কেশবপুরে যাত্রীবাহী বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে
যশোরের কেশবপুরে মঙ্গলবার সকালে যশোর-সাতক্ষীরা সড়কের আলতাপোল ২৩ মাইল নামক স্থানে একটি যাত্রীবাহি বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশে খাদে পড়ে যায়। যাত্রীবাহী বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশ্বের খাদে পড়ে ২৬ নারী পুরুষ আহত হয়েছে। গুরুতর আহতাবস্থায় ১৫ জনকে কেশবপুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এর মধ্যে ২ জনকে খুলনা মেডিকেলে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছে।
থানা পুলিশ ও এলাকাবাসি সুত্রে জানা গেছে, কেশবপুর উপজেলার আলতাপোল তেইশ মাইল নামক স্থানে সকাল আনুমানিক ৯ টার সময় যশোর থেকে সাতক্ষীরা অভিমুখে ছেড়ে আসা যাত্রীবাহী (পাবনা- ব-১১৯৯ ) বাসটি নিয়ন্ত্রন হারিয়ে সড়কের পাশে উল্টে গিয়ে ধান ক্ষেতে পড়ে । একটি মোটর সাইকেলকে সাইড দেওয়ার সময় যাত্রীবাহী বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশ্বের খাদে পড়ে দুমড়ে-মুচড়ে যায়। এসময় বাসের ভেতরে থাকা ২৫ জন যাত্রী আহত হয়। স্থানিয়রা আহতাবস্থায় যাত্রীদেরকে কেশবপুর উপজেলা সাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছে ।
এছাড়াও বাসটি খাদে পড়া মাত্রই বিষয়টি জানতে পেরে উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সদর ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান গৌতম রায় এলাকাবাসী কে সাথে নিয়ে উদ্ধার কাজে ঝাপিয়ে পড়েন । এসময় সেখানে মানুষের আহাজারি আত্মচিৎকারে এলাকাবা প্রকম্পিত হয়েওঠে। এছাড়াও অনেক কে স্থানীয় ২৩ মাইল এ নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।
ঘটনা স্থলে কেশবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) শাহজাহান আহম্মেদ পরিদর্শন করেছে। সংবাদ পেয়ে দ্রুত মণিরামপুর থেকে ফায়ার সার্ভিসের লোকেরা ঘটনা স্থলে উপস্থিত হয়।
মারাতœক আহতারা ঢাকার সাইফুদ্দিন (৫২) যশোর সদর উপজেলার ভেকুটিয়া গ্রামের তরিকুল (৩১), লামিয়া (১১) কলারোয়ার মনিরুল (৩৮) মণিরামপুর উপজেলার খানপুর গ্রামের বৈদ্যনাথ (৪৮), , ধোপাখোলা গ্রামের সালেহা (৪০), কেশবপুর উপজেলার আলতাপোল গ্রামের শামসুর রহমান (৩০), শাপলা (২০), শামীম (৩৮). জাহানারা (৫৯), আঃ সাত্তার (৫০), সাবদিয়া গ্রামের জরিনা (৩৫), আল আমিন (৩০), মজিদপুর গ্রামের আব্দুর রহমান (৩০), বসুন্তিয়া দীপা পাল (২০), ও কে উদ্ধার করে কেশবপুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকীরা স্থানীয় ডাক্তর ও ক্লিনিক থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছে।
কেশবপুরে ফতেপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি জরজরিত অবস্থা যে কোন সময় বিদ্যালয়টি ধ্বসে ঘটতে পারে দূর্ঘটনা
কেশবপুর উপজেলার ফতেপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি জরাজির্ন হয়ে পড়েছে। যে কোন সময় টিনের ছাউনি ধ্বসে পড়ে ঘটতে পারে বড় ধরনের দূর্ঘটানা ।স্কুল কতৃপক্ষ উপজেলা শিক্ষা অফিস সহ একাধিক দপ্তরে আবেদন করেও মেলেনি সাড়া।
