টিকিট ছাড়াই খুলনা-বেনাপোল কমিউটার ট্রেনে অনেক যাত্রীরা!!
দুর্নীতি চলছে খুলনা-বেনাপোল কমিউটার ট্রেনে। ট্রেনের টিটিসহ বিভিন্ন কর্মচারী কর্মকর্তাদের নৈতিক স্থলনের কারণে সরকার হারাচ্ছে লাখ লাখ টাকার রাজস্ব। ট্রেন ছাড়ার আগে রেল ষ্টেশনে এসে বসে থাকে অনেক যাত্রীরা। এর ভেতর এক শ্রেনীর যাত্রীরা টিকিট না কেটেই উঠে পড়ে ট্রেনে।
ট্রেনে কর্তৃপক্ষ আইনানুগ ব্যবস্থা না নেয়ায় অনেকে বিনা পয়সায় গন্তব্যে পৌছে যাচ্ছে। আবার অনেকে ট্রেন চেকারকে কিছু পয়সা দিয়ে চলে যাচ্ছে। এতে রাজস্ব বঞ্চিত হচ্ছে সরকার। দুইবারে হাজার হাজার যাত্রী বেনাপোল আসা যাওয়া করে। আন্তর্জাতিক চেকপোষ্ট হওয়ার কারণে খুলনা, দৌলতপুর, নওয়াপাড়া ও যশোর থেকে হাজার হাজার যাত্রী বেনাপোল আসে ট্রেনে চেপে।
অন্যদিকে ভারত সহ দেশ বিদেশের অনেক যাত্রী বেনাপোল থেকে ট্রেনে চেপে ভ্রমন করে। যে কারণে খুলনা-বেনাপোল কমিউটার ট্রেনে ব্যাপক রাজস্ব আয়ের সম্ভাবনা থাকলেও কারচুপির কারণে লোকসান গুনছে সরকার।
শনিবারে ৯.১৫ বেনাপোল থেকে ছেড়ে আসা ট্রেনে টিকিট না কাটা যাত্রীদের থেকে টাকা তোলার অভিযোগ দিয়েছেন কয়েকজন যাত্রী। টিকিটি না কাটা যাত্রীদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা না নিয়ে বরং যতসামান্য টাকা আদায় করার অনুযোগ উঠছে বহুদিন ধরে। যাত্রীরা ভাড়ার চেয়ে কম টাকা দিয়ে চলে যাচ্ছে।
একজন টিটির কাছে জানতে চাইলে বলেন, এসব টাকা সরকারী খাতে জমা করা হবে। টিকিট দিচ্ছেন না, কিভাবে হিসাব মিলাবেন এ প্রশ্নে তিনি বলেন, আমাদের নির্দিষ্ট একটা টার্গেট দেওয়া আছে সে টাকা মাস শেষে জমা দিতে হয়।
নওয়াপাড়াগামী যাত্রী আসলাম মিয়া বলেন আমি ব্যবসা সংক্রান্ত বিষয়ে এ পথে সপ্তাহে দুই তিনবার যাতায়াত করে থাকি। কিন্তু ট্রেনে দেখি পুলিশ ও সাধারন লোকেরা এক শ্রেনীর চোরাকারবারীদের নিকট থেকে চাঁদা তোলে। তার পাশাপাশি ট্রেনের টিটিও টিকিট বিহিন চাঁদা তোলে যা সরকারের রাজস্ব ফাকি বললে ভুল হবে না।
বেনাপোল রেল ষ্টেশন মাষ্টার সাইুদর রহমান মোবাইল ফোনে এ প্রতিবেদককে বলেন, আমি বেনাপোলে জয়েন করার পর থেকে ৮ লাখ ২৮ হাজার টাকা পর্যান্ত টিকিটি বিক্রি করেছি। আমি মাইকিং করে জরিমানার কথা জানিয়ে সরকারের রাজস্ব আয় বৃদ্ধি করেছি। এর পুর্বে এখানে মাত্র ২লাখ টাকার টিকিট বিক্রি হতো বা সরকারি খাতায় জমা পড়ত।
তিনি আরো বলেন- বেনাপোল থেকে টিকিট ছাড়া লোক ওঠে না; এগুলো নাভারন ঝিকরগাছা সহ অন্যান্য ষ্টেশন থেকে ওঠে।
তাহলে কেন ব্যাবস্থা নিচ্ছেন না এ প্রশ্নের উত্তর তিনি এড়িয়ে যেয়ে বলেন- এখন আমি গাড়িতে আছি পরে কথা বলব।
বেনাপোল থেকে প্রতিদিন ট্রেনে যাওয়া ভারতীয় পন্যবহনকারী মরিয়ম, আমেনা খাতুন, নাসিমা খাতুন বলেন- আমাদের টিকিট কাটা লাগে না। আমরা প্রতিদিন যাতায়াত করে থাকি। টিকিটের যে টাকা তার চেয়ে কিছু বেশী টিটিকে দেওয়া লাগে কারণ আমরা ভারতীয় পন্য বহন করি। এ ছাড়া রেল পুলিশদেরও দেয়া লাগে।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)
একই রকম সংবাদ সমূহ
১৪ জুলাই: যবিপ্রবির ল্যাবে সাতক্ষীরা জেলার ৩০ জন করোনা পজিটিভ!
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) জিনোম সেন্টারে ১৪ জুলাই,২০২০বিস্তারিত পড়ুন
বেনাপোলে নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রীর বৈঠক বর্জন করলো সাংবাদিকরা
বেনাপোল স্থলবন্দর আন্তর্জাতিক প্যাসেঞ্জার টার্মিনালের দ্বিতীয়তলায় নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী ও স্থলবিস্তারিত পড়ুন
ঝিকরগাছায় বাস চাপায় মোটরসাইকেল আরোহী শিশুসহ দু’জন নিহত
যশোরে বাস চাপায় এক শিশু ও এক মোটসাইকেল আরোহীর মৃত্যুবিস্তারিত পড়ুন