কেশবপুরের পাথরা-বুড়ুলি বিলে স্যালোম্যাশিনে সেচ শুরু
যশোরের কেশবপুরে পাথরা-বুড়ুলি বিলের পানি স্যালো ম্যাশিনের মাধ্যমে সেচ কাজ শুরু হয়েছে। ঘের মালিক ও জমির মালিকদের ব্যাক্তিগত অর্থায়নে এ সেচ করা হচ্ছে বলে উপজেলা ঘের কমিটির সাধারন সম্পাদক আব্দুল কাদের বিশ্বাস জানান।
শুক্রবার বিকেল থেকে উপজেলার পাথরা-বুড়–লি বিলের পানি ঘের মালিক ও জমির মালিকদের ব্যাক্তিগত অর্থায়নে স্যালো ম্যাশিনের মাধ্যমে সেচ কাজ শুরু হয়েছে। “কৃষক বাঁচলে বাঁচবে দেশ এইতো সোনার বাংলাদেশ” পানি সরাও বিল বাচাও এই শ্লোগানকে সামনে রেখে চলতি চৈত্রের বোরো মৌসুমে ইরি ধান চাষে ১৩ জানুয়ারী উপজেলার পাথরা-বুড়–লি স্লুইচ গেটের উপর পাথরা-বুড়–লি বিলের পানি নিষ্কাশনের জন্যে সেচ কমিটি গঠন হয়। বিল এলাকার চারিপাশের কৃষক, সুধীজন, জনপ্রতিনিধি ও মৎস্য ঘের ব্যবসায়ীদের নিয়ে পাথরা ও বুড়–লি বিলসহ আশেপাশের বিলে চলতি চৈত্রের ইরি ধান চাষের জন্যে সংশ্লিষ্ট বিল হতে পানি সেচ দিয়ে চাষের উপযোগি করা নিয়ে আলোচনা করা হয়। আলোচনায় উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এইচ এম আমির হোসেনের সভাপতিত্বে বিলের জমির মালিক ও স্থানীয় জণপ্রতিনিধি গৌরীঘোনা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এস এম হাবিবুর রহমান হাবিব , সুফলাকাটি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাস্টার আব্দুস সামাদ, সাবেক চেয়ারম্যান মনজুরসহ স্থানীয় ইউপি সদস্য ও গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গের উপস্থিতিত্বে পানি নিষ্কাসনের জন্য দুই বিলের ১৩ সদস্য বিশিষ্ট পৃথক পৃথক দুটি “পানি সেচ আহবায়ক কমিটি” গঠন করা হয়। আলোচনায় শিদ্ধান্ত গৃহীত হয় যে, উক্ত কমিটি মৎস্য ঘের মালিকদের সাথে সমন্বয় করে আগামী বিশ দিনের মধ্যে পানি নিষ্কাসন করে ইরি ধান রোপনের উপযোগি করে দিবেন। পানি সেচ দিয়ে অপসারনের জন্য যত খরচ হবে তার ৭০ ভাগ দিবেন ঘের মালিকগণ ও ৩০ ভাগ দিবেন জমির মালিকগণ। বিলসমুহের পানি নিষ্কাশনে কোন ঝামেলা ও বাধা আসলে তা নিরসনে প্রশাসনিক সহযোগীতার আশ্বাস দিয়েছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এইচ এম আমির হোসেন।
কৃষক আলহাজ্ব মোঃ শাহাদাৎ হোসেন জোয়ার্দ্দার বলেন, আমাদের বিল একসময় তলিয়ে থাকতো। বিলে চেচো ঘাস, বাদলা ঘাস ও শাপলা ফুল হতো। সাবেক শিক্ষা মন্ত্রী এএসএইচ কে সাদেক এসে আমাদের বিলের নদীতে স্কেবেটরের মাধ্যমে নদী খনন করে পানি নিষ্কাশন করলেন। সেই থেকে আমরা একটি ফষল চৈত্রের ইরি ধান চাষ করি। তিনিতো আর আমাদের মাঝে নেই। কার কাছে এলাকাবাসীর সমস্যার কথা জানাবো। তিনার সহধর্মিনী সাবেক জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ইসমাত আরা সাদেক (এমপি)-কে আমাদের দুঃর্দশা দেখে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্যে দাবী জানিয়েছেন।
এব্যাপারে উপজেলা কৃষী কর্মকর্তা মহাদেব চন্দ্র সানা বলেন, বিল ঘরালিয়া, সারুটিয়া, সুফলাকাটি, ভেরচী, দশকাহুনিয়া, বুড়–লি, পাথরা, ঘাঘা, মাগুরখালি বিলে ২ হাজার ৫ শত হেক্টর জমি রয়েছে। হেক্টর প্রতি ৫ টন হিসেবে এ সমস্ত বিলে ১২ হাজার ৫ শত টন ইরি ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। যদি সঠিক সময়ে পানি নিষ্কাশন করা যায়।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)
একই রকম সংবাদ সমূহ
১৪ জুলাই: যবিপ্রবির ল্যাবে সাতক্ষীরা জেলার ৩০ জন করোনা পজিটিভ!
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) জিনোম সেন্টারে ১৪ জুলাই,২০২০বিস্তারিত পড়ুন
বেনাপোলে নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রীর বৈঠক বর্জন করলো সাংবাদিকরা
বেনাপোল স্থলবন্দর আন্তর্জাতিক প্যাসেঞ্জার টার্মিনালের দ্বিতীয়তলায় নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী ও স্থলবিস্তারিত পড়ুন
ঝিকরগাছায় বাস চাপায় মোটরসাইকেল আরোহী শিশুসহ দু’জন নিহত
যশোরে বাস চাপায় এক শিশু ও এক মোটসাইকেল আরোহীর মৃত্যুবিস্তারিত পড়ুন