দেবহাটায় বিদ্যুতের মিটার বিষ্ফোরনে ২টি বসত ঘর আগুনে পুড়ে ছাই
দেবহাটায় বৈদ্যুতিক মিটার বিস্ফোরণ হয়ে ২টি বসতঘর আগুনে পুড়ে ছাই হয়েছে।
ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার বিকালে উপজেলার সখিপুর ইউনিয়নের ধোপাডাঙ্গা গ্রামে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ধোপাডাঙ্গা গ্রামের মৃত শাবান কবিরাজের পুত্র আকবর আলী দিন মজুর হওয়ায় দিনের বেলা মাঠে কাজ করতে যায়। এসময় তার বাড়িতে থাকা অন্য ৩ সদস্যরা কন্যার সন্তান হওয়ায় হাসপাতালে দেখতে যায়। বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে হঠাৎ তার মিটার বিস্ফোরিত হয়ে কাঁচা ঘরবাড়িতে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। মুহূর্তের মধ্যে সেখান থেকে আগুন ছড়িয়ে পড়ে তার পাশের বাড়ি জব্বার আলীর পুত্র আবু ফরহাদ আলীর ঘরে প্রবেশ করে। আগুনে আকবর আলী ঘরের সব কিছু পুড়ে যায় এবং আবু ফারহাদের ঘর বেশির ভাগই পুড়ে যায়। কিন্তু ঘরের ভিতরের সকল মালামাল পুড়ে গেলেও ঘরের ভিতরে থাকা ১টি পবিত্র কোরআন শরীফ ও কয়েকটি হাদিসের বই আল্লাহর রহমতে অক্ষত অবস্থায় দেখতে পাওয়া যায়।
এলাকা বাসীরা জানান, বাড়ির বৈদ্যুতিক মিটার বিস্ফোরিত হয়ে এ অগ্নিকান্ডের সূত্রপাত।
আকবর আলী নামের উক্ত ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি বলেন- আমরা বাড়িতে না থাকায় ঘরে আগুন ছড়িয়ে পড়লে ঘরের ভিতরে থাকা খাট, সোকেস, চাল-ডাল সহ সাংসারিক সকল জিনিষ-পত্র মিলে ৩লক্ষাধিক টাকার মালামাল পুড়ে যায়। তাছাড়া তার পুত্র বাইতে কাজ করতে যাবে বলে তাদের কাছ থেকে দাদনের টাকা ও বাড়িতে সঞ্চয় করা ১লক্ষাধিক টাকা পুড়ে যায়। বর্তমানে তার পরনের কাপড়টি ছাড়া আর কিছুই নেই। একইভাবে উক্ত আগুনে পাশাপাশি বসবাস করা তারই আপন ভাইপো আবু ফরহাদ আলীর ঘরেও প্রবেশ করে।
এ বিষয়ে আবু ফরহাদ বলেন, বৈদ্যুতিক মিটার বিস্ফোরিত হয়ে চাচার ঘরের সবকিছু পুড়ে যাওয়ার সাথে সাথে তার ঘরে উক্ত আগুন প্রবেশ করে ঘরের ভিতরে থাকা টিভিসহ সাংসারিক জিনিষ-পত্র মিলে প্রায় ৫০ হাজার টাকার মালামাল পুড়ে যায়। বর্তমানে উক্ত পরিবার ২টি আগুনে সর্বস্ব হারিয়ে খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছে।
বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুল করিম ও জগন্নাথ মন্ডলের কাছে জানতে চাইলে বলেন, উক্ত ঘটনার সংবাদ পেয়ে আমি তাদের বাড়িতে গিয়েছিলাম। তাদের পরিবারকে প্রাথমিক ভাবে শান্তনা প্রদান করি এবং মঙ্গলবার দেবহাটা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করা হয়েছে।
কেবিএ কলেজের ৪ শিক্ষার্থীর মেডিকেল চান্স
দক্ষিণ-পশ্চিমঞ্চালের প্রখ্যাত শিক্ষাবীদ হযরত খানবাহাদুর আহছান উল্লা(রাঃ)এর নামে প্রতিষ্ঠিত ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খানবাহাদুর আহছান উল্লা কলেজের ৪ ছাত্র-ছাত্রী মেডিকেলে পড়ার সুযোগ পেয়েছে। সারাদেশের ন্যায় একযোগে অনুষ্ঠিত্ব মেডিকেল পরীক্ষায় মেধা অনুসারে চান্স পেয়েছে ৩ ছাত্র ও একজন ছাত্রী। তাছাড়া অপেক্ষামান তালিকায় রয়েছে আর এক ছাত্র। অনুষ্ঠিত পরীক্ষা নামক ভর্তি যুদ্ধে সফলতার সাথে উত্তির্ণ হয়ে শহিদ সোহরাউর্দী মেডিকেল কলেজে তাসমিয়া সুলতানা বৃষ্টি, খুলনা মেডিকেল কলেজে মাহফুজুর রহমান ও তাপস কুমার মন্ডল এবং সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজে অলিউর রহমান চান্স পেয়েছে। তবে অপর এক ছাত্র সোহাগ হোসেন অপেক্ষামান তালিকায় রয়েছেন। একই সাথে কলেজের গনিত বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আকরাম হোসেনের পুত্র শেখ মাহবুবুর রহমান খুলনা মেডিকেল কলেজে চান্স পেয়েছে। উল্লেখ্য যে, কলেজটি প্রতিবছর মেডিকেল, ইনিঞ্জিনিয়ারিংসহ বিভিন্ন খ্যাতমান প্রতিষ্ঠানে পড়ার সুযোগ সৃষ্টি করে দিচ্ছে। সেই সাথে কলেজটি সকল বিভাবে অভাবনীয় সাফাল্য রেখে চলায় পরিচালনা পরিষদ, শিক্ষক-শিক্ষিকাদের স্বাধুবাদ জানিয়েছেন অভিভাবক ও স্থানীয়রা। এই সাফাল্য অব্যহত রাখায় কলেজটি ইতোমধ্যে জাতীয় করণের একেবারে শেষ পর্যায়ে গেছে।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)
একই রকম সংবাদ সমূহ
১৪ জুলাই: যবিপ্রবির ল্যাবে সাতক্ষীরা জেলার ৩০ জন করোনা পজিটিভ!
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) জিনোম সেন্টারে ১৪ জুলাই,২০২০বিস্তারিত পড়ুন
‘ভূয়া’ সংবাদিকদের দৌরাত্মে সাধারণ মানুষ ভোগান্তিতে
সংবাদপত্রকে বলা হয় সমাজের দর্পণ বা আয়না। এই আয়নায় সমাজেরবিস্তারিত পড়ুন
সাতক্ষীরা জেলা ব্যাপী গ্রেফতার ১৩, ইয়াবা-ফেন্সিডিল-গাঁজা উদ্ধার
সাতক্ষীরা জেলা ব্যাপী পুলিশের মাদক বিরোধী বিশেষ অভিযানে মাদক মামলারবিস্তারিত পড়ুন