কেশবপুরে মাছের ঘেরে ভূগর্ভের পানি তোলার অপরাধে সেচযন্ত্র জব্দ
যশোরের কেশবপুরে প্রভাবশালী ঘের ব্যবসায়ীদের কবল থেকে সাধারন মানুষের জিম্মিদশা ও জলাবদ্ধতা রক্ষায় জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রীর নির্দেশে স্থানীয় প্রশাসন কঠোর ভূমিকা পালন করছে।সোমবার সকালে উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রতিটা মাছের ঘেরে গিয়ে ভূগর্ভের পানি তোলার অপরাধে সেচ মেশিন জব্দ ও সেচপাম্পের বিদ্যুতের লাইন বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছেন। উপজেলার বিচ্ছিন্ন এলাকায় মাছের ঘেরের ৪০টা সেচযন্ত্রের বিদ্যুত লাইন এবং ১০টি ঘেরের পানি তোলা সেচমেশিন জ্বব্দ করেছেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসারের দপ্তর হতে জানা যায়- উপজেলার মাছের ঘের হতে ভূগর্ভের পানি উঠানোর অপরাধে বিদ্যানন্দকাটি ইউনিয়নের বাউশলা গ্রামের শুকুর গাজী, নফর গাজী, সিরাজুল গাজী, আলাউদ্দিন, সাইদুর রহমান, আব্দুল গফ্ফার গাজী, জব্বার সরদার, ইউনূচ গাজী, শফিকুল গাজীসহ ৪০টি বিদ্যুত চালিত সেচ যন্ত্রের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন। এছাড়া মাগুরাডাঙ্গা গ্রামের চাঁনমিঞা, কামরুাজ্জামান বিশ্বাসসহ বিভিন্ন ঘেরের ১০টি ডিজেল চালিত সেচযন্ত্র জ্বব্দ করেছেন।
উপজেলার অধিকাংশ মাছের ঘের ব্যবসায়ী সরকারি খাল, খাস জমি, নদী, নালা, অসহায় জমির মালিকদের জমি ও পুকুরের পাড় জোরপূর্বক দখল করে মাছের ঘের করেছে। প্রতিটি সড়কই মাছের ঘেরের বাঁধ হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। মাছের ঘেরে রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহার করায় সড়কগুলো ধসে গেছে। ঘেরের পাড়ে বাঁধ না দেয়ার মানুষের কবর, বসত বাড়ি, গাছগাছালি ধসে ধসে পড়ছে। অপরদিকে সেচযন্ত্র দিয়ে ভূগর্ভের পানি তুলে ঘেরে জমা করা রাখা হচ্ছে। বিগত বছর গুলোতে মাছের ঘেরে ইইরিয়া, পটাশ, ফসফেটসহ রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহার করায় মাছের ঘেরের পাড়ের কোন জায়গায় ১০ হাত, কোন জায়গায় ১৫ হাত করে মাটি খসে খসে পড়েছে। সামান্য বৃষ্টি হলেই ঘেরে জমানো ভূর্গের পানিতে বৃষ্টির পানি যোগ হয়ে ভয়াবহ জলাবদ্ধা সৃষ্টি হবে। জলাবদ্ধতার কবল থেকে রক্ষা পেতে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ও কেশবপুরের সংসদ সদস্য ইসমাত আরা সাদেকের নির্দেশে উপজেলা প্রসাশনের পক্ষ থেকে বার বার মাইকিং করে রাস্তার পাশে ছয় ফুট জায়গা ছেড়ে বাঁধ দিয়ে ঘেরের বাঁধ নির্মান ও ভূগর্ভের পানি তুলে ঘেরে পানি না জমানোর নির্দেশ দিলেও ঘের মালিকরা তা মানছে না। হাতে গোনা দু’একজন রাস্তার পাশে বাঁধের কাজ শুরু করলেও বাকিরা ভূগর্ভের পানি উঠানো অব্যাহত রেখেছে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মিজানূর রহমান জানান- উপজেলার প্রতিটা মাছের ঘেরে গিয়ে ভূগর্ভের পানি তোলার অপরাধে সেচ মেশিন জব্দ ও সেচপাম্পের বিদ্যুতের লাইন বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। বিচ্ছিন্ন এলাকায় মাছের ঘেরের ৪০টা সেচযন্ত্রের বিদ্যুত লাইন এবং ১০টি ঘেরের পানি তোলা সেচমেশিন জ্বব্দ করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, ঘেরের রাস্তার পাশে বাঁধ নির্মান না করলে ও ঘেরে ভূগর্ভের পানি উত্তোল করলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। কারন মাছের ঘেরে পানি জমিয়ে রাখলে বর্ষা মৌসুমে জলাবদ্ধতার আশংকা রয়েছে।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)
একই রকম সংবাদ সমূহ
১৪ জুলাই: যবিপ্রবির ল্যাবে সাতক্ষীরা জেলার ৩০ জন করোনা পজিটিভ!
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) জিনোম সেন্টারে ১৪ জুলাই,২০২০বিস্তারিত পড়ুন
বেনাপোলে নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রীর বৈঠক বর্জন করলো সাংবাদিকরা
বেনাপোল স্থলবন্দর আন্তর্জাতিক প্যাসেঞ্জার টার্মিনালের দ্বিতীয়তলায় নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী ও স্থলবিস্তারিত পড়ুন
ঝিকরগাছায় বাস চাপায় মোটরসাইকেল আরোহী শিশুসহ দু’জন নিহত
যশোরে বাস চাপায় এক শিশু ও এক মোটসাইকেল আরোহীর মৃত্যুবিস্তারিত পড়ুন