আরো খবর...
আশাশুনি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ‘নেই নেই’ অবস্থা, ভেঙ্গে পড়েছে স্বাস্থ্যসেবা
আশাশুনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অপূর্ণতা ও দুরাবস্থার কারনে স্বাস্থ্য সেবার মান ভেঙ্গে পড়েছে। বাধ্য হয়ে রোগিরা হাসপাতালে না গিয়ে প্রাইভেট ক্লিনিক ও জেলা হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে যাচ্ছে।
১১ টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত আশাশুনি উপজেলার অধিকাংশ এলাকা প্রত্যন্ত ও যাতয়াত ব্যবস্থা অনুন্নত। অনেক ইউনিয়নে প্রধান প্রধান সড়ক নির্মিত হলেও অভ্যন্তরিন সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা যথেষ্ট অনুন্নত। এলাকার মানুষ সাধারণ অসুখ বিসুখে হাসপাতাল মুখো হতে চায়না। রোগ একটু বড় হয়ে দেখা দিলে পল্লী চিকিৎসকদের কাছেই যাতয়াত করে থাকে। অনেকে হাসপাতালে আসতে চাইলেও ডাক্তার না থাকা, ঔষুধ না থাকা এবং সর্বোপরি অন্যান্য ব্যবস্থা না থাকায় একবার গেলে দ্বিতীয়বার না যাওয়ার চেষ্টা করে থাকে। এজন্য উপজেলার বিভিন্ন প্রান্তে ব্যাঙের ছাতার মত গড়ে উঠেছে ক্লিনিকের নামে অসংখ্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। যেখানে অধিকাংশ ক্ষেত্রে চিকিৎসা সেবার নামে অপচিকিৎসা করা হয়ে থাকে বলে অভিযোগ রয়েছে।
এলাকার গরীব ও দীনমজুর মানুষ রোগ চিকিৎসার জন্য যাবে কোথায়! তাই অনেকে আশাশুনি হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে যান বাধ্য হয়ে। কিন্তু না এই হাসপাতালে কেবল নেই নেই বার্তা বাতাসে ঘুরে ফিরছে। কিন্তু এখানে ২১টি পদের বিপরীতে ইউএইচএ সহ মাত্র ৪ জন এমবিবিএস ডাক্তার কর্মরত আছেন। এছাড়া একজন আয়ুর্বেদ ও একজন ডেন্টাল সার্জন আছেন। নার্সের ১৬টি পদের বিপরীতে আছেন ১২ জন, যার মধ্যে ৩ জন ডেপুটেশানে অন্যত্র কর্মরত আছেন। ৩ জন চিডিকৎসকের মধ্যে একেক জনকে বাধ্য হয়ে একটানা ২দিন করে ডিউটিতে রাখতে হয়। আর প্রতি সপ্তাহে একদিন করে হাসপাতালে কোন চিকিৎসক থাকেন না। ফলে সপ্তাহে একদিন করে চিকিৎসক ছাড়াই হাসপাতাল চলে। বর্তমান সময়ে পাড়াগায়েও হারিকেন-ল্যাম্পের ব্যবহার এখন আর চোখে না পড়লেও হাসপাতালে গেলে সেটি খুজে পাওয়া যাবে। রাতে বিদ্যুৎ লোডশেডিং হলে হাসপাতাল কক্ষে এতটি করে হারিকেন জ¦ালিয়ে আলোর ব্যবস্থা করা হয়ে থাকে। আইপিএস বিকল হয়ে গেছে। জেনারেটর থাকলেও ব্যবহার করা হয়না। এক্সরে মেশিন নষ্ট হয়ে পড়ে আছে। প্যাথলজিষ্ট নেই। এ্যানাস্থেসিয়া ও গায়নি চিকিৎসক নেই। ডাঃ ইসকেন্দার আলম নামে একজন (এ্যানাস্থাসিয়া) সহকারী সার্জন হাসপাতালে পোষ্টিং থাকলেও তিনি কি কারনে ও কার বদৌলতে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ডেপুটেশনে বহাল তবিয়তে রয়েছেন জানানেই। আশাশুনিতে যেখানে কোন কিছুই পূর্ণ নেই, বরং অনেক কিছুর কিছুই নেই, সেখানে ডেপুটেশানে অন্যত্র অবস্থানের কারবার হতাশা জনক। সপ্তাহে ২ দিন এখানে তাকে আসার কথা থাকলেও তিনি আসেননা। বরং আশাশুনি থেকে বেতন ঠিকই তিনি উঠিয়ে নিচ্ছেন। জনবল না থাকায় সরকারের ডিএসএফ প্রোগ্রাম চালান হচ্ছেনা।
এছাড়া ঔষুধ স্বল্পতা, চিকিৎসকের অভাবে ঠিকমত চিকিৎসা সেবা না পাওয়াসহ রয়েছে অসংখ্য অভিযোগ। তারপরেও এলাকার অসহায় মানুষ চিকিৎসা পেতে হাসপাতালে আসছেন। বেডে প্রতিদিন গড়ে ৬০/৭০ জন করে রোগি থাকেন। আউটডোরে (জরুরী ও বহিঃ বিভাগ) প্রতিমাসে গড়ে ৪৫০০ রোগির আগমন ঘটে।
