রবিবার, নভেম্বর ১৭, ২০২৪

কলারোয়া নিউজ

প্রধান ম্যেনু

সাতক্ষীরার সর্বাধুনিক অনলাইন পত্রিকা

জনসভা থেকে বিএনপির ৭ দফা, ১২ লক্ষ্য, ২ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা

তফসিল ঘোষনার আগে সংসদ ভেঙ্গে দিয়ে এ সরকারের পদত্যাগ এবং নির্দলীয় সরকার গঠনের দাবিসহ বিএনপি জনসভা থেকে ৭ দফা, ১২ লক্ষ্য ও ২ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে।

রবিবার বিকালে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দলের পক্ষে এ দাবি ও কর্মসূচি ঘোষণা করেন।

৭ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে- তফসিল ঘোষণার আগে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি, তারেক রহমানসহ সকল নেতাকর্মীর মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার, সরকার ভেঙে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার, ইভিএম বাতিল, নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েন, নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন ও নতুন করে মামলা দেয়া বন্ধ করা।

দাবি আদায়ে বিএনপির সমাবেশ থেকে কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়, আগামী ৩ অক্টোবর জেলা পর্যায়ে সমাবেশ ও ডিসি বরাবর স্মারকলিপি পেশ এবং ৪ অক্টোবর বিভাগীয় শহরে সমাবেশ ও বিভাগীয় কমিশনারের কাছে স্মারকলিপি প্রদান।

বিএনপির এই জনসভায় প্রধান অতিথি ছিলেন দলটির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।
প্রধান বক্তা দলটির স্থায়ী কমিটির সিনিয়র সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন।

আর এতে সভাপতির ভাষণ দেন মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

রবিবার দুপুর ২টায় পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে এ জনসভার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়।

জনসভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য জমিরউদ্দিন সরকার, রফিকুল ইসলাম মিয়া, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, হাফিজউদ্দিন আহমেদ, সেলিমা রহমান, বরকতউল্লাহ বুলু, মোহাম্মদ শাহজাহান, খন্দকার মাহবুব হোসেন, এ জেড এম জাহিদ হোসেন, শামসুজ্জামান দুদু, জয়নাল আবেদীন, নিতাই রায় চৌধুরী, শওকত মাহমুদ, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমানউল্লাহ আমান, জয়নুল আবদিন ফারুক, ফজলুর রহমান, হাবিবুর রহমান হাবিব, আতাউর রহমান ঢালী, যুগ্ম মহাসচিব মাহবুবউদ্দিন খোকন, মজিবর রহমান সরোয়ার, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, আসাদুল হাবিব দুলু, মাহবুবুর রহমান শামীম, সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, বিলকিস জাহান শিরিন, শামা ওবায়েদ, বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক সালাহউদ্দিন আহমেদ বক্তব্য রাখেন।

এছাড়া বক্তব্য দেন ঢাকা মহানগরের নেতা কাজী আবুল বাশার, ‍মুন্সি বজলুল বাসিত আনজু, যুব দলের সাইফুল আলম নিরব, স্বেচ্ছাসেবক দলের শফিউল বারী বাবু, শ্রমিক দলের আনোয়ার হোসেইন, মহিলা দলের আফরোজা আব্বাস, ছাত্রদলের রাজীব আহসান।

অনুষ্ঠানে বিএনপির চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফ, আহমেদ আজম খান, মাহমুদুল হাসান, জয়নাল আবেদীন (ভিপি), অধ্যাপক সাহিদা রফিক, অধ্যাপক সুকোমল বড়ুয়া, লুৎফুর রহমান খান আজাদ, সানাউল্লাহ মিয়া, মাসুদ আহমেদ তালুকদার, নাজিমউদ্দিন আলম উপস্থিত ছিলেন।

এই জনসভা উপলক্ষে সকাল থেকে পুলিশ, র‌্যাবসহ ব্যাপক সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে। ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশন প্রাঙ্গণে জলকামানের গাড়ি, প্রিজন ভ্যানও রাখা ছিল।

জনসভায় আসা নেতা-কর্মীদের মুখেও স্লোগান ছিল- ‘মুক্তি মুক্তি মুক্তি চাই, খালেদা জিয়ার মুক্তি চাই’, ‘খালেদা জিয়া এগিয়ে চলো আমরা আছি তোমার সাথে’।

