আরো খবর...
জাতীয়করণের দাবিতে দেবহাটায় শিক্ষকদের মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান
দেবহাটায় স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদ(স্বাশিপ)এর পক্ষ থেকে শিক্ষাব্যবস্থাকে জাতীয়করণের দাবিতে মানববন্ধন ও স্মারক লিপি প্রদান করেছে নের্তৃবৃন্দরা।
রবিবার বেলা ১১টা থেকে ১২টা পর্যন্ত উপজেলা চত্বরে স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদ(স্বাশিপ)এর আয়োজনে ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধন ও নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে প্রধান মন্ত্রী বরাবর স্মারক লিপি প্রদান করা হয়।
মানববন্ধনে উপজেলা স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদ(স্বাশিপ) এর সভাপতি আব্দুল আজিজের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা (স্বাশিপ) এর সাংগঠনিক সম্পাদক সহকারী অধ্যাপক আকবর আলী।
অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন দেবহাটা কলেজের অধ্যাক্ষ একেএম আনিসউজ্জামান, হাজী কেয়ামউদ্দীন মেমোরিয়াল মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ আবুল কালাম, জেলা (স্বাশিপ) এর সহ-সভাপতি আব্দুল্লাহ আল-মামুন, দেবহাটা উপজেলা(স্বাশিপ) এর সহ-সভাপতি মোহাম্মাদালী, পরিমল কৃষ্ণসাহা, প্রশান্ত তরফদার, সাধারণ সম্পাদক শেখ তহিরুজ্জামান, সহ-সম্পাদক আলমগীর কবির, আলহাজ্ব শেখ মোয়াজ্জিন হোসেন, শিক্ষক হাফিজুল ইসলাম, দ্বিনবন্ধু, মুজিবুদ্দৌলা, সুপ্রসাদ দাস, সূর্যকান্ত রায়, শহীদুল ইসলামসহ বিভিন্ন পর্যয়ের নের্তৃবৃন্দরা। পরে নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
স্মারক লিপিতে ২০২১ সালে বর্তমান সরকার বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশ ঘোষণা আগেই ৯৮% বেসরকারি শিক্ষকদের জাতীয়করণ করে সরকারের উন্নয়নের সহকর্মী হিসাবে কাজ করতে চাই স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদ(স্বাশিপ)। একই সাথে ২০৪১ সালের জ্ঞান বিজ্ঞানের সমৃদ্ধ তথ্য প্রযুক্তি নির্ভর আধুনিক উন্নত বাংলাদেশের গড়ার স্বপ্ন বাস্তবায়ণ করতে এবং সোনার বাংলা বিনির্মানে কাজ করতে শিক্ষকদের মর্যাদা বৃদ্ধি ও শিক্ষা ব্যবস্থা জাতীয়করণ করতে দাবি জানানো হয়।
বক্তরা বলেন, স্বাধীনতা যুদ্ধে স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদের বিশেষ ভূমিকা রেখেছিল। শুধু স্বাধীনতা সংগ্রাম নয় জাতীকে শিক্ষিত করতে শিক্ষকরা কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছে। আর এই শিক্ষকদের মধ্যে ৯৮% শিক্ষকদের জাতীয়করণ না হওয়ায় শিক্ষা ব্যবস্থা অনেকটা সমস্যার সৃষ্টি দেখা দিচ্ছে। এই সমস্যা সমাধান করে শিক্ষকদের মান বৃদ্ধি করতে দেশের প্রতিটা উপজেলা ও জেলা পর্যয়ে একযোগে এই মানববন্ধন ও স্মারক রিপি কর্মসূচি পালিত হচ্ছে। দাবি না মানা হলে আগামী ৩ মার্চ জাতীয় পর্যয়ে প্রতিনিধি সভার মাধ্যমে কঠোর কর্মসূচি ঘোষনা করা হবে।
দেবহাটায় স্বামীকে মারপিট করার অভিযোগে স্ত্রীর সংবাদ সম্মেলন
দেবহাটায় স্বামীকে পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে মারপিট করার অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেছেন স্ত্রী বিভা রানী।
রবিবার বিকাল ৪টায় দেবহাটা প্রেসক্লাবে এসে এ সংবাদ সম্মেলন করেন চক-মাঘরী গ্রামের প্রশান্ত ঘোষের স্ত্রী বিভা রানী।
সংবাদ সম্মেলনের লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, গত মঙ্গলবার দুপুর দেড়টার দিকে মাঘরী জোয়ার বিলে আমি ও আমার স্বামী নিজ জমিতে কাজ করতে গেলে পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে আমার প্রতিপক্ষ একই এলাকার শচিন চন্দ্র এর পুত্র অশোক ঘোষ ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী আমার স্বামীকে এলোপাতাড়ি ভাবে মারপিট করে। আমি ঠেকাতে গেলে আমাকেও তারা মারপিটসহ শ্লীলতাহানী করে।
