তাজমহল কার?
তাজমহল। ভারতের আগ্রায় অবস্থিত মুঘল সাম্রাজ্যের স্থাপত্যের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। সম্রাট শাহজাহান তার স্ত্রীর স্মৃতি রক্ষার্থে রাজকীয় এই সৌধটি তৈরি করেন। এখান থেকে প্রায় ৪০০ বছর আগে তৈরি তাজমহলের মালিকানা কার? ভারতের সুপ্রিম কোর্টে উত্তরপ্রদেশের সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড তাজমহলের মালিকানা দাবি করার পর এমন এই প্রশ্নেই সরগরম দেশটি।বোর্ডের এমন দাবি শুনে তাদের কাছে সম্রাট শাহজাহানের স্বাক্ষরিত নথি চেয়েছে ভারতের শীর্ষ আদালত।
জি নিউজের খবর, সুন্নি ওয়াকফ বোর্ডের দাবি করে বলেছে একটি ওয়াকফ নামায় তাদের সম্পত্তিটি দিয়েছিলেন সম্রাট শাহজাহান। ১৬৬৬ সালে মৃত্যু হয়েছিল এই মুঘল সম্রাটের। এখন তার স্বাক্ষরিত সেই নথি ওয়াকফ বোর্ডের কাছে চেয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।
এর আগে, ২০১০ সালে তাজমহলের মালিকানার দাবি করে আবেদন করেছিল ভারতীয় সর্বেক্ষণ বিভাগ। এখন প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্রের বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, ভারতের কেউ বিশ্বাস করবে না যে তাজমহল ওয়াকফ বোর্ডের সম্পত্তি। এটা আদালতের সময় নষ্ট ছাড়া আর কিছু নয়।
সুন্নি ওয়াকফ বোর্ডের আইনজীবী ভি গিরি বলেন, শাহজাহান নিজেই তাজমহলকে ওয়াকফ বোর্ডের হাতে তুলে দেন। তখনই এই সংক্রান্ত নথি দেখতে চান তিন বিচারপতি। প্রধান বিচারপতি বলেন, কীভাবে ওয়াকফনামায় স্বাক্ষর করতে পারেন শাহজাহান? কারণ, তিনি জেল থেকেই তাজমহলটি দেখতেন।
উল্লেখ্য, ১৬৫৮ সালে আগ্রা দুর্গে শাহজাহানকে জেলবন্দি করেছিলেন তারই ছেলে আওরঙ্গজেব।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)
একই রকম সংবাদ সমূহ
পাকিস্তানে শক্তিশালী ভূমিকম্পে ১৯ জনের মৃত্যু
পাকিস্তানের উত্তরাঞ্চলে শক্তিশালী ৫ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্পের আঘাতে ১৯বিস্তারিত পড়ুন
২৪ ঘণ্টার মধ্যে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় হিক্কা
ধেয়ে আসছে প্রবল ঘূর্ণিঝড় হিক্কা। এর ফলে ঝড়ের পাশাপাশি ভারীবিস্তারিত পড়ুন
টিকাদানের সাফল্যে ‘ভ্যাকসিন হিরো’ পেলেন প্রধানমন্ত্রী
টিকাদানের সাফল্যে ‘ভ্যাকসিন হিরো’ পেলেন প্রধানমন্ত্রী। বাংলাদেশে টিকাদান কর্মসূচি একটিবিস্তারিত পড়ুন