আরো খবর....
নড়াইলের গ্রাসকার্প মাছের পেটে জমির আমন ধান!
নড়াইলের পেড়লি ইউপির এখানকার ৭৫ ভাগ জমিই খেটে খাওয়া সাধারণ কয়েকজন মানুষের। সরকারি টাকায় নির্মিত রাস্তা ঘেরা কদমতলা বিলে ব্যক্তি মালিকানাধীন কৃষি জমিতে কৌশলে ঘের বানিয়ে মাছ চাষ করছেন নড়াইলের পেড়লী ইউপি চেয়ারম্যান জারজিদ মোল্লা। এতে ৫০ একর জমির আমন ধান ঘেরের মাছ খেয়ে ফেলেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ক্ষতিগ্রস্তরা সাংবাদিকদের জানান, ‘আপনারা আইছেন দেহে যান, কতা বললি আমাদের জান থাকপে নানে’।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ইউপি চেয়ারম্যান জারজিদ মোল্লা গত তিন মাস আগে এলজিএসপি এবং কর্মসৃজনের ৩টি প্রকল্পের আওতায় কদমতলা রমজান মেম্বরের বাড়ি থেকে আশরাফ মাওলানার বাড়ি আবার সেখান থেকে কদমতলা বিল অভিমুখী এবং কদমতলা হিন্দু পাড়ার ডোব থেকে চর জামরিলডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পর্যন্ত প্রায় দেড় কিলোমিটার কাঁচা রাস্তা নির্মাণ করেন। উৎপাদিত ফসল আনা-নেয়া, সেচ সুবিধা ও যাতায়াতের সুব্যবস্থার কথা বলে কৃষকদের জমির ওপর দিয়ে ওই রাস্তা নির্মাণ করা হয়। এ সময় রাস্তার একই পাশে দেড় কিলোমিটার জুড়ে লম্বা খাল তৈরি করেন তিনি। কিন্তু প্রায় দেড় মাস আগে ওই খালে বৃষ্টির পানি জমায় চেয়ারম্যান সেখানে প্রায় দেড়শ মণ গ্রাসকার্প জাতীয় মাছের বড় পোনা ছাড়েন এবং দেখাশোনার জন্য কর্মী নিয়োগ দেন।
অপরদিকে রাস্তা দিয়ে ঘেরা জমিতে আমন ধান লাগান কৃষকরা। ধান গাছ বেড়ে ওঠার সঙ্গে মাছও বেড়ে ওঠতে থাকে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা অভিযোগ করেন, বর্ষায় পানি বেড়ে যাওয়ায় খালের মাছ পার্শ্ববর্তী প্রায় দেড়শ কৃষকের ৫০ একর ফসলি জমিতে ছড়িয়ে পড়ে এবং আমন ধানগাছ খেয়ে ফেলে। এখানকার ৭৫ ভাগ জমিই খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষের। নতুন এই রাস্তা নির্মাণের ফলে বিলের এসব জমির পানি বের হতে পারছে না। সেই সুযোগে চেয়ারম্যান খালে মাছ ছেড়েছেন। কিন্তু এলাকার মানুষ এনিয়ে প্রতিবাদ করার সাহস পাচ্ছেন না বরং কেউ যাতে বাঁধা দিতে না পারে সেজন্য এ জলাশয়ে লোক দিয়ে পাহারার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
সম্প্রতি স্থানীয় এক ব্যক্তি সেখান থেকে একটি মাছ ধরলে চেয়ারম্যানের লোকেরা তাকে মারধরের চেষ্টা করলে চেয়ারম্যানের কাছে মাপ চেয়ে নিজেকে রক্ষা করেন তিনি।
ক্ষতিগ্রস্তরা শুধু বলেছেন, ‘আইছেন, দেহে যান। চিয়ারমেনের সাথে কতা বলেন। তার বিরুদ্ধে কতা বললি আমাগে জান থাকপে নানে।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক ইউপি মেম্বর জানান, চেয়ারম্যান উদ্যেশ্যমূলক ভাবে বিলের মধ্যে রাস্তা নির্মাণের নামে ঘের কেটেছেন। এ নিয়ে কেউ তার বিরুদ্ধে কথা বলতে পারছে না।
ক্ষতিগ্রস্ত এক কৃষক বলেন, এখানে আনুমানিক ১শ বিঘা জমির ধান মাছে খেয়ে ফেলেছে। এরমধ্যে তার পৈতৃক প্রায় ৪ বিভাগ জমিও আছে। চেয়ারম্যান আমাদের ডেকে কিছু শোনেনি বা বলেনি। সে তার তার ইচ্ছা মতো এখানে মাছের চাষ করছে।