এব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ অরুন কুমার ব্যানার্জী জানান- চিকিৎসক সংকট বরাবর হাসপাতালে রয়েছে। এ্যানাস্থাসিয়া না থাকায় চাহিদা থাকলেও ডেলিভারী করান সম্ভব হচ্ছেনা। এছাড়া অনেক সমস্যা আছে। অসুবিধা ও সমস্যার কথা উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে লিখিত ভাবে অবহিত করা হয়েছে বলে তিনি জানান।
জেলা প্রশাসক এস এম মোস্তফা কামাল আশাশুনিতে আসলে বিষয়টি এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে তার কাছে জোরালো ভাবে উত্থাপন করা হলে তিনি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাফফারা তাসনীনকে জরুরী ভিত্তিকে পরিদর্শন করে রিপোর্ট করতে আদেশ প্রদান করেন।
জেডিসি কক্ষ পরিদর্শকদের মতবিনিময় সভা
আশাশুনিতে ১ নভেম্বর থেকে অনুষ্ঠিতব্য জেডিসি পরীক্ষার কক্ষ পরিদর্শকদের নিয়ে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার সকালে আশাশুনি আলিয়া মাদরাসা হল রুমে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাফফারা তাসনীন প্রধান অতিথি হিসাবে মতবিনিময় সভায় আলোচনা রাখেন। তিনি জেডিসি পরীক্ষায় কক্ষ পরিদর্শক হিসাবে দায়িত্ব পালনকারীদের দায়িত্ব-কর্তব্য ও করনীয়তা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা রাখেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ বাকী বিল্লাহ। পরীক্ষার সার্বিক বিষয় নিয়ে আলোচনা রাখেন কেন্দ্র সচিব আলহাজ মাওঃ আবু হাসান।
সভায় গাজীপুর মাদরাসার অধ্যক্ষ হুমায়ুন কবির, কুড়িকাহুনিয়া মহিলা মাদরাসার সুপার মাওঃ আদম শফিউল্লাহ ও আবুল কালাম আজাদ বুলবুল প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
বুধহাটা বাজার সড়ক অবৈধ দখলমুক্ত করার আবেদন
আশাশুনি উপজেলার ঐতিহ্যবাহী বুধহাটা বাজারের অভ্যন্তরিন সড়কগুলো ব্যবসায়ীদের অবৈধ দখলে থাকায় জনদুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করেছে। সড়কগুলো অবৈধ দখলমুক্ত করতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর আবেদন করা হয়েছে।
বাজারটিতে প্রতিদিনি হাজার হাজার মানুষের আগমন ঘটে থাকে। বাজার অভ্যন্তরের সড়কগুলো পথচারী চলাচল ও ছোট যানবাহন চড়ে ক্রেতা-বিক্রেতাদের যাতয়াতের কথা। সাথে সাথে দোকানের মালামাল বহনের জন্য ব্যবাহারের কথা। কিন্তু সড়কগুলো অবৈধ দখল নিয়ে ব্যবসায়ীরা পথের মধ্যে দোকান বসানোয় পথচারী ও যানবাহন ঢোকানো সম্ভব হয়না। আবার অতিকষ্টে যানবাহন প্রবেশ ও পথচারী চলাচল করতে গেলে শুরু হয় ভয়াবহ জট। ফলে দীর্ঘক্ষণ যানবাহন আটকা পড়ে থাকে এবং পথচারীরা খুবই কষ্টকর পরিস্থিতির মোকাবিলা করে থাকেন। বাজারের প্রায় সকল সড়ক বা গলিপথে অবৈধ দখলের নজির থাকলেও সবচেয়ে পীড়াদায়ক হয়ে দেখা দিয়েছে, বাস স্ট্যান্ড হতে স্কুল সড়ক হয়ে নীমতলা মোড় থেকে খেয়াঘাট পর্যন্ত, নীমতলা থেকে কাঁচা বাজার পর্যন্ত, কাঁচা বাজার থেকে গাজী মার্কেটের মোড় পর্যন্ত এবং খেয়াঘাট মোড় থেকে গরুহাট সড়কের আগ পর্যন্ত। এসব সড়কে ফলফলাদির দোকান, পোল্ট্রির দোকান, আখের দোকান, ভাজার দোকান, পোশাকের দোকানসহ বহু চটফড়িয়া ও ছোট ছোট খাটের উপর দোকান রয়েছে।
