উচ্চশিক্ষা অর্জন করতে চান মঠবাড়িয়ার স্কুল শিক্ষক করিম খাঁন
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ার বড় মাছুয়া হাই ইনস্টিটিউশনের কারিগরি শাখার ট্রেড ইন্সট্রাকটর মো. করিম খাঁন উচ্চ শিক্ষা অর্জন করতে চান। তিনি উপজেলার বড় শৌলা গ্রামের মোখলেস আলী খাঁনের পুত্র।
জানা যায়, ডিপ্লোমা ইন্জিনিয়ারিং কোর্স সম্পন্ন করে শিক্ষকতা পেশায় যোগ দেন করিম খাঁন। শিক্ষক হলেও থেকে যায় বিএসসি ইন্জিনিয়ারিং ডিগ্রি অর্জন করার এক অদম্য ইচ্ছা। সে ইচ্ছাকে জয় করার জন্য ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ভর্তি হন ইউনিভার্সিটি অব গ্লোবাল ভিলেজ নামে বরিশালের একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে। কিন্তু আর্থিক সংকটের কাছে হেরে যান তিনি।
এ ব্যাপারে বড়মাছুয়া স্কুলের কারিগরি শাখার আরেকজন শিক্ষক ইন্জিনিয়ার একেএম মোশারেফ হোসেন জানান- “২০১৮ সালের মাঝামাঝি দূরারোগ্য ব্যাধি ক্যান্সারে আক্রান্ত হয় করিম খাঁনের স্কুল পড়ুয়া মেধাবী ছাত্র হাসিব খাঁন। তার চিকিৎসার জন্য অনেক টাকা প্রয়োজন। অসুস্হ ছেলের দিকে তাকিয়েই বিএসসি ইন্জিনিয়ারিং এ ভর্তি হয়েও সরে এসেছেন তিনি। ৮ সেমিস্টারে মেকানিক্যাল কোর্স সম্পন্ন করতে কমপক্ষে ৪লক্ষ টাকা প্রয়োজন। এত টাকা কোথায় পাবেন। এজন্য ভর্তি হয়েও ক্লাস ও পরীক্ষায় অংশগ্রহন করেন নি তিনি।”
তবে ক্যান্সারে আক্রান্ত ছেলের চিকিৎসার জন্য যখন আর্থিক সহযোগিতা প্রয়োজন ঠিক সেই মূহুর্তে এত টাকার প্রাইভেট কোর্সে ভর্তি হওয়াকে রহস্যজনক মনে করছেন অনেকেই।
শিক্ষক করিম খাঁন জানান- ‘আমি ভর্তি হয়েছিলাম।কিন্তু ছেলের চিকিৎসা খরচের কথা চিন্তা করে কোন ক্লাস এবং পরীক্ষায় অংশগ্রহন করি নাই।’
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)
একই রকম সংবাদ সমূহ
১৪ জুলাই: যবিপ্রবির ল্যাবে সাতক্ষীরা জেলার ৩০ জন করোনা পজিটিভ!
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) জিনোম সেন্টারে ১৪ জুলাই,২০২০বিস্তারিত পড়ুন
এনামুল-সম্রাটসহ ৪ জনের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দ
ক্যাসিনো ব্যবসার সঙ্গে সম্পৃক্ততা ও অবৈধ অর্থ লেনদেনের অভিযোগে সংসদবিস্তারিত পড়ুন
‘ভূয়া’ সংবাদিকদের দৌরাত্মে সাধারণ মানুষ ভোগান্তিতে
সংবাদপত্রকে বলা হয় সমাজের দর্পণ বা আয়না। এই আয়নায় সমাজেরবিস্তারিত পড়ুন