০ জন করোনা পজিটিভ!

যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) জিনোম সেন্টারে ১৪ জুলাই,২০২০বিস্তারিত পড়ুন

এনামুল-সম্রাটসহ ৪ জনের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দ

ক্যাসিনো ব্যবসার সঙ্গে সম্পৃক্ততা ও অবৈধ অর্থ লেনদেনের অভিযোগে সংসদবিস্তারিত পড়ুন

‘ভূয়া’ সংবাদিকদের দৌরাত্মে সাধারণ মানুষ ভোগান্তিতে

সংবাদপত্রকে বলা হয় সমাজের দর্পণ বা আয়না। এই আয়নায় সমাজেরবিস্তারিত পড়ুন

  • নড়াইলে শিশু মহিমা খুন ।। দাদা-দাদিসহ ৮জনের বিরুদ্ধে মামলা
  • টিকাদানের সাফল্যে ‘ভ্যাকসিন হিরো’ পেলেন প্রধানমন্ত্রী
  • সর্বজনীন স্বাস্থ্য কর্মসূচির অগ্রগতি ত্বরান্বিত করার আহ্বান
  • নড়াইলে ফুটবল টুর্নামেন্টের উদ্বোধন করলেন এসপি জসিম উদ্দিন
  • এবার বাংলাদেশেও ভাঙল প্রচলিত নিয়ম, যাত্রী নিয়ে বিয়ে করতে বরের বাড়িতে কনে!
  • তবু নড়াইলের দিপালী’র মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি মেলেনি! মৃত্যুর পরে রাষ্ট্রীয় মর্যাদার প্রত্যাশা
  • আইনজীবীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে সুপ্রিম কোর্টে মিন্নি
  • ইউপি নির্বাচন : চেয়ারম্যান-মেম্বারদের শিক্ষাগত যোগ্যতার বিষয়টি ‘গুজব’
  • পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় এক প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ
  • নড়াইলে ইয়াবাসহ ইউএনও অফিসের সহায়ক গ্রেফতার
  • নড়াইলে ভাইস চেয়ারম্যানের জামিন ও রিমান্ড না মঞ্জুর
  • ঢাবিতে ভর্তিচ্ছুদের সহায়তায় বাগেরহাট জেলা…