এসব দোকানের কোন কোনটি একেবারে সড়কের মাঝ খানে, কোন কোনটি সড়কের এক পাশের অংশ বিশেষ দখল নিয়ে এবং কোন কোনটি ফুটপথ দখল নিয়ে বসানো হয়েছে। অনেক স্থানে স্থায়ী দোকানের সামনের স্থান দখল করে নেওয়া হয়েছে। দোকানে রৌদ্র-বর্ষার হাত থেকে রক্ষা পেতে পলিথিন বা অন্য কিছৃু দিয়ে ছাউনি দেওয়া ও দড়ি দিয়ে বেঁধে রাখায় যানবাহন চলাচলে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হয়ে থাকে। অবৈধ দখলখারীরা টাকা দিয়ে জায়গার দখল পেয়েছি, আমাদের ব্যবসা বন্দ করবে কে? এমন ঔদ্ধত্ব্যপূর্ণ বক্তব্য ছুড়ে দিয়ে থাকে।
এব্যাপারে বুধহাটা ইউপি চেয়ারম্যান আ ব ম মোছাদ্দেক জানান, অবৈধ দখল মুক্ত করতে অনেক ভাবে চেষ্টা করা হয়েছে, আইন শৃংখলা কমিটির সভায় উত্থাপন করা হয়েছে, কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। বাজারটিতে সিসি ক্যামেরা বসানো হয়েছে, কিন্তু দোকানের উপর দিয়ে পথ বন্দ করে পলিথিন ছেয়ে রাখায় সিসি ক্যামেরায় ছবি ধারণ সম্ভব হয়না। ফলে চোর ধরা ও আইন শৃংখলা রক্ষা করা সম্ভব হচ্ছেনা।
কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহনের জন্য উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ব্যবসায়ী ও এলাকাবাসী।
আইসিটি ও অফিস ব্যবস্থাপনা বিষয়ক প্রশিক্ষণ
আশাশুনিতে আইসিটি ও অফিস ব্যবস্থাপনা বিষয়ক শিক্ষক প্রশিক্ষণ শুরু হয়েছে। আশাশুনি আলিয়া মাদরাসা হল রুমে ৪ দিনের এ প্রশিক্ষণ চলছে।
জাইকার সহযোগিতায় ও উপজেলা পরিষদের আয়োজনে প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠানে উপজেলার বিভিন্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মাদরাসার ৩৫ জন শিক্ষক অংশ নিয়েছেন।
প্রশিক্ষণ প্রদান করছেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের একাডেমীক সুপার ভাইজার হাসানুজ্জামান, আইসিটি শিক্ষক আঃ মালেক, আলমগীর হোসেন ও মোস্তাহিদুর রহমান। প্রশিক্ষণ কো-অর্ডিনেটরের দায়িত্বে আছেন, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ বাকী বিল্লাহ।
দরগাহপুর সিদ্দিকীয়া মাদ্রাসায় দোয়া অনুষ্ঠান
আশাশুনি উপজেলার দরগাহপুর সিদ্দিকীয়া আলিম মাদ্রাসার হল রুমে জেডিসি পরীক্ষার্থী ও ইবতেদায়ী শির্ক্ষার্থীদের নিয়ে দোয়ানুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার সকালে মাদ্রাসা হল রুমে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
মাদরাসার সেক্রেটারী মাওলানা শেখ আব্দুল হান্নানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে দোয়া পরিচালনা করেন শিক্ষক মাও: আব্দুল হাকিম। এ সময় অধ্যক্ষ মোহা: রিয়াজুল ইসলাম, অব: শিক্ষক আমির আলী, আব্দুল লতিফ, নাসির সরদার ও প্রতিষ্ঠানের সকল শিক্ষক-কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)
একই রকম সংবাদ সমূহ
১৪ জুলাই: যবিপ্রবির ল্যাবে সাতক্ষীরা জেলার ৩০ জন করোনা পজিটিভ!
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) জিনোম সেন্টারে ১৪ জুলাই,২০২০বিস্তারিত পড়ুন
‘ভূয়া’ সংবাদিকদের দৌরাত্মে সাধারণ মানুষ ভোগান্তিতে
সংবাদপত্রকে বলা হয় সমাজের দর্পণ বা আয়না। এই আয়নায় সমাজেরবিস্তারিত পড়ুন
আশাশুনিতে পূর্বের বিয়ের তথ্য গোপন করে আবারো অন্যত্র বিয়ে দেয়ার অভিযোগ!
সাতক্ষীরার আশাশুনিতে পূর্ববর্তী বিয়ের তথ্য গোপন করে অধিক লাভ ওবিস্তারিত পড়ুন