কালিগঞ্জে বাগদা চিংড়িতে চলছে অপদ্রব্য পুশ!
সাতক্ষীরা জেলার কালিগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ শ্রীপুর ইউনিয়নে ও বিষ্ণুপুর ইউনিয়নে প্রশাসনের চোখকে ফাঁকি দিয়ে ব্যবসায়ীরা করছে বাগদা চিংড়িতে অপদ্রব্য পুশ।
বাঁশতলা মৎস্য সেট, খেজুরতলা মৎস্য সেট, ঘোষখালি সেট, গোবিন্দ কাটি মৎস্য সেটে ঘের ব্যবসায়ীরা প্রতিনিয়ত লক্ষ লক্ষ টাকার বাগদা চিংড়ি বিক্রয় করে থাকে বলে অভিযোগ উঠেছে। কিছু অসাধু ব্যবসায়ী বাগদা চিংড়ি মাছ কিনে বিভিন্ন স্থানে বাড়িতে নিয়ে গিয়ে বাংলাদেশের সাদা সোনা খ্যাত চিংড়ির গুলোতে অপদ্রব্য ভরা হচ্ছে সিরিঞ্জ দিয়ে।
প্রতিদিন ৫০’ স্থানে এমন মচ্ছব চলছে বাগদা চিংড়িতে অপদ্রব্য পুশ। সকাল থেকে শুরু করে দুপুর পর্যন্ত ৫০০ অবধি সিরিঞ্জ দিয়ে ঢুকিয়ে দেওয়া হচ্ছে ফিটকিরির পানি, ভাতের মাড়, সাগু, এরারুট, বা সীসার গুলি, মার্বেল, ম্যাজিক বল, জেলিসহ বিভিন্ন পদার্থ।
সচেতন মহল বলছেন- মুনাফা লোভীদের হাতে একি হাল হচ্ছে সাদা সোনার?
এসব অপদ্রব্য পুশের কারণেই আন্তর্জাতিক বাজারে সুনাম হারাচ্ছে চিংড়ির অপদ্রব্য পুশের কারণে ঘের থেকে চিংড়ি মাছ ধরার পর চাষীরা তা বিক্রি করেন দক্ষিণ শ্রীপুর ইউনিয়নের ৪টি মৎস্য সেটে।
ব্যবসায়ীরা সেট থেকে মাছ কিনে নিয়ে চিংড়ির ওজন বাড়িয়ে অধিক লাভের আশায় বিভিন্ন গোপন স্থানে একশ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ী পুশ করেন জেলিসহ বিভিন্ন অপদ্রব্য। ক্ষেত্রবিশেষে ওজন বাড়াতে পানিতে চিংড়ি ভিজিয়েও রাখা হয়।
অনুসন্ধানে দেখা গেছে- যেসব এলাকায় পুশ করা হয় তার মধ্যে উপজেলার বন্ধকাঠি, দক্ষিণ বন্দকাটি, বন্ধকাঠি মাঝেরপাড়া, মুকুন্দপুর চৌমুহনী বাজার মোকাম, নবীনগর, মশরকাঠি নদীরধার, বাশতলা মৎস্য সেটের ব্রিজের নিচে দক্ষিণ শ্রীপুর খেজুরতলা, উত্তর শ্রীপুর ঘোষখালি, সোনাতলা, গোবিন্দ কাটি মৎস্য সেট হাটখোলা উপজেলার ৪টি মৎস্য সেট সংলগ্ন বিভিন্ন এলাকার মৎস্য ডিপোতে অবাধে চলছে চিংড়িতে অপদ্রব্য পুশ।
স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের চোখকে ফাঁকি দিয়ে বাগদা চিংড়ির দেহে বিভিন্ন ধরনের ক্যামিকেল ঢুকিয়ে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। পুশের উৎপত্তি ৯০ দশকের শেষের দিকে প্রথমে সাতক্ষীরা-কালিগঞ্জ এলাকার ফড়িয়া ও ব্যবসায়ীরা চিংড়িতে অপদ্রব্য পুশ করা শুরু করেন। এরপর একে একে ছড়িয়ে যায় সাতক্ষীরা জেলায়। ব্যবসায়ীদের মৎস্য সেট এলাকায় ও বাড়িতে বিভিন্ন পুশ করার জন্য বিকল্প ঘর রয়েছে। তবে কেজিপ্রতি চিংড়ি ১০-১৫ টাকা করে পুশ করিয়ে নেন। এভাবে একটি সিরিঞ্জ দিয়ে প্রতিদিন কমপক্ষে ৪-৫ মন চিংড়ি মাছ পুশ করে। পুশে জড়িত যারা শিশু ও নারী শ্রমিকদের চিংড়িতে পুশ দেয়ার প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। এরপর এদের দিয়ে পুশের কাজ চালানো হয়। ব্যবসায়ীরা অধিক লাভের আশায় প্রতিনিয়ত চিংড়ি মাছে অপদ্রব্য পুশ করে চলছে। বর্তমানে এমন কোন চিংড়ি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নেই যারা কমবেশী পুশের সাথে জড়িত নেই। বর্তমানের এই জেলি অত্যন্ত আঠালো হওয়ায় সহজে এসব পুশ মাছ ধরা পড়ে না। এতে দাম বেড়ে যায় মাছের গ্রেড হিসেবে। পুশ করা মাছ যেখানে যায় অধিক লাভের আশায় ওজন বাড়ানোর জন্য সাদা সোনা খ্যাত চিংড়ির দেহে অপদ্রব্য ঢুকিয়ে বিভিন্ন মাছ কোম্পানিতে বিক্রি করা হচ্ছে।
অপদ্রব্য পুশের হাত থেকে রক্ষা পেতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছে সকল ঘের ব্যবসায়ীরা।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)
একই রকম সংবাদ সমূহ
১৪ জুলাই: যবিপ্রবির ল্যাবে সাতক্ষীরা জেলার ৩০ জন করোনা পজিটিভ!
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) জিনোম সেন্টারে ১৪ জুলাই,২০২০বিস্তারিত পড়ুন
‘ভূয়া’ সংবাদিকদের দৌরাত্মে সাধারণ মানুষ ভোগান্তিতে
সংবাদপত্রকে বলা হয় সমাজের দর্পণ বা আয়না। এই আয়নায় সমাজেরবিস্তারিত পড়ুন
সাতক্ষীরা জেলা ব্যাপী গ্রেফতার ১৩, ইয়াবা-ফেন্সিডিল-গাঁজা উদ্ধার
সাতক্ষীরা জেলা ব্যাপী পুলিশের মাদক বিরোধী বিশেষ অভিযানে মাদক মামলারবিস্তারিত পড়ুন