কেশবপুরে ঝুঁকিপূর্ণ মরা বট গাছটি অপসারণের দাবি এলাকাবাসির
যশোরের কেশবপুর উপজেলার বেলকাটি গ্রামের প্রায় ৩০০ বছরের বয়ঃবৃদ্ধ বট গাছটি মারা গেছে। গ্রামের মরহুম গোলাম আলী ফকিরের বাড়ি থেকে গড়ভাঙ্গা রাস্তার মোসলেম উদ্দিন মোড়লের বাড়ি সংলগ্ন সরকারি রাস্তার পাশে গাছটি অবস্থিত। মরে যাওয়া গাছের ডাল ভেঙ্গে বিদ্যুতের তারের উপর পড়ে প্রায়ই এলাকায় বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। বয়ঃবৃদ্ধ বট গাছটি মারা গেলেও বন বিভাগ কিছুই জানে না। গাছটির দু’পাশ দিয়ে দু’টি রাস্তার একটি গড়ভাঙ্গা বাজার ও অন্যটি কেশবপুর মেইন সড়কের সাথে গিয়ে মিশেছে। রাস্তা দু’টি দিয়ে যানবাহন ও জনসাধারনের চলাচল অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। মরা গাছের ডাল ভেঙ্গে যে কোন সময় বড় ধরনের দূর্ঘটনার আশংকা করছেন এলাকাবাসি।
বেলকাটি গ্রামের বাসিন্দা সিদ্দিকুর রহমান বলেন, ঝড়-বৃষ্টি হলে প্রায়ই মরে যাওয়া প্রায় ৩০০ বছর বয়সি ওই বট গাছটির ডাল ভেঙ্গে বিদ্যুতের তারের উপর পড়ে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। ভোগান্তিতে পড়তে হয় এলাকাবাসীকে।
পল্লী বিদ্যুতের পাঁজিয়া ইউনিয়নের অভিযোগ কেন্দ্রের কর্মকর্তা আব্দুল কাদের বলেন, প্রায়ই বট গাছটির ডাল ভেঙ্গে বিদ্যুতের পড়লে খুব কষ্ট করে ডাল সরাতে হয়।
বট গাছের পাশেই বসবাসকারী কৃষক নাজিম উদ্দিন (৭০) জানান, প্রায় ৬ মাস আগে গাছটি মরে গিয়ে ডালপালা ভেঙ্গে পড়ছে। তিনি বাবার মুখ থেকে শুনেছেন তাঁর দাদা পরদাদারাও ওই বট গাছটি দেখে গেছেন। সামান্য বাতাস হলেই গাছটির ডালপালা ভেঙ্গে পড়ছে। যে কারণে গাছের নিচ দিয়ে যাতায়াতে ভয় লাগে। এলাকার ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার খলিলুর রহমান বলেন, গাছটি অপসারণের জন্য ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে জানানো হয়েছে। এ বিষয়ে উপজেলা বন বিভাগ কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, গাছটি মারা যাওয়ার বিষয়ে তাদেরকে কেউ অবহিত করেনি।
এ ব্যাপারে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এস এম শফিকুল ইসলাম মুকুল বলেন, বেলকাটি গ্রামের ওই বয়ঃবৃদ্ধ বট গাছটি মারা গেছে। গাছের নিচে সড়ক দিয়ে ঝুঁকির ভেতর এলাকাবাসীকে যাতায়াত করতে হচ্ছে। জেলা পরিষদের সদস্য সোহরাব হোসেনকে মরা গাছ সম্পর্কে অবহিত করা হয়েছে। শিঘ্রই লিখিত ভাবে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট মরা গাছটি অপসারণের জন্য আবেদন করা হবে।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)
একই রকম সংবাদ সমূহ
১৪ জুলাই: যবিপ্রবির ল্যাবে সাতক্ষীরা জেলার ৩০ জন করোনা পজিটিভ!
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) জিনোম সেন্টারে ১৪ জুলাই,২০২০বিস্তারিত পড়ুন
বেনাপোলে নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রীর বৈঠক বর্জন করলো সাংবাদিকরা
বেনাপোল স্থলবন্দর আন্তর্জাতিক প্যাসেঞ্জার টার্মিনালের দ্বিতীয়তলায় নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী ও স্থলবিস্তারিত পড়ুন
ঝিকরগাছায় বাস চাপায় মোটরসাইকেল আরোহী শিশুসহ দু’জন নিহত
যশোরে বাস চাপায় এক শিশু ও এক মোটসাইকেল আরোহীর মৃত্যুবিস্তারিত পড়ুন