ইউপির চেয়ারম্যান জারজিদ মোল্যা জানান, কদমতলার ডোব এলাকায় ১০-১২ বিঘা জমির আমন ধানের ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ জন্য কৃষকদের ডেকে বলেছি ক্ষতিপূরণ দিয়ে দেব। মাছ উঠে গেলে তারা এখানে ইরির ব্লক করতে পারবে।
তিনি আরও বলেন, এ রাস্তা করতে ১০ লাখ টাকার বেশি খরচ হয়েছে। সরকার থেকে পেয়েছি ৩ লাখ টাকার মতো। বাকি টাকা নিজের থেকে খরচ হয়েছে। কৃষকদের সম্মতিক্রমে এবং ভালোর জন্য এ রাস্তা করা হয়েছে।
নড়াইলের কালিয়া থানার ওসি মো. রফিকুল ইসলাম বলেন- এ ব্যাপারে কিছু জানি না এবং কেউ কোনো অভিযোগও দেয়নি।
নড়াইলের কালিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. নাজমুল হুদা বলেন= এ ব্যাপারে তার কিছু জানা নেই। তবে কেউ যদি অভিযোগ করে তাহলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
হেলমেট ছাড়া রাস্তায় বের হলে মোটরসাইকেল বাজেয়াপ্ত
নড়াইলের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন পিপিএম (বার) বলেছেন, দুর্ঘটনা প্রতিরোধে মোটর সাইকেল আরোহীদের হেলমেট এবং লাইসেন্স নিশ্চিতকরনে জেলার ৩টি থানায় একযোগে ট্রাফিক সচেতনতা পক্ষ উদ্বোধন হয়েছে। শহরে তিনটি চেকপয়েন্ট সহ প্রত্যেক উপজেলায় চেকপয়েন্ট বসানো হবে। যারাই হেলমেট ছাড়া রাস্তায় বের হবে তাদের মোটর সাইকেল বাজেয়াপ্ত করা হবে।
দুর্ঘটনা প্রতিরোধে মোটর সাইকেল আরোহীদের হেলমেট এবং লাইসেন্স নিশ্চিতকরনে ট্রাফিক সচেতনতা পক্ষ উদ্বোধন উপলক্ষে এসব কথা বলেন।
ট্রাফিক সচেতনতা পক্ষ উদ্বোধন উপলক্ষে আলোচনা সভায় ছাড়াও বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ট্রাফিক পুলিশের,টিআই মনির, টিআই সামসুল আলম, সার্জেন্ট শাহজালাল ও টিএসআই জিএম সরোয়ারের সহযোগীতায় এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
এসময় ট্রাফিক পুলিশ ও নড়াইল সদর থানা পুলিশের সহযোগীতায় সকল মটর জানের ফিটনেস বিহীন ও সঠিক কাগজ পত্র না থাকলে আইন অনুযায়ী মামলা বা আটক করা হয়।
এ অভিযান চলাকালীন সময় সার্জেন্ট শাহজালাল বলেন, আমাদের পুলিশ সুপার মোহাম্মাদ জসিম উদ্দিন পিপিএম (বার) স্যারের নির্দেশনায় এ অভিযান পরিচালনা করছি। কাগজ পত্র ছাড়া ও হেলমেট ছাড়া মটোরসাইকেলে নিয়মিত মামলা করছি এবং কোনো প্রকার কাগজ পত্র ছাড়া মটরসাইকেল আটক করলে তাদের আটককৃত রসিদ দিয়ে বলা হয়, আপনাদের মটোরসাইকেলের কাগজ পত্র নিয়ে ট্রাফিক অফিসে এসে দেখালে আপনার মটোরসাইকেল নিয়ে যান। অথবা কাগজ পত্র না থাকলে নিয়মিত মটোযানের মামলা করা হয়।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)
একই রকম সংবাদ সমূহ
১৪ জুলাই: যবিপ্রবির ল্যাবে সাতক্ষীরা জেলার ৩০ জন করোনা পজিটিভ!
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) জিনোম সেন্টারে ১৪ জুলাই,২০২০বিস্তারিত পড়ুন
এনামুল-সম্রাটসহ ৪ জনের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দ
ক্যাসিনো ব্যবসার সঙ্গে সম্পৃক্ততা ও অবৈধ অর্থ লেনদেনের অভিযোগে সংসদবিস্তারিত পড়ুন
‘ভূয়া’ সংবাদিকদের দৌরাত্মে সাধারণ মানুষ ভোগান্তিতে
সংবাদপত্রকে বলা হয় সমাজের দর্পণ বা আয়না। এই আয়নায় সমাজেরবিস্তারিত পড়ুন