দুপুর ২টায় শুরু হয়ে বিকাল সাড়ে ৫টায় শেষ হওয়া এই সমাবেশে বিএনপির অনেক নেতা-কর্মী জিয়াউর রহমান, খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের প্রতিকৃতি সম্বলিত পোস্টার হাতে অংশ নেন। যুব দল এবং স্বেচ্ছাসেবক দলের অনেকের মাথায় ছিল লাল-সবুজ টুপি।

জনসভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, “আজকে দেশনেত্রীর দেওয়া দাবিতে জনগণ ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। অনেক রাজনৈতিক ও ব্যক্তি ঐক্যবদ্ধ হয়ে জাতীয় ঐকমত্য সৃষ্টি হয়েছে যে এই সরকারের পতন ঘটাতে হবে। সংসদ নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হতে হবে।

“আর এই অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন করতে হলে বেগম খালেদা জিয়া ও বিএনপিকে ছাড়া কেনো অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হতে পারে না, জনগণ তা হতে দেবে না।”

সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের দলীয় মনোভাবাপন্ন মানসিকতা পরিহার করে নিরপেক্ষ ভূমিকা পালনের অনুরোধ জানান সাবেক এই মন্ত্রী।

মওদুদ আহমদ বলেন, “আজকের পত্রিকায় দেখলাম, এরা (সরকার) মাঠ দখলের কথা বলেন। আমরা বলতে চাই, আমাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি যদি প্রতিহত করেন, আমরাও আপনাদের প্রতিহত করব। এবার ছেড়ে দেব না।”

স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, “সরকারের মধ্যে ভীতি কাজ করছে, ভয় কাজ করছে। এখন একটা আওয়াজ উঠেছে, জাতীয় ঐক্য হবে। হবে কি, না হবে, আল্লাহই জানেন। সরকার বহু চেষ্টা করছে, যাতে ঐক্য না হয়।

“হলে ভালো, না হলে ক্ষতি নাই। ঐক্য হোক না হোক, বিএনপিকে আন্দোলন চালিয়ে যেতে হবে।”

জনসভায় অংশ নেওয়া পথে পুলিশ বিভিন্ন স্থানে বিএনপির নেতা-কর্মীদের বাধা দিয়েছে এবং গ্রেপ্তার করেছে অভিযোগ তুলে তার নিন্দা জানান ফখরুল।

ভবিষ্যতে সব কিছুরই তদন্ত হবে: ফখরুল

প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী যারা এখন বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের হয়রানি করছেন, বিএনপি ক্ষমতায় গেলে তাদের জবাবদিহি নেওয়া হবে বলে সতর্ক করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

প্রতিহিংসার রাজনীতি না করার অঙ্গীকার করলেও এখন যারা লুটপাট করছেন, ভবিষ্যতে তাদেরও রেহাই দেওয়া হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।

একাদশ সংসদ নির্বাচনের আগে সংসদ ভেঙে নিরপেক্ষ সরকার গঠন এবং দলীয় প্রধান খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবিতে রোববার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জনসভা করে বিএনপি।

সমাবেশে দলটির মহাসচিব ফখরুল ৭ দফা দাবি তুলে ধরে তা আদায়ে আন্দোলনের কথা বলেন। সেই সঙ্গে বিএনপি ক্ষমতায় গেলে কী কী করবে, ১২টি লক্ষ্যের কথাও জানান।

বিরোধী নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে পুলিশের মামলা দায়েরের একটি পরিংখ্যান তুলে ধরে ফখরুল বলেন, “শুধু ১ সেপ্টেম্বর থেকে আজ পর্যন্ত ৪ হাজার ৯৪টি মামলা দেওয়া হয়েছে, গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৪ হাজার ৩১৯ জনকে এবং আসামি করা হয়েছে ২ লক্ষ ৭২ হাজার ৭৩০ জনকে। এই যে গায়েবি মামলা, যার কোনো অস্তিত্ব নাই। পুরোপুরি ভৌতিক মামলা।

“জনগণকে আজকে তারা (সরকার) তাদের প্রতিপক্ষ বানিয়ে নির্যাতন-নিপীড়নের মধ্যে গ্রেপ্তার-হামলা-গুম করছে। আমাদের অনেক সহকর্মী গুম হয়ে গেছে, অনেক সহকর্মীকে খুন করা হয়েছে।”

পুলিশ কর্মকর্তাদের দিকে ইঙ্গিত করে সাবেক প্রতিমন্ত্রী ফখরুল বলেন, “একবারও চিন্তা করছেন না, আমাদের সরকার ও পুলিশ কর্মকর্তাগণ, এই সব মামলা যে দিচ্ছেন, ভবিষ্যতে কী হবে?

