আরো খবর...
কেশবপুরে এক ছাগলের একই সঙ্গে ৫ ছানার জন্ম
কেশবপুরে সাদা কালো খয়েরি ও লাল রং মিশ্রিত এক সঙ্গে ৫টি ছাগল ছানা জন্ম নিয়েছে। এক সঙ্গে একটি ছাগলের গর্ভে ৫টি ছানা জন্ম নেওয়ার পর থেকে ছাগল মালিকের বাড়িতে ভিড় লেগে রয়েছে। উপজেলার মূলগ্রামের কৃষক আব্দুল আলিমের বাড়িতে একই সঙ্গে ওই ছানা গুলো জন্ম নিলে এলাকার উৎসুক মানুষ তা দেখার জন্য ভিড় জমিয়েছেন।
বাহারি বিভিন্ন রং মিশ্রিত ওই ছানা দেখতে আসা মানুষদের মালিকের পক্ষ থেকে আপ্যানও করা হচ্ছে। শনিবার বিকেলে খবর পেয়ে আব্দুল আলিমের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, মা ছাগলটি ৩টি মর্দা ও ২টি মায়া ছানাকে আগলে রেখেছে। ৫টি ছানাই সুস্থ রয়েছে। কৃষক আব্দুল আলিমের স্ত্রী আফরোজা সুলতানা বলেন, গত বৃহস্পতিবার তাদের বাড়ির ওই ছাগলটি ৫টি ছানা প্রসব করে। ৫টি ছানার ৪টি মা ছাগলের দুধে পেট ভরছে। ১টিকে ছাগলের দুধের পাশাপাশি অন্য দুধ খাওয়ানো হচ্ছে। ৫টি শাবককে দেখার জন্য প্রতিদিন ওই বাড়িতে ভিড় জমছে। গ্রাম ছাড়াও বাইরের গ্রামের মানুষও বাহারি রঙ্গের ছানা গুলো দেখতে আসছেন সকাল বিকেল। গৃহবধূ আফরোজা সুলতানা আরও জানান, যারা তাদের বাড়িতে ছাগল ছানা দেখতে আসছেন তাদেরকে চা বিস্কুটে আপ্যায়ন করা হচ্ছে। এর আগে প্রথমবার ওই ছাগলটির একই সঙ্গে ২টি ছানা জন্ম নেয়। কৃষক আব্দুল আলিমের শিশু মেয়ে প্রথম শ্রেণির ছাত্রী ইতি সারাক্ষণই ছাগল ছানাগুলি নিয়ে আনন্দে মেতে রয়েছে। ছাগল ছানা দেখতে এসে অনেকেই বলে- ফিরছেন একেই বলে কপাল।
বিয়ের দাবিতে স্বামীর বাড়িতে স্ত্রীর অনশন
কেশবপুরে পাষন্ড স্বামীর স্ত্রী পছন্দ না হওয়ায় যৌতুকের দাবি এনে এক স্তানের জননীর উপর অমানুষিক নির্যাতন ১ লক্ষ টাকা প্রতারণা করে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এঘটনায় রেহেনা খাতুন বাদী হয়ে ১ জনের বিরুদ্ধে খুলনা বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রে আদালতে যৌতুক ও ২ জনের বিরুদ্ধে পারিবারিক দুটি মামলা দায়ের করেছে । এদিকে পাষান্ড স্বামীর বাড়িতে স্ত্রীর দাবি নিয়ে অনসন করেছেন রেহেনা খাতুন । ওই ঘটনার পর থেকে স্বামী ইউনুচ আলী এলাকা থেকে গাঢাকা দিয়েছে।
মামলার সূত্রে জানা গেছে উপজেলার বেলকাটি গ্রামের আব্দুস সামাদ মোড়লের ছেলে ইউনুচ আলীর সাথে খুলনা জেলার ডুমুরিয়া উপজেলার নূরাণিয়া গ্রামের রেজাউল ইসলাম মোড়লের মেয়ে রেহেনা খাতুনের সঙ্গে ২০১৩ সালের জানুয়ারি মাসে মুসলিম শরিয়াত মোতাবেক উভয় পক্ষের সম্মতিক্রমে ৩০ হাজার টাকা দেনমোহরে বিবাহ সম্পন্ন হয়। বিবাহের সময় রেহেনা খাতুনের স্বর্ণাঙ্কার ও স্বামীর সংসারের প্রায় ১ লক্ষ টাকার মূল্যের সকল জিনিস পত্র দেওয়া হয়।
রেহেনা খাতুন সাংবাদিকদের জানান, বিয়ের কিছু দিন পর আমার আমাকে কাজীর মাধ্যমে তালাক নামা আমার বাড়িতে পাঠায়। ওই তালাক নামায় আমার কোন স্বাক্ষর ছিল না। এর পর আমার গর্ভে সন্তান থাকা অবস্থায় আমার স্বামী শ্রীরামপুর গ্রামের শহিদুল ইসলামের মেয়ে রিমা খাতুনের সঙ্গে মোবাইল ফোনে পরকীয়া প্রেম গোড়ে তোলে বিষয়টি জানা জানি হলে তাকে নিয়ে আমার স্বামী প্রায় ৭ মাস যাবৎ ঢাকা সহ বিভিন্ন স্থানে বসবাস করত। এরপর স্বামী বাড়ি আসলে রিমার পিতা ইউনুচের কাছ থেকে তার মেয়েকে ছাড়িয়ে নেয়। আবারও ইউনুচ আলী পুনরায় আমার সঙ্গে মোবাইলের মাধ্যমে যোগাযোগ করে বিয়ে করার আশ্বাস দিয়ে বিভিন্ন স্থানে দেখা করে। তারপর আমার স্বামী আমাকে বিয়ের কথা বলে তার বাড়িতে আসতে বলে। গতসোমবার বিকেলে তারপর আমি স্বামীর কথামত স্বামীর বাড়িতে চলে আসি। এসে দেখি সে বাড়ি থেকে গা ঢাকা দিয়েছ্।ে আমি তার স্ত্রীর দাবি নিয়ে স্বামীর বাড়িতে গেলে স্বামীর মা তাছলিমা বেগম তার নানি জোহরা বেগম বাড়ি থেকে আমাকে বৌ হিসাবে মেনে নেবেনা বলে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে তাড়িয়ে দেয়। আমি কোন উপায় না পেয়ে একই এলাকার সোহাগের বাড়িতে আশ্রয় নিই। এর পর বিচারের দাবিতে এলাকায় ঘোরাঘুরি করলে গ্রাম্য শালিশের মাধ্যমে স্থানীয় ইউপি সদস্য খলিলুর রহমানের বাড়িতে আশ্রয় পায়। রেহেনা খাতুন আরও বলেন, আমার স্বামী যৌতুকের দাবি এনে একের পর এক পরিবারের লোকজন মিলে অমানুষিক নির্যাতন করত। আমি সইতে না পেরে অনেক বার পিতার বাড়িতে চলে যায়। তারা পিতার বাড়ি থেকে নির্যাতন করবে না বলে আমাকে আবারও স্বামীর বাড়িতে নিয়ে আসে। সর্বশেষ স্বামীর দাবি নিয়ে বেলকাটি গ্রামে আসলেও কোন বিচার পাচ্ছিনা। আমার ঈশা নামের ২ বছরের কন্যা সন্তানকে নিয়ে পথে পথে ঘুরছি। স্বামীর পরিবারের লোকজন একের পর এক শালিশ বৈঠক করেও পালাতক থাকা স্বামীকে বাড়িতে ফিরিয়ে আনতে পারছেনা। আমি সন্তানকে নিয়ে যাতে স্বামীর সংসারে ফিরে যেতে পারি ও যৌতুকের হাত থেকে রক্ষা পেতে পারি তার জন্য উধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
এব্যাপারে রেহেনা খাতুনের স্বামী ইউনুচ আলীর ০১৭৮৪৩২১২৪৬ মুঠোফোনে বার বার ফোন দেওয়া হলেও তার ফোন বন্ধ থাকায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
এব্যাপারে ইউপি সদস্য খলিলুর রহমানের কাছে জানতে চাইলে, তিনি সাংবাদিকদের জানান, গত সোমবারে ১ সন্তানের জননী রেহেনা খাতু তার স্বামীর তার বাড়িতে আসলে তাকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে তাড়িয়ে দেওয়া হয়। রেহেনা খাতুনের স্বামী ফিরে না আসা পর্যন্ত অবশেষে তাকে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের স্বাক্ষরে আমার বাড়িতে রেহেনা খাতুনের আশ্রয়ের সিদ্ধান্ত হয়।
কেশবপুরে উদীচীর আয়োজনে পিঠা উৎসব অনুষ্ঠিত
বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী কেশবপুর শাখা সংসদের আয়োজনে পিঠা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ উপলক্ষে শনিবার সন্ধ্যায় কেশবপুর রক্ত কবরী উন্মুক্ত মঞ্চে পিঠা প্রদর্শণীর সাথে সাথে গান, নৃত্য, নাটক, কবিতা আবৃত্তি অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী কেশবপুর শাখা সংসদের সভাপতি অনুপম মোদকের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক অনিমেষ সাহা বাপীর পরিচালনায় অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কেশবপুরের সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুল হালীম, যশোর জেলা পরিষদ সদস্য হাসান সাদেক, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান নাসিমা সাদেক, যশোর জেলা উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী সাবেক সভাপতি সোমেস মুখার্জী, সহ-সভাপতি রজিবুল ইসলাম, সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য চন্দন সিদ্দিকী, কেশবপুর শাখার উপদেষ্টা অধ্যাপক অসীত মোদক, এ্যাড. আবু বক্কর সিদ্দিকী প্রমুখ।
কেশবপুরে এক মেয়ের বিবাহের জন্য দেখতে আশার সংবাদ শুনে বিষপান করলো এক যুবক
যশোরের কেশবপুরে এক স্কুল পড়ুয়া ছাত্রীকে বিবাহের জন্য দেখতে আসার সংবাদ শুনে বিষপান করে এক যুবক আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে। ওই যুবককে কেশবপুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এলাকা সূত্রে জানাগেছে, উপজেলার গৃধরনগর গ্রামের মৃত হাসেম আলী গাজীর স্কুল পড়–য়া মেয়ে (১৪) কে বিয়ের জন্য দেখতে আসার সংবাদ শুনে একই গ্রামের ইকরামূল সরদারের ছেলে আলিমুন সরদার (১৭) বিষপান করে আত্মহত্যার চেষ্টা করে।
কেশবপুরে অজ্ঞাতনামা এক নবজাতকের লাশ উদ্ধার
যশোরের কেশবপুরে বুড়িভদ্রা আবাসিক এলাকার মর্ডাণ ক্লিনিকের পার্শ্ব থেকে অজ্ঞাতনামা এক নবজাতকের লাশ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় উপজেলার আলতাপোল গ্রামের আবাসিক এলাকায় আব্দুল মতিন সরদারের খালি প্লটের দুবলো ঘাসের উপর থেকে ওই অজ্ঞাতনামা নবজাতকের লাশ উদ্ধার করে বুধবার সকালে যশোর জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে ।
এ ব্যপারে কেশবপুর থানার এসআই সিকদার রকিব উদ্দিন জানান, বুড়িভদ্রা আবাসিক এলাকার মর্ডাণ ক্লিনিকের পার্শ্ব থেকে অজ্ঞাতনামা এক নবজাতকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে । লাশটি উদ্ধার করে সুরতাহাল প্রস্তুত করে মৃত্যুর সঠিক কারণ নির্ণয় করতে ময়না তদন্ত করার জন্য বুধবার সকালে যশোর জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)
একই রকম সংবাদ সমূহ
১৪ জুলাই: যবিপ্রবির ল্যাবে সাতক্ষীরা জেলার ৩০ জন করোনা পজিটিভ!
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) জিনোম সেন্টারে ১৪ জুলাই,২০২০বিস্তারিত পড়ুন
বেনাপোলে নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রীর বৈঠক বর্জন করলো সাংবাদিকরা
বেনাপোল স্থলবন্দর আন্তর্জাতিক প্যাসেঞ্জার টার্মিনালের দ্বিতীয়তলায় নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী ও স্থলবিস্তারিত পড়ুন
ঝিকরগাছায় বাস চাপায় মোটরসাইকেল আরোহী শিশুসহ দু’জন নিহত
যশোরে বাস চাপায় এক শিশু ও এক মোটসাইকেল আরোহীর মৃত্যুবিস্তারিত পড়ুন