একপর্যয়ে আমার স্বামী মাটিতে লুটিয়ে পড়লে স্থানীয়দের সহযোগীতায় স্বামীকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করি। বর্তমানে আমার স্বামী চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছে। সেখানে উক্ত সন্ত্রাসী ও পূর্বের চাঁদাবাজ চক্ররা আমাদেরকে বিভিন্ন ভাবে হুমকি ধামকি দিয়ে চলেছে। এতে করে আমি এবং আমার পরিবারের সকলে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।
উল্লেখ্য যে, আমার শ্বশুরের অসুস্থ্যতার সুযোগকে কাজে লাগিয়ে মেঝ কাকা শ্বশুর শচিন চন্দ্র এর পুত্র অশোক ঘোষ ১৯৮৯ সালে খাজনা এবং ৩০/৩১ ধারায় জমির কাগজ পত্র সংশোধন করার নামে তিন কাকার জমি-জমা সংক্রান্ত যাবতীয় কাগজ পত্র নিয়ে নেয়। তাছাড়া আমার ছোটা কাকা শ্বশুর পরেশ নাথ ঘোষের ছেলে অনীল ঘোষের নামীয় ক্রয় কৃত ও এস এ খতিয়ানে প্রাপ্ত পৈাত্রিক সম্পতি জাল দলিল করে লিখে নেয়। এছাড়া পরেশ ঘোষের বড় ছেলে সুধীর কৃষ্ণ ঘোষের নামের যাবতীয় সম্পত্তি তিনি দেশে না থাকায় জালিয়াতি ভাবে হাল রেকর্ড করে নিয়েছে। পরর্বতীতে তার কাছে আমার স্বামী কাগজ চাইলে সে বিভিন্ন হুমকি ধামকি সহ নানান তালবাহানা করতে থাকে। আমার শ্বশুর সুস্থ্য হওয়ার পরে বিষয়টি জানতে পেরে বিষয়টি প্রতিকার চেয়ে ১৯৯৩ সালে ৩১ শে মার্চ জেলা দূর্নীতি দমন কর্মকর্তা বরাবর একটি আবেদন দাখিল করে। আবেদন পরিপ্রেক্ষিতে উল্লেখিত জালিয়াতির হোতা অশোক ঘোষের জালিয়াতি প্রমাণিত হওয়ায় তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করে দূনীতি দমন কমিশন।
পরবর্তীতে সাবেক সংসদ সদস্য বর্তমান জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মনছুর আহমেদ এর নেতৃত্বে আলহাজ্ব রফিকুল ইসলাম, সাবেক ইউপি সদস্য গোলাম মোস্তফা, শেখ আব্দুর রউফ, প্রায়ত অনীল কুমার ঘোষ এবং শেখ মারুফ হোসেন দেবহাটা ডাক বাংলায় বসে কয়েক বার শালিশ করে সম্পত্তি সমান ভাবে ভাগ করে দেওয়ার লিখিত শালিশ নামা তৈরী করে দেয়। সে মোতাবেক বিগত কয়েক বছর পুকুরের হারী এবং ফসলী জমির ফসলের ভাগ দিয়ে আসছিল। কিন্তু সখিপুর ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য প্রভাবশালী কাঁকড়া ব্যবসায়ী পরিতোষ বিশ্বাস এর প্ররোচনায় অশোক ঘোষ আমাদের জমির হারী এবং ফসলী জমির ফসলের পাওনা অংশ দেওয়া বন্ধ করে দেয়।
তারপর আমরা একাধিকবার গন্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে শালিশ করি। কিন্তু আশোক ঘোষ অন্যদের প্ররোচনায় তা মেনে নিতে রাজি হয়নি। পরবর্তীতে বিষয়টির প্রতিকার চেয়ে গত ১৪/১০/২০১৭ তারিখে আমার স্বামী দেবহাটা প্রেসক্লাবে জালিয়াতি ও চাঁদাবাজ চক্রের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে গত মঙ্গলবার দুপুর দেড়টার দিকে মাঘরী জোয়ার বিলে আমি ও আমার স্বামী নিজ জমিতে কাজ করতে গেলে পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে অশোক ঘোষ ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী আমাকে ও আমার স্বামীকে এলোপাতাড়ি ভাবে মারপিট করে।
তাই এই জালিয়াতি চাঁদাবাজ চক্রের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পুলিশ সুপার মহোদয়ের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)
একই রকম সংবাদ সমূহ
১৪ জুলাই: যবিপ্রবির ল্যাবে সাতক্ষীরা জেলার ৩০ জন করোনা পজিটিভ!
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) জিনোম সেন্টারে ১৪ জুলাই,২০২০বিস্তারিত পড়ুন
‘ভূয়া’ সংবাদিকদের দৌরাত্মে সাধারণ মানুষ ভোগান্তিতে
সংবাদপত্রকে বলা হয় সমাজের দর্পণ বা আয়না। এই আয়নায় সমাজেরবিস্তারিত পড়ুন
সাতক্ষীরা জেলা ব্যাপী গ্রেফতার ১৩, ইয়াবা-ফেন্সিডিল-গাঁজা উদ্ধার
সাতক্ষীরা জেলা ব্যাপী পুলিশের মাদক বিরোধী বিশেষ অভিযানে মাদক মামলারবিস্তারিত পড়ুন