পড়ুন ইংরেজীতেও
দুর্গম পথ পাড়ি দিয়ে এখন তিন শতাধিক ছাত্রী বাইসাইকেল চালিয়ে নিয়মিত স্কুলে যাওয়া আসা করছে
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের দুর্গম পথ পাড়ি দিয়ে এখন তিন শতাধিক ছাত্রী বাইসাইকেল চালিয়ে নিয়মিত স্কুলে যাওয়া আসা করছে। সাইকেল পেয়ে প্রত্যন্ত এলাকার এসব ছাত্রীদের মুখে এখন আত্মবিশ্বাসের ছাপ। আর তাদের দেখে উৎসাহিত হচ্ছে অন্য ছাত্রীরাও। এই উদ্যোগ নারী শিক্ষার অগ্রগতি ও নারীর ক্ষমতায়নের ক্ষেত্র প্রসারিত করবে বলে ধারণা সচেতন মহলের।
জানা যায়, কমলগঞ্জ উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে গত বছর থেকে বিভিন্ন উচ্চ বিদ্যালয়ের দরিদ্র ছাত্রীদের মধ্যে বাইসাইকেল বিতরণ প্রকল্প চালু করা হয়। উপজেলার বিভিন্ন হাই স্কুলে এখন পর্যন্ত ৩১০ জন ছাত্রীকে সাইকেল দেয়া হয়েছে। উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে এই প্রকল্প চলমান রয়েছে। উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়ন পরিষদের জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে দরিদ্র ছাত্রীরা পাচ্ছে বাইসাইকেল। সাইকেল পাওয়ায় যারা আগে ৪/৫ কি.মি হেঁটে স্কুলে আসতে পারতো না, তারা এখন ক্লাস করছে নিয়মিত। ফলে নারী শিক্ষার হার বাড়ছে। আর গ্রামীণ এলাকার শিক্ষা ক্ষেত্রে এসেছে নতুন মাত্রা। প্রকল্পের শুরুতেই মেয়েরা সাইকেল চালিয়ে স্কুলে যাবে তা অনেকেই মানতে পারেনি, কিন্তু দিনে দিনে পাল্টে গেছে এর চিত্র। এখন সবাই তাদের স্বাগত জানাচ্ছে।
এই প্রকল্প থেকে সাইকেলপ্রাপ্ত উপজেলার তেঁতই গাঁও রশিদ উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রী বিরাজমনি জানায়, স্কুলে আসতে পাঁচ কিলোমিটার পথের পুরোটাই হাঁটতে হতো। দুর্গম কামার ছড়া চা বাগানের পথে পথে ছিল নানান বিড়ম্বনা। স্কুল থেকে বাড়ি ফিরতে সন্ধ্যা হতো, ক্লান্ত শরীর নিয়ে পড়ার টেবিলে মনযোগ দেয়া সম্ভব হতো না। অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, আগে মেয়েকে স্কুলে পাঠিয়ে তারা চিন্তায় থাকতেন, কারন দুর্গম পথে ৪/৫ কি.মি হেঁটে বাড়িতে যেতে সন্ধ্যা হয়ে যেত, অনেকে আবার মেয়েদের জন্য রাস্তায় অপেক্ষা করতেন। কিন্তু সাইকেল পাবার পর তারা এখন চিন্তামুক্ত। হাসি মুখে মেয়েকে স্কুলে পাঠাচ্ছেন।
সাইকেল চালিয়ে রাস্তা পাড়ি দেয়ার কারণে পথে পথে নেই ইভটিজিং নামের মানসিক যন্ত্রণা, যার ফলে নিজের মতো করে নিজেকে বিকাশ করতে পারছে কিশোরীরা। বাড়ছে আত্মবিশ্বাস। সচেতন নাগরিকরা এই উদ্যেগকে স্বাগত জানিয়েছেন। তাদের অভিমত এই প্রকল্পের ফলে নারী পুরুষের যে পার্থকের বীজ কিশোরমনে রোপন করে দেয়া হয় তা থেকে মুক্তি পাবে এই এলাকার কিশোরীরা। বড় হয়ে ছেলেদের পাশাপাশি সমাজ গঠনে বা নিজ নিজ কর্মস্থলে আত্মবিশাস তাদের এগিয়ে রাখবে।
স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আব্দুল মতিন জানালেন, এই কার্যক্রমের মাধ্যমে নারী শিক্ষায় ইতিবাচক প্রভাব পড়ছে এবং মেয়েদের ক্ষেত্রে সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তনেও ভূমিকা রাখছে। সেই সঙ্গে বাড়ছে নারী শিক্ষার হার।
Now more than three hundred students are going to school regularly after going through the remote route of Kamalganj in Moulvibazar. These girls in the remote areas get bicycle sign And the other students are encouraged to see them. The idea is that this initiative will expand the education of women and empower women.
It is known that, by the initiative of Kamalganj Upazila administration, bicycles distribution scheme was started from poor students of different high schools since last year. So far 310 students have been given cycles in different high schools of the upazila. This project is going on through every union council of the upazila. Poor students are getting bicycles by the representatives of every union council of the upazila. Those who did not have to go to school before walking 4/5 km, they are now regular in class. As a result, the rate of education of women is increasing. And in the field of education in rural areas, new levels have come. Many of the girls could not accept the bicycle going to school at the beginning of the project, but the diagrams of the day changed. Now everyone welcomes them.
Gaibao Rashid Uddin high school student Birajmani said that the bike had to walk all the way up to five kilometers to reach the school. On the way to the remote village of tea garden, there was a lot of bismunda. It would have been evening to return home from school, and it would not have been possible to focus on the tired body. Talking to the parents, it is known that they were worried by sending the girl to the school, because on the route a short distance of 4/5 kilometers would go home, many would wait for the girls again on the street. But after getting the bike they are now free of anxiety. Smilingly sending the girl to school in the face.
Yachting is not on the road due to the mental torture of the road due to cycling, which allows children to develop themselves in their own way. Increasing confidence. Conscious citizens welcomed this initiative. Their opinion is that children of this area will be released from this region as the result of which the seeds of the male and female are planted in the form of adolescence. In addition to boys, as well as boys, self-confidence will be given to them in society or on their own workplace.
A headmaster of a local school Abdul Matin said, through this program, women are having a positive impact on education and the role of women is also playing a role in changing the social aspect. The rate of women’s education is increasing as well.
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)
একই রকম সংবাদ সমূহ
১৪ জুলাই: যবিপ্রবির ল্যাবে সাতক্ষীরা জেলার ৩০ জন করোনা পজিটিভ!
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) জিনোম সেন্টারে ১৪ জুলাই,২০২০বিস্তারিত পড়ুন
এনামুল-সম্রাটসহ ৪ জনের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দ
ক্যাসিনো ব্যবসার সঙ্গে সম্পৃক্ততা ও অবৈধ অর্থ লেনদেনের অভিযোগে সংসদবিস্তারিত পড়ুন
‘ভূয়া’ সংবাদিকদের দৌরাত্মে সাধারণ মানুষ ভোগান্তিতে
সংবাদপত্রকে বলা হয় সমাজের দর্পণ বা আয়না। এই আয়নায় সমাজেরবিস্তারিত পড়ুন