মঙ্গলবার দুপুরে সরেজমিন গিয়ে জানা গেছে, উপজেলার ফতেপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টির প্রতিষ্ঠাতা ও বর্তমান সভাপতি ওয়াজেদ আলী মোল্যা জমিদাতা মৃত দবিরউদ্দীন গাজীর উদ্যোগে ৩৩ শতক সম্পত্তির উপর ২০০১ সালে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়। শুরুতেই এলাকার ইদ্রিস আলী প্রধান শিক্ষক হিসেবে এক বৎসর শিক্ষগতা করেন। তারপর সহকারি শিক্ষিকা মাহমুদা নাসরিন প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্বপ্রাপ্ত হন সে থেকেই আজও পর্যন্ত ওই বিদ্যালয়টি সংস্কার না হওয়ায় জরাজির্ন রয়ে গেছে।
বর্তমান বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাহমুদা নাসরিন সাংবাদিকদের জানান, ওই বিদ্যালয়ে ৯০-৯৫ ছাত্র-ছাত্রী পড়াশুনা করে আসছেন। তিনি আরও জানান, বন্যার সময় প্লাবিত হওয়ার কারণে অন্য স্থানে খোলা আকাশের নিচে ক্লাস করতে হয়। একাধিকবার আবেদন করার পরেও বিদ্যালয়টি এখনও সংস্কার হয়নি। আমার দাবি দ্রুত বিদ্যালয়টি যদি সংস্কার হয় তাহলে ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা আরও বৃদ্ধি পাবে।
বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণির ছাত্র আরিফুল ইসলাম, মাহাবুর রহমান জানান, বিদ্যালয়ে ভালভাবে পড়াশুনা করতে পারছি। কিন্তু মাঝে মধ্যে ভয় লাগে যখন তখন ক্লাশে বসা অবস্থায় গায়ের উপর পড়ে ভতি হতে পারে। ৪র্থ শ্রেণির ছাত্রী হাবিবা, মিম, মর্জিনা খাতুন জানান, আমরা এইবিদ্যালয়ে পড়াশুনা করতে পেরে গর্বিত হচ্ছি। আমাদের স্যাররা খুব ভালো করে বুঝায়ে,হাতে কলমে শিখিয়ে থাকেন। তাদের আমাদের দাবি দ্রুত বিদ্যালয়টি সংস্কার হলে আর ঝুঁকি পূর্ণ থাকবেনা। এছাড়া প্লাবিত হলে অন্য স্থানে খোলা আকাশের নিচে ক্লাস করতে হবে না।
এব্যাপারে বিদ্যালয়ের সভাপতি ওয়াজেদ আলী কাছে ফোন করা হলে তার ছেলে আবু জাহিদ ফোন রিসিভ করে তিনি বিদ্যালয়ের একজন সহকারি শিক্ষক সভাপতি আমার বাবা উনি বাড়িতে নাই। সে কারনে সভাপতির বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
এব্যাপারে উপজেলা শিক্ষা অফিসার আকবর হোসেন বলেন, যেহেতু ওই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা এখনও জাতীয় করণ হয়নি। যে কোন সময় জাতীয় করণ হয়ে যেতে পারে। আমরা ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের নামের তালিকা পাঠিয়েছি।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)
একই রকম সংবাদ সমূহ
১৪ জুলাই: যবিপ্রবির ল্যাবে সাতক্ষীরা জেলার ৩০ জন করোনা পজিটিভ!
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) জিনোম সেন্টারে ১৪ জুলাই,২০২০বিস্তারিত পড়ুন
বেনাপোলে নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রীর বৈঠক বর্জন করলো সাংবাদিকরা
বেনাপোল স্থলবন্দর আন্তর্জাতিক প্যাসেঞ্জার টার্মিনালের দ্বিতীয়তলায় নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী ও স্থলবিস্তারিত পড়ুন
ঝিকরগাছায় বাস চাপায় মোটরসাইকেল আরোহী শিশুসহ দু’জন নিহত
যশোরে বাস চাপায় এক শিশু ও এক মোটসাইকেল আরোহীর মৃত্যুবিস্তারিত পড়ুন