বুধবার, ডিসেম্বর ১১, ২০২৪

কলারোয়া নিউজ

প্রধান ম্যেনু

সাতক্ষীরার সর্বাধুনিক অনলাইন পত্রিকা

পাঁচ জেলায় গম চাষ না করার পরামর্শ

চলতি বছর যশোর অঞ্চলের পাঁচ জেলার কৃষকদের গম চাষ না করার জন্য নিরুৎসাহিত করছে কৃষি বিভাগ। গত বছর যশোর, ঝিনাইদহ, চুয়াডাঙা, মেহেরপুর, কুষ্টিয়া জেলায় ছত্রাকজনিত ব্লাস্ট রোগের প্রাদুর্ভাব ঘটে। এতে কৃষকরা গম চাষে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

ব্লাস্ট রোগের মহামারি রোধে মৌসুম শুরুর আগেই কৃষকদের গম আবাদ না করার জন্য নিরুৎসাহিত করছে কৃষি বিভাগ। ফলে এ অঞ্চলে গম চাষের লক্ষ্যমাত্রাও নির্ধারণ করা হয়নি।

বাংলাদেশ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর যশোরের উপ-পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) এমদাদ হোসেন শেখ জানান, গত মৌসুমে যশোর অঞ্চলের ব্লাস্ট রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়। এতে কৃষকরা ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ভাইরাসজনিত ব্লাস্ট রোগ দমনে চলতি মৌসুমে যশোরসহ দেশের সাত জেলায় গম আবাদ না করার জন্য কৃষকদের নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে। কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে কৃষকদের সচেতন করতে নানা কর্মসূচি হাতে নেয়া হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, ব্লাস্ট রোগের আক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে হলে গম আবাদ বন্ধ করতে হবে। কয়েক বছর জমিতে গম আবাদ না করলে রোগ দমন সম্ভব হবে। কারণ বীজে ভাইরাস না থাকলেও ক্ষেতের ঘাসে রোগের জীবাণু থেকে যায়। এতে পরবর্তী বছরও রোগ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা থেকে যায়। তাই এবার গম আবাদ না করাটাই ভালো।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ১৯৮৫ সালে সর্ব প্রথম ব্রাজিলে দেখা দেয় ব্লাস্ট রোগ। পরবর্তীতে দক্ষিণ আমেরিকার অন্যান্য দেশ বলিভিয়া, প্যারাগুয়ে, আর্জেন্টিনার মতো দেশে বিস্তার ঘটে। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসের মাঝামাঝি সময়ে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সাতটি জেলায় এই রোগ প্রথমবারের মতো দেখা দেয়।

যশোর, কুষ্টিয়া, মেহেরপুর, ঝিনাইদহ, চুয়াডাঙা, বরিশাল ও ভোলা জেলার প্রায় ১৫ হাজার হেক্টর জমি ব্লাস্টে আক্রান্ত হয়। এটা দেশের মোট গম আবাদি জমির ৩ ভাগ। রোগের বিস্তার রোধে কোনো কোনো এলাকায় গমের ক্ষেত পুড়িয়ে ফেলা হয়।

কৃষি বিজ্ঞানীরা জানায়, আক্রান্ত বীজের মাধ্যমে গমের ব্লাস্ট রোগ ছড়ায়। বৃষ্টির কারণে গমের শীষ ১২-২৪ ঘণ্টা ভেজা থাকলে এবং তাপমাত্রা ১৮ সেন্টিগ্রেড বা এর বেশি হলে এই রোগের সংক্রমণ হয় এবং রোগের জীবাণু দ্রুত বাতাসের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।

ব্লাস্ট রোগের জীবাণু কিছু কিছু ঘাস জাতীয় পোশাক আগাছা যেমন চাপড়া, শ্যামা, আংগুলি ঘাস ইত্যাদির মধ্যে বাস করতে পারে। তবে সেখানে রোগের লক্ষণ সহজে দৃষ্টিগোচর হয় না।

বিজ্ঞানীরা আক্রান্ত জমি থেকে বীজ গম সংগ্রহ না করা, বীজ বের হবার সময় বৃষ্টি ও উচ্চ তাপমাত্রা পরিহার করতে অগ্রহায়ণ মাসের প্রথম ১৫ দিনের মধ্যে বীজ বপন এবং শীষ বের হবার সময় থেকে দুইবার ছত্রাকনাশক স্প্রে করার পরামর্শ দেন।

একই রকম সংবাদ সমূহ

কলারোয়ায় ফলজ বৃক্ষের চারা বিতরণ

কলারোয়ায় বৃক্ষ রোপন কর্মসূচি পালন করেছে সমাজসেবি প্রতিষ্ঠান ‘সীমান্ত বহুমূখীবিস্তারিত পড়ুন

তালায় ফলদ বৃক্ষ মেলার উদ্বোধন

তালায় ফলদ বৃক্ষ মেলার উদ্বোধন ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।বিস্তারিত পড়ুন

সাতক্ষীরায় প্রথমবারের মতো ব্লাক বেবি তরমুজ চাষে সাফল্য

সাতক্ষীরায় প্রথমবারের মতো ব্লাক বেবি জাতের তরমুজ চাষ করে সফলতাবিস্তারিত পড়ুন

  • সাতক্ষীরায় ‘বৃক্ষ রোপন অভিযান ও বৃক্ষ মেলা’র সমাপনী ও পুরস্কার বিতরনী
  • শ্যামনগরে বিনাধান-১৯ সম্প্রসারণের লক্ষ্যে মাঠ দিবস
  • দেবহাটায় ফলদ বৃক্ষ মেলার উদ্বোধনী র‌্যালী ও আলোচনা সভা
  • সাতক্ষীরায় সুবিধাভোগী মায়ের সফলতার কাহিনী
  • ‘গাছ আমাদের আগামির সঞ্চয়’ : কলারোয়ায় বৃক্ষ মেলার উদ্বোধনীতে উপজেলা চেয়ারম্যান লাল্টু
  • পানির অভাবে মণিরামপুরে পাট জাগ দেয়া নিয়ে বিপাকে কৃষকরা
  • পানির অভাবে কেশবপুরে পাট নিয়ে বিপাকে কৃষকরা..
  • তালায় কৃষকদের নজর কেড়েছে শাহীনুর সুলতানার ভার্মি কম্পোষ্ট প্রকল্প
  • ফসলি জমিতে দেখা নাই প্রাচীন কৃষি উপকরণ লাঙ্গল, জোয়াল, মই
  • কলারোয়ায় কৃষক পর্যায়ে ডাল-তেল-মসলা উৎপাদনে আলোচনা অনুষ্ঠান
  • পেয়ারা চাষে ভাগ্যের চাকা ঘুরেছে কলারোয়ার রুহুল আমিনের
  • কলারোয়ায় বর্ষা মৌসুমের টমেটো চাষে সাফল্যের আলো দেখছেন কৃষকরা