আশাশুনির একই পরিবারের ৭জনই রোগাক্রান্ত ॥ পিতা-মাতা মৃত্যুপথযাত্রী
পরিবারের সবাই ব্যধিগ্রস্ত, পিতা-মাতা মৃত্যুপথযাত্রী। চিকিৎসা করানোর সক্ষমতা নেই, রোগির সেবা সুশ্রুসা করারও কেউ নেই। চরম দুশ্চিন্তা, করুন আকুতি তাদের ভাষা। আর অন্ধকার ভবিষ্যৎ তাদের হাতছানি দিচ্ছে।
আশাশুনি উপজেলার বুধহাটা ইউনিয়নের কুঁন্দুড়িয়া গ্রামে চরম হতাশাগ্রস্ততার মধ্যদিয়ে চলছে আ. হামিদ গাজীর পরিবারের সদস্যরা। মৃত করিম গাজীর পুত্র হামিদ গাজী (৬৫) ৬ মাস আগে থেকে, তার স্ত্রী আমেনা বেগম (৫৫) ২ বছর আগে থেকে রোগাক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন আছেন। তখন আমেনাকে একবার অপারেশন করা হয়েছিল। এখন ধরা পড়েছে মাতা ক্যান্সার আক্রান্ত, পিতা অজানা রোগে আক্রান্ত। তবে তার খাদ্যনালী ব্লক হয়ে গেছে বলে চিকিৎসক জানিয়েছেন। তাদেরকে খুলনা, ঢাকায় চিকিৎসা নেওয়ার প্রয়োজন। দু’জনই শয্যাশায়ী হয়ে আছেন। কেবল শয্যাশায়ী নয়, মরণ পথযাত্রী হয়ে পড়ে আছেন। আত্মীয়-স্বজন, পাড়া প্রতিবেশী সবাই দেখতে আসছে, আর ভাবছে কখন কাকে পরপারে ডাক পড়ে তা নিয়ে। যে কোন সময় তাদের মৃতসমন স্বাগত জানাতে পারে এমনটিই সবার মুখে মুখে ভাসছে। গরীব অসহায় পরিবারের সংসারে তাদের ৫টি সন্তান রয়েছে। বড় ছেলে আব্দুল্লাহ আল মামুন (৩৫) ও মেঝে ছেলে হাফিজুল ইসলাম (২৬) ঢাকায় গার্মেন্টস-এ চাকরী করতো। পিতা-মাতা অসুস্থ হয়ে পড়লে চাকুরী ছেড়ে তারা বাড়িতে চলে আসেন। মাত্র ১০ কাঠা জমিই তাদের একমাত্র সম্বল। ঔষধ কেনার মত সামর্থ এখন তাদের নেই। এমন যখন পরিবারের পরিস্থিতি, ঠিক তখন মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা হয়ে দেখা দিয়েছে- দুঃসংবাদ; পরিবারের বাকী ৫ সদস্য সবাই অসুস্থ এমন খবরে। পুত্র হাফিজুল, আব্দুল্লাহ আল মামুন, সাইফুল ইসলাম (২০) এবং কন্যা হালিমা খাতুন (৩২) ও ফাতেমা খাতুন (২৫) সবাই অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। মেঝে ছেলে মাত্র ২ মাস আগে বিয়ে করেছেন। মেয়ে দুটি বিয়ে হলেও মাতা-পিতার খেদমত করতে পিত্রালয়ে এসে নিজেরাও অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তাদেরকে দেখা শুনা করবে এমন কেউ অবশিষ্ট নেই। পাড়া-মহল্লাবাসীর ধারণা তাদের রোগ ছোঁয়াচে, তাই অনেকে যেমন তাদেরকে নিয়ে ভয় পাচ্ছেন, আবার তেমনি পরিবারারের সকলকে ভীত ও মনোবলহারা করে তুলছে।
এমুহুর্তে তাদের পাশে থাকার জন্য মানুষ দরকার। দরকার চিকিৎকদের সুপরামর্শ আর ভীতিকর কিছু নয় এমনকি জানিয়ে মনোবল বৃদ্ধি করা। গোটা পরিবার যেখানে অসুস্থ, সেখানে চিকিৎসা খরচ ও সেবা সুশ্রুৃসা করার জন্য পরিবেশ সৃষ্টি করা। সাথে সাথে লম্বা চিকিৎসার ব্যয় বহুল খরচ যোগাতে দরকার সরকারি, বেসরকারি ও সকল স্তরের মানুষের সহযোগিতা। মাননীয় সংসদ সদস্য, উপজেলা চেয়ারম্যান, জেলা-উপজেলা প্রশাসনসহ সহৃদয় ব্যক্তিবর্গ তাদের পাশে থাকবেন এমনটি কামনা তাদের। ছলছল চক্ষে পিতা-মাতার একরাশ সহযোগিতার আকুতি না দেখলে বোঝান যাবেনা। সাথে সাথে পরিবারের পুত্র-কন্যারা চরম হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছে। আপনার সহযোগিতায় পরিবারটি হয়তো নতুন জীবন ফিরে পেতে পারে। তাই সহযোগিতা ও যোগাযোগের জন্য হাফিজুল ইসলামের মোবাইল ০১৭৮৫৭৫৮৪০১ নম্বরে যোগাযোগ করতে পরিবার ও গ্রামবাসীর পক্ষ থেকে অনুরোধ জানান হয়েছে।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)
একই রকম সংবাদ সমূহ
১৪ জুলাই: যবিপ্রবির ল্যাবে সাতক্ষীরা জেলার ৩০ জন করোনা পজিটিভ!
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) জিনোম সেন্টারে ১৪ জুলাই,২০২০বিস্তারিত পড়ুন
‘ভূয়া’ সংবাদিকদের দৌরাত্মে সাধারণ মানুষ ভোগান্তিতে
সংবাদপত্রকে বলা হয় সমাজের দর্পণ বা আয়না। এই আয়নায় সমাজেরবিস্তারিত পড়ুন
আশাশুনিতে পূর্বের বিয়ের তথ্য গোপন করে আবারো অন্যত্র বিয়ে দেয়ার অভিযোগ!
সাতক্ষীরার আশাশুনিতে পূর্ববর্তী বিয়ের তথ্য গোপন করে অধিক লাভ ওবিস্তারিত পড়ুন