“যখন তদন্ত হবে, যখন দেখা যাবে এই মামলাগুলোর কোনো ভিত্তি নাই, তখন সকলকেই জবাবদিহি করতে হবে, তখন সকলকেই কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে।”

ক্ষমতাসীনদের হুঁশিয়ার করে তিনি বলেন, “কয়লাকে ধুলা বানিয়ে দিয়েছে, সোনাকে তামা বানিয়েছে, ব্যাংক থেকে টাকা লুট করে নিয়ে গেছে। তারপরও আশ মেটে না। ৫ বছর ১০ বছর করল, তারপরও আরও করতে চায়।

“এই সরকার কোথাও রেহাই পাবে না। যে হারে চুরি করেছে, লুট করেছে, বাংলাদেশকে ধ্বংস করে দিয়েছে। তাতে কারও কোনো রেহাই নাই।”

বিএনপি ষড়যন্ত্রের জন্য দায়ী করে ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের বক্তব্যের পাল্টায় এক সময়ের বাম আন্দোলনের কর্মী ফখরুল কমিউনিস্ট ইশতেহারের শব্দবন্ধ তুলে বলেন, “আওয়ামী লীগ ভয় পেয়েছে, মারাত্মক ভয় পেয়েছে।

“বিএনপির ভুত দেখছে। এরা রাত্রি বেলা দুঃস্বপ্ন দেখে ‘বিএনপি-বিএনপি’ বলে চিৎকার করে উঠে। এরা স্বপ্ন দেখে ‘বেগম খালেদা জিয়া-খালেদা জিয়া, তারেক রহমান-তারেক রহমান’ বলে চিৎকার করে উঠে।”

কোটা সংস্কারের সঠিক বাস্তবায়ন ও নিরাপদ সড়কের আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহার করে তাদের সবাইকে মুক্তি দেওয়ার দাবি জানান ফখরুল।

জাতীয় ঐক্যের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, “কারাগারে যাওয়ার আগে দেশনেত্রী যে ঐক্যের কথা বলে গেছেন আজকে সারাদেশে সকল মানুষ ঐক্যবদ্ধ হচ্ছে, সারাদেশে গণতান্ত্রিক শক্তি ও নাগরিক শক্তিগুলো ঐক্যবদ্ধ হচ্ছে। দেশনেত্রী যে জাতীয় ঐক্যের কথা বলে গেছেন, আজকে আমাদের সেই জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলতে হবে।”

একই রকম সংবাদ সমূহ

ট্রাম্পের হয়ে প্রচারণা চালানো মোদি’র তা ভারতের পররাষ্ট্রনীতির পরিপন্থী

২০২০ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে সামনে রেখে বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ডবিস্তারিত পড়ুন

ছাত্রদলের কাউন্সিল: ৮ভোটে হেরে গেলেন কেশবপুরের সেই শ্রাবণ

জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কাউন্সিলে সভাপতি পদে মাত্র ৮ ভোটে হেরে গেছেনবিস্তারিত পড়ুন

ছাত্রদলের নতুন সভাপতি খোকন, সম্পাদক শ্যামল

কাউন্সিলরদের প্রত্যক্ষ ভোটে নতুন নেতৃত্ব পেল বিএনপির সহযোগী সংগঠন ছাত্রদল।বিস্তারিত পড়ুন

  • প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৩৭টি পদক লাভ
  • ড. কালাম ‘এক্সিলেন্স এওয়ার্ড’ গ্রহণ করেই দেশবাসীকে উৎসর্গ করলেন প্রধানমন্ত্রী
  • শোভন-রাব্বানী বাদ, ছাত্রলীগের নেতৃত্বে জয় ও লেখক
  • শোভন-রাব্বানীকে পদত্যাগের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
  • তৃণমূল থেকে সংগঠনকে গড়ে তুলতে হবে: প্রধানমন্ত্রী
  • কয়েক ঘণ্টার মধ্যে শোভন-রাব্বানির ভাগ্য নির্ধারণ
  • পরিকল্পিতভাবে উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে : প্রধানমন্ত্রী
  • বিএনপি অর্থ-সম্পদ অর্জনে বেশি ব্যস্ত ছিল: প্রধানমন্ত্রী
  • বিশ্বের শীর্ষ নারী নেতৃত্বের তালিকায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
  • আগুন নিয়ে খেলতে বারণ করলেন শামীম ওসমান
  • ৮ সেপ্টেম্বর থেকে বিদ্রোহী প্রার্থীদের চিঠি দেয়া হবে : ওবায়দুল কাদের
  • মইনুল হোসেন ফের কারাগারে