কিছু ব্যক্তি ও একটি পরিবারকে সুবিধা দিতেই নাগরিকত্ব আইন: ফখরুল
কিছু ব্যক্তি ও একটি পরিবারকে সুবিধা দিতেই বাংলাদেশ নাগরিকত্ব আইন ২০১৬ (খসড়া) করা হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেছে বিএনপি। দলটির নেতারা মনে করেন, এই আইনে অনেক অস্পষ্টতা রয়েছে। আইনের খসড়া প্রণয়নে যুক্ত ব্যক্তিরা অমনোযোগ ও অপরিকল্পিতভাবে কাজটি করেছেন।
শুক্রবার (৩ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) আয়োজনে এক আলোচনা সভায় তাদের জ্যেষ্ঠ নেতারা নাগরিকত্ব আইন নিয়ে এসব মন্তব্য করেন।
এদিন বিকালে রাজধানীর হোটেল লেকশোরে প্রায় দুই ঘণ্টার বেশি আলোচনা সভায় বক্তারা নাগরিকত্ব আইনের সমালোচনা করে এর উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।
সভাপতির বক্তব্যে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘নাগরিকত্ব আইনের উদ্দেশ্য সরকারের কিছু ব্যক্তি ও একটি পরিবারকে সুবিধা দেওয়ার জন্য। ক্ষমতাসীনদের ক্ষমতাকে সুসংহত ও তাদেরকে সুরক্ষা করাই হলো এই আইনের উদ্দেশ্য।’
সরকার অত্যন্ত সুপরিকল্পিতভাবে একদলীয় শাসন প্রতিষ্ঠা করতে একের পর এক আইন করে যাচ্ছে বলে মন্তব্য মির্জা ফখরুলের। নাগরিকত্ব আইন প্রসঙ্গে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘আমরা দুঃসময় অতিক্রম করছি। এখন মৌলিক অধিকারগুলোকে হরণ করে নীলনকশা বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এর মূল লক্ষ্য সমাজে বিভক্তি আনার মাধ্যমে ক্ষমতাকে কুক্ষিগত করা।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ মনে করেন, একটি আইন করার আগে এ নিয়ে নাগরিকদের সঙ্গে আলোচনা এবং সভা-সেমিনার করা উচিত। সরকারের সামনে এখনও সুযোগ আছে এ নিয়ে আলোচনা করার। তার মতে, নাগরিকত্ব খসড়া আইনটিতে সংবিধানবিরোধী কিছু কিছু সেকশন আছে। এতে করে আইনের অপব্যবহার হওয়ার শঙ্কা রয়েছে বলে মত দেন এই বিজ্ঞ আইনবিদ।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান বলেন, ‘একটি আইন দিয়ে মানুষের মৌলিক অধিকারকে খর্ব করা যায় না। মানুষ জন্মগতভাবেই কোনও না কোনও দেশের নাগরিক হবে, এই আইনে সেটি লঙ্ঘিত হয়েছে।’
আলোচনা সভায় বক্তাদের আরও অভিযোগ, আওয়ামী লীগের অনেকেই বাইরের কিছু দেশের নাগরিকত্ব গ্রহণ করেছেন। এই নেতাদের নামের তালিকা দেশবাসীর সামনে প্রকাশ করার আহ্বান জানান তারা। সাংবাদিক মাহফুজ উল্লাহ বলেন, ‘সরকারি দলের যারা বিদেশি নাগরিক আছেন, তারা তাদের নাম প্রকাশ করুন।’ তার মতে, এখনই নাগরিকত্ব আইন প্রণয়ন করার দরকার নেই।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ইনাম আহমেদ চৌধুরী বলেন, ‘তড়িঘড়ি নাগরিকত্ব আইন প্রণয়ন করা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। এতে মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়েছে অনেক ক্ষেত্রেই। প্রাইভেটাইজেশনের সাবেক এই চেয়ারম্যান মনে করেন, নির্বাচিত সংসদেই এই নাগরিকত্ব আইন পাশ করা উচিত। অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, ‘নাগরিকত্ব আইন বিদ্বেষমূলক ও উদ্দেশ্যমূলক। এই আইন হলেও সুপ্রিম কোর্টে টিকবে না। এটি পদে-পদে সাংঘর্ষিক হবে।’
বিএনপির আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল আলোচনায় মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন।
আলোচনা সভায় বক্তব্য রেখেছেন প্রায় অর্ধশতাধিক আলোচক।
এতে অন্যান্যের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনবিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক বোরহান উদ্দিন খানসহ অনেকে।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)
একই রকম সংবাদ সমূহ
ট্রাম্পের হয়ে প্রচারণা চালানো মোদি’র তা ভারতের পররাষ্ট্রনীতির পরিপন্থী
২০২০ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে সামনে রেখে বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ডবিস্তারিত পড়ুন
ছাত্রদলের কাউন্সিল: ৮ভোটে হেরে গেলেন কেশবপুরের সেই শ্রাবণ
জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কাউন্সিলে সভাপতি পদে মাত্র ৮ ভোটে হেরে গেছেনবিস্তারিত পড়ুন
ছাত্রদলের নতুন সভাপতি খোকন, সম্পাদক শ্যামল
কাউন্সিলরদের প্রত্যক্ষ ভোটে নতুন নেতৃত্ব পেল বিএনপির সহযোগী সংগঠন ছাত্রদল।বিস্তারিত পড়ুন