আরো খবর...
দেবহাটায় ফসলি জমি ধ্বংস করে নির্মান হচ্ছে ইটভাটা
সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার সদর ইউনিয়নের তিন ফসলি জমি ধ্বংশ করে নির্মান করা হচ্ছে ইটভাটা। এ জন্য ভাটা মালিক বিভিন্ন স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনকে ম্যানেজ করে গড়ে তুলছে কে.বি ব্রিকস্ নামের ইটভাটা।
ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০১৩-এর ৮ নম্বর ধারায় স্পষ্ট উল্লেখ করা হয়েছে, কৃষি জমিতে ইটভাটা স্থাপন করা যাবে না। এ জন্য সরকারি কোনো সংস্থা অনুমতিও দিতে পারবে না। অনুমতি দিলেও তা বাতিল হয়ে যাবে। এই ধারা ভেঙে কেউ ইটভাটা স্থাপন করলে তাকে সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের কারাদ- বা পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা অথবা উভয় দন্ড দেওয়া যাবে।
রবিবার সকালে সরেজমিন দেখা যায়, দেবহাটা সদর ইউনিয়নের ৮নং ওয়াডের সুশিলগাঁতি শিয়ালড্ঙ্গার মাঠে পুরোদমে চলছে ভাটা নির্মাণের কাজ। এ জন্য ফসলি জমির মাটি কেটে নির্মান করা হচ্ছে ভেড়িবাঁধ। চোখের নিমিষেই আড়াল হচ্ছে ফসলি জমি। এ সময় মালিকপক্ষের কর্মচারী ইলিয়াস হোসেন বলেন, ‘ভাটা মালিকে নির্দেশনায় কাজ করছি।’
উপস্থিত দিপঙ্কর ঘোষ, মামুন, ইয়াছিন, আবুল কালাম, সন্তোষ সরকার, আব্দুল হামিদ সহ একাধীক কৃষক জানান, তাঁরা ভাটা বন্ধের দাবিতে গত ২৪ মার্চ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে আবাদী জমির উপর ইটভাটা না হয় সে জন্য গনস্বাক্ষর যুক্ত একটি লিখিত আবেদন জমা দিয়েছিলাম । তাদের দাবি, মানবাধিকার কর্মী পরিচয়দান কারী ইলিয়াস হোসেন সমন্বয়ে এই ভাটা নির্মাণ করা হচ্ছে। যার ক্ষতি অর্থের দ্বারা পূরণযোগ্য নয়। যে জমিতে ভাটা স্থাপন করা হচ্ছে, সে জমিতে সারা বছর সেচ দিয়ে তিন ফসল উৎপাদন করা হয়। এ ছাড়া ইটভাটার পাশে কয়েক শত বিঘা মৎস্য ঘেরসহ কয়েক শ একর আবাদি জমি রয়েছে। যার উপর নির্ভার করে বেঁচে আছে এলাকার হতদরিদ্র কৃষকরা। যাদের একমাত্র সম্বল এই কৃষি জমি।
ইটভাটার কাজ পরিচালনা কারী ইলিয়াস হোসেন জানান, এই ভাটার মালিক ঢাকার গুলশানের রবিউল ইসলাম ৬ বিঘা ( ছয় বিঘা) জমির ১০ বছরের জন্য ডিট নিয়ে এই ভাটা স্থাপন করছেন। পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমতি নিয়ে ভাটা নির্মানের কাজ পরিচালানা করছেন।
দেবহাটা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জসিমউদ্দীন বলেন, ‘আমরা ভাটা তৈরির অনুমোদন দিইনি। মালিকদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সরেজমিন পরিদর্শন করে এবং জমির মালিকদের প্রত্যয়ন অনুযায়ী আমারা এক ফসলি জমি হিসাবে উল্লেখ করে প্রত্যয়নপত্র দিয়েছি।
মানববন্ধন
দেবহাটা উপজেলার উত্তর পারুলিয়ায় মালিকানা সম্পত্তির উপর দিয়ে বালু উত্তোলন বন্ধের দাবীতে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী।
রবিবার বিকাল ৪ টায় উত্তর পারুলিয়ায় জমির মালিক রাজ্জাক মাস্টারের সভাপতিত্বে উক্ত মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, জমির মালিক আরিজুল, আব্দুল হান্নান, আনারুল সানা, হজরত আলী সানা, নুরু সানা,শহিদুল সানা, আব্দুল হামিদ, আশরাফুল, আব্দুল আলিম, আব্দুল হাকিম, আকরব আলী প্রমুখ। এ সময় বক্তরা বলেন, আমাদের ব্যাক্তিগত জমির উপর দিয়ে বালু উত্তোলন করার জন্য বিভিন্ন ভাবে হুমকি- ধামকি দেওয়া হচ্ছে। আমাদের এই ব্যাক্তিগত জমির উপর দিয়ে বালু উত্তোলন করলে আমাদের ফসলি জমি ধ্বংশসহ বিভিন্ন ভাবে আমরা ক্ষতি গ্রস্থ হবো। শুধু তাই নয় এই বালু উত্তোলন কারী মোশারাফ হোসেন মুসা খুবই একজন সু-চতুর ব্যাক্তি।
টাকার জোরে স্থানীয় ক্ষমতাধর ব্যাক্তিদের ম্যানেজ করে একদিকে যেমন সরকারী নীতি মালা তোয়াক্কা না করে অবৈধ ভাবে ইটেরভাটা নির্মান করে এলাকার ফসলি জমি ধ্বংশ সহ এলাকার পরিবেশ নষ্ট করছে। তেমনি ভাবে আমাদের ব্যা্িক্তগত জমির উপর দিয়ে জোর পূর্বক ভাবে বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখিয়ে বালু উত্তোলনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
ইতিমধ্যে আমাদের মতামতের তোয়াক্কা না করে বালু উত্তোলন করার জন্য পাইপ নিয়ে এসেছে। তাই আমাদের ব্যাক্তিগত জমির উপর দিয়ে বালু উত্তোলন করা না হয় সে জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)
একই রকম সংবাদ সমূহ
১৪ জুলাই: যবিপ্রবির ল্যাবে সাতক্ষীরা জেলার ৩০ জন করোনা পজিটিভ!
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) জিনোম সেন্টারে ১৪ জুলাই,২০২০বিস্তারিত পড়ুন
‘ভূয়া’ সংবাদিকদের দৌরাত্মে সাধারণ মানুষ ভোগান্তিতে
সংবাদপত্রকে বলা হয় সমাজের দর্পণ বা আয়না। এই আয়নায় সমাজেরবিস্তারিত পড়ুন
সাতক্ষীরা জেলা ব্যাপী গ্রেফতার ১৩, ইয়াবা-ফেন্সিডিল-গাঁজা উদ্ধার
সাতক্ষীরা জেলা ব্যাপী পুলিশের মাদক বিরোধী বিশেষ অভিযানে মাদক মামলারবিস্তারিত